ইসলাম ধর্ম
শবে বরাতের রাত যেভাবে কাটাবেন

আবারও দরজায় কড়া নাড়ছে ” শবে বরাত” এই শবে বরাত হতে পারে আমাদের জীবনের শেষ শবে বরাত।
এই রাত মুক্তির রাত, ভাগ্যে পরিবর্তনের রজনী।
সুতরাং অবহেলা না করে অতিতের গুনাহের কথা স্মরণ করে তাওবা করি তারপর ধারাবাহিক শবে বরাতের রাতে আল্লাহ জন্য ইবাদাত করি। এমনভাবে ইবাদত করতে হবে যাতে একটি ছোট আমল যেন এই রাতে মিস না হয়। যেভাবে সারারাত ইবাতদ করবো–
- ◼️খুব মনোযোগ দিয়ে অজু করবেন অজু শেষে কালেমা শাহাদাত পড়বেন৷ সারারাত অজুর সাথে থাকার চেষ্টা করবেন,এতে অনেক সাওয়াব আছে। মাগরিবের আযান হলে মনোযোগ দিয়ে আযানের জবাব দিবো তার পর দুরুদ পড়বো, এর পর আযানের দোয়া পড়বো খাস দিলে।
- ◼️তাহার পর খুব বিনয়ও নম্রতার সাথে মাগরিবের নামাজ পড়বো, ২ রাকাত করে ৬ রাকাত আওয়াবিন নামাজ পড়বো। মাগরিবের ও আওয়াবিনের নামাজের ফাঁকে বা পরে সন্ধ্যার যিকিরও আমগুলো করবো ১৫ মিনিট। তার পর সূরা ওয়াকিয়া পড়বেন।
- ◼️তার পর ইসলামি বই পড়বেন এশার আগ পর্যন্ত যাতে ইবাদতের প্রতি আগ্রহ আসে,বিশেষ করে তাওবা সম্পর্কে বই পড়বেন যাতে খাঁটি তাওবা নসিব হয়। জান্নাতের নিয়ামত সম্পর্কে পড়বেন যাতে জান্নাত পাওয়ার আশায় আমল করতে পারেন, এবং জাহান্নামের শাস্তি সম্পর্কে পড়বেন যাতে জাহান্নামেে কঠিন আযাবের কথা স্মরণ করে ইবাদতও তাওবা করা যায়।
- ◼️তার পর অনুরূপ এশার নামাজ পড়বেন। এশার নামাজের পর হাদিসে বর্ণিত আমল করবেন, সূরা মুলক পড়বেন তারপর খুব বিনয়ের সাথে খাঁটি তাওবা করবেন। এই রাতে বারবার তাওবা করবেন। কারণ তাওবাকারী ব্যক্তি পাপহীন ব্যক্তির ন্যায়।
- ◼️সামান্য খাবেন, বেশি খেলে ইবাদত করতে অলসতা আসবে।খাওয়াতে সময় কম নিবেন,ঐ রাতের জন্য গল্প করা বাদ একটি রাত অবহেলা করে সময় পাস করবেন না।
◼️শবে বরাত নামে আলাদা কোন নামাজ নাই৷ ২ রাকাত করে নফলের নিয়তে যত রাকাত ইচ্ছে নফল নামাজ পড়বেন ইখলােসের সাথে । ২ রাকাতের মাঝখানে তাওবাও দোয়া করবেন।
◼️কুরআন তেলাওয়াত করবেন যত বেশি পড়বেন ভালো।
◼️সালাতুত তাসবিহের নামাজ পড়বেন।
◼️কমপক্ষে ১ হাজার বার করে দুরুদ ও ইস্তেগফার করবেন।
◼️ সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার ১০০ বার করে পড়বেন।
◼️ সুবহানাল্লাহি ওয়া-বিহামদিহি ১০০ বার পড়বেন।
◼️সুবহানা রাব্বি ওয়া-বিহামদিহি ১০০ বার।
◼️হাসবুনাল্লাহু ওয়া-নি’মাল ওয়াকিল,নি’মাল মাউলা ওয়া-নি’মান নাসির যতবার ইচ্ছে পড়বেন।
◼️লা-ইলাহা ইল্লাহ ১০০ বার।