দেশরাজনীতি

ডিসেম্বরের মধ্যে সংসদ নির্বাচন চাইলেন সিলেটের সাবেক মেয়র আরিফুল হক

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এই অন্তর্বর্তী সরকার সবার সরকার। এই সরকারকে আমরা সহযোগিতা করছি। তাই দ্রুত নির্বাচন দিয়ে জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে দিতে হবে। এতে জনগণ স্বস্তি পাবে।’

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বুধবার দুপুরে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন আরিফুল হক। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম সহনীয় পযার্য়ে রাখা, অবনিতশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে সমাবেশে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনা দেশটাকে ধ্বংস করে দিয়ে পালিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন পালাবেন না, কিন্তু তাঁকে পালাতে হয়েছে। আওয়ামী লীগের দুঃশাসন সব ডুবিয়েছে। ফ্যাসিবাদের সঙ্গে কোনো আপস নয়, সবাইকে আইনের আওতায় এনে তাঁদের বিচার করতে হবে। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র এখনো আছে। এ জন্য বিএনপির নেতা-কর্মীদের সজাগ থাকতে হবে।

আরিফুল হক চৌধুরী আরও বলেন, আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী খুন–গুমের শিকার হয়েছেন, অনেকে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এখন সুযোগ বুঝে অনেকেই দলে আসতে চাইবে। এদের দ্বারা দলের কোনো উপকার হবে না। সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক এই মেয়র বলেন, শেখ হাসিনা তাঁর বাবার মতো দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বানিয়ে পালিয়েছেন। দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে আনতে হবে। দেশের মানুষকে স্বস্তি দিতে হবে।

বিএনপি সব সময় মানুষের পাশে থাকবে উল্লেখ করে আরিফুল হক আরও বলেন, জনগণের আস্থা নিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের জনগণের পাশে থাকতে হবে। ফ্যাসিবাদের সহযোগী, সুবিধাভোগীরা দলে অনুপ্রবেশ করতে চাইবে। এই দুস্কৃতিকারীদের থেকে সাবধান থাকতে হবে। তিনি দলের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, যাঁরা বিগত দিনে আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ছিলেন, তাঁদের মূল্যায়ন করতে হবে।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য কলিম উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিফতা সিদ্দিকী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য মো. আবদুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির মো. নূরুল ইসলাম, মো. মাসুক আলম, আকবর আলী, মল্লিক মইন উদ্দিন আহমদ, ফারুক আহমদ, আবুল মনসুর মো. সোহেল, মুনাজ্জির হোসেন, রেজাউল হক, সেলিম উদ্দিন, আবদুল মোতালেব খান, আনছার উদ্দিন, আনিসুল হকসহ জেলা বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button