অব্যাবস্থাপনা

কুমিল্লা মুন হাসপাতালের ন্যা’ক্কারজনক প্র’তারণা- হসপিটালে মানুষের জীবন নিয়ে এমন খেলা কেন?

আজকে সাব্বির আহমেদ সাব্বির ও তার পরিবারের সঙ্গে কুমিল্লার মুন হাসপাতালে ঘটে যাওয়া একটি মর্মান্তিক ঘটনা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি।

সাব্বিরের মা দীর্ঘদিন কো’মরের ব্য’থায় ভুগছিলেন এবং প্রায় তিন মাস ধরে মুন হাসপাতালের ডাঃ আশরাফের অধীনে নিয়মিত চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। প্রতি সপ্তাহ কিংবা পনেরো দিন পরপর ডাক্তারের সঙ্গে দেখা হতো, প্রতিবারই ওষুধ পরিবর্তন হতো, কিন্তু অবস্থার কোনো উন্নতি দেখা যেত না।

আজকের ঘটনার শুরু এখান থেকেই। ডাক্তার আশরাফ বলেন, কোমরের ব্যা’থা কমানোর জন্য একটি ইনজেকশন দিতে হবে যার মূল্য ৩৬,০০০ টাকা। তিনি জো’র দিয়ে বলেন, এই ইনজেকশন বাইরে কোথাও পাওয়া যাবে না, পেলেও বেশি দাম দিয়ে কিনতে হবে। এবং তার কাজ থেকে ঔষধটি নেওয়ার কথা জানায়। কিছু দরদাম করে শেষে ইনজেকশনটি ৩৪,৫০০ টাকায় দেওয়া হয় এবং সেটি সরাসরি সাব্বিরের মাকে প্রয়োগ করা হয়। পুরো প্রক্রিয়াটি তদারকি করেন ডাক্তারের নিজস্ব সহকারী (পিএইচ)।

কিন্তু ইনজেকশন দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই সাব্বিরের মায়ের শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে। হঠাৎ সাব্বিরের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া বোনের চোখ পড়ে ইনজেকশনের প্যাকেটের ওপর- ঔষধের গায়ে লেখা নাম এবং কার্টুনে থাকা ওষুধের নামের মধ্যে কোনো মিল নেই! বোতলটা ভালো করে নাড়াচাড়া করে দেখতে পান, এটা আসলে নকল ইনজেকশন। মূল ওষুধের নামের স্টিকার জাল করে নকল ইনজেকশনের ওপর লাগানো হয়েছে!

ঘটনা দ্রুত হাসপাতালজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। ডাক্তার আশরাফের সহকারী পিএইচ তখনই সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরিস্থিতি উ’ত্তপ্ত হয়ে উঠলে সাব্বিরের কয়েকজন বন্ধু ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজখবর নেয় এবং আরও বড় অনিয়মের প্রমাণ পায়। শেষমেশ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেও, চাপে পড়ে ৩৪,০০০ টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দেয়।

আমার প্রশ্ন একটাই- একজন মানুষের জীবনের মূল্য কি শুধুই ৩৪,০০০ টাকা? কেন এই অবাধ অনিয়ম? কেন একজন রোগীকে জীবনের ঝুঁ’কিতে ফেলে কেবল টাকার জন্য এমন প্রতারণা চলতে থাকবে? হাসপাতালের ভেতরে এইভাবে নকল ওষুধ ব্যবহার করে যদি মৃ’ত্যুর মিছিল বাড়ে, তাহলে এর দায় কে নেবে?
হট্রগলে উপস্থিত থাকা কয়েকজন ব্যাক্তি জানায় কিছুদিন আগে নকল ঔষধ প্রয়োগ করায় একজনের মৃ’ত্যু হয় পরে বিষয়টি টাকা দিয়ে ধামাচাপা দেওয়া হয়।

সাব্বিরের মায়ের যদি আজ কিছু হয়ে যায়, তার দায়ভার কে নেবে? নাকি আমরা আরেকটি অ’নাকা’ঙ্ক্ষিত মৃ’ত্যু দেখার জন্য প্রস্তুত থাকবো?

আমি এর সুষ্ঠু বি’চার চাই। আমরা চাই প্রতিটি প্রতারকের দৃষ্টান্তমূল সাস্তি হোক। একটি বৈষম্যহীন, মানবিক বাংলাদেশে এখনও কেন এমন অনিয়মের ছড়াছড়ি?

শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে অনুরোধ এই পোস্টটি যত বেশি সম্ভব শেয়ার করুন। বিষয়টি যেনো যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌছাতে পারে। আপনার একটি শেয়ার একটি পরিবারকে ন্যায়বিচার পেতে সহায়তা করতে পারে।
ধন্যবাদ

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button