পাহাড়তলী থানা ম্যানেজ করে চলছে অনুমোদন বিহীন কয়েল ফ্যাক্টরি ক্ষমতা ভুয়া সাংবাদিক হারুনের

নাছির হাওলাদার চট্টগ্রামঃ চট্টগ্রাম অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভিন্ন খাত হিসেবে অবদান রাখছে মশার কয়েল তৈরির ফ্যাক্টরি শহরের বিভিন্ন স্থানে ,তবে এর মধ্যে অন্যতম সবচেয়ে বড় অবৈধ ফ্যাক্টরি হলো পাহাড়তলী থানা এলাকার লবণ ফ্যাক্টরি রোড কাট্টলী পাহাড়তলী ভূমি অফিস সংলগ্ন সাগর পাড়ে ওহাব মিয়ার বিশাল অবৈধ কারখানায় ।
যা থেকে প্রতিমাসে গড়ে লভ্যাংশ আসে ওহাবের পকেটে ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত, অত্র কারখানায় রয়েছে শিশুসহ প্রায় ১৫ জন কর্মচারী, এসব কর্মচারীদের নেই কোন সেফটি প্রতিনিয়ত মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন এসব কর্মচারীরা।
তবে সরকারি বৈধ অনুমোদনে ৮-১০টি ফ্যাক্টরি প্রতিষ্ঠিত হলেও অনুমোদনহীনভাবেই গড়ে উঠেছে ৩০টির বেশি ফ্যাক্টরি শুধু চট্টগ্রাম শহরেই। যা অধিকাংশ অবৈধ নেই কোন তাদের লাইসেন্স দিচ্ছে না সরকারকে ট্যাক্স ভেট তাতেই সরকার হারাচ্ছে প্রতিনিয়ত কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।
আনুমানিক ১৯৮০ সালে চট্টগ্রামে ইসমাইল নামে এক ব্যবসায়ী প্রথম স্থাপন করেন কয়েল কারখানা বালুরঘাট শিল্প নগরী এলাকায়। তার প্রতিষ্ঠিত ইসমাইল কেমিক্যাল ওয়ার্কস থেকে ‘বোরাক’ নামে কয়েল উৎপাদন ও বাজারজাত করা হতো।
গত চার দশকে এ চট্টগ্রামে গড়ে উঠেছে প্রায় ৪০টির ও বেশি কয়েলের কারখানা। বর্তমানে কারখানার সংখ্যা প্রায় ৪০টি।
এসব মশার কয়েল কারখানাগুলো প্রথম পর্যায়ে ক্ষুদ্র পুঁজি দিয়ে শুরু করে পরে বৃহৎ আকারে কারখানা গড়ে তুলছে উদ্যোক্তারা। কারখানাগুলোতে কর্মসংস্থান হয়েছে কয়েক হাজার নারী-পুরুষের। চট্টগ্রাম থেকে অন্তত ৫০টি ব্র্যান্ডের নামে কয়েল বাজারজাত হয় । যা সাপ্লাই হয় কুমিল্লা, নোয়াখালী, নাঙ্গলকোট সহ বিভিন্ন গ্রাম এলাকায়।ডন, রকেট, বুলেট, নাইটগার্ড, জিরো, জিরাপাতা, সূর্য, সম্রাট, ধূপসহ নামে বেনামে আরও অনেক বাহারি নামে মশার কয়েলের উৎপাদন হচ্ছে।

তবে এর মধ্যে বোরাক কয়েল, বস, আবেদীন, সিটি, সেন্টমার্টিন, ম্যাক্সো, পাহাড়ি কয়েলসহ কয়েকটি কয়েল তৈরির কারখানার অনুমোদন রয়েছে।
তবে অনুমোদিত কারখানাগুলোর মধ্যে দু’য়েকটি কারখানায় একাধিক ব্র্যান্ডের নামে কয়েল উৎপাদন করা হয় বলে জানা গেছে। বাকি সব কারখানাই চলছে কাগজপত্র ছাড়া, নিয়মনীতি না মেনে। ওহাবের এই অবৈধ মশার কয়েল ফ্যাক্টরির একমাত্র ভরসা নামে মাত্র ভুয়া সাংবাদিক মোঃ হারুন, অত্র ওহাবের ফ্যাক্টরিতে যদি কোন সাংবাদিক তথ্য সংগ্রহ করতে যায় তাহলে এই হারুন সাংবাদিকদের নানা ধরনের হুমকি দিতে থাকে। হারুনের প্রভাব সে আওয়ামী লীগের খুব প্রভাবশালী লোক। এই ভুয়া সাংবাদিক হারুনের রয়েছে নোয়াখালীতে বিশাল এক অবৈধ কয়েল ফ্যাক্টরি যা থেকে প্রতি মাসে ইনকাম আসে এক কোটি টাকার উপর ,এইসব অবৈধ পন্থায় ইনকামের টাকায় হুমকি এবং ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে প্রতিনিয়ত চলছে,এই কথিত ভুয়া নামে মাত্র সাংবাদিক হারুন প্রকাশ কয়েল হারুন (প্রকাশ ৫০০ টাকার হারুন) প্রকাশ টুকাই হারুন!
মশার কয়েল তৈরির মূল উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয় বিভিন্ন কেমিক্যাল। কেমিক্যালের সঙ্গে রঙ, তেঁতুলের বিচি, নারিকেলের আরচি, কাঠের ভুসি ও বিশেষ একটি গাছের বাকল গুঁড়ো করে মেশানো হয়। কেউ কেউ সনাতন পদ্ধতিতে কয়েলের ফ্রেমে বসিয়ে তৈরি করে কয়েল। পরবর্তীতে ফ্রেম অনুযায়ী কেটে আগুনের তাপে শুকানো হয়। সর্বশেষ শুকানোর পর প্যাকেটজাত করে বাজারজাত করা হয়।
চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড, পতেঙ্গা, পাহাড়তলী, হালিশহর, চাঁদগাও বাকলিয়া, কর্ণফুলী সহ বিভিন্ন এলাকায়,তবে চট্টগ্রামের ভিতর সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টরি পাহাড়তলী লবণ ফ্যাক্টরি রোড ওহাব মিয়ার ফ্যাক্টরি।
চট্টগ্রামের অনুমোদনহীন কারখানাগুলো চলছে স্থানীয় প্রভাবশালীও কথিত সাংবাদিকদের মদদে। সেসব কারখানা শুধু সিটি কর্পোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স নিয়েই বছরের পর বছর অবৈধভাবে ব্যবসা করে যাচ্ছেন কারখানা মালিকরা। কয়েল কারখানার জন্য সিটি কর্পোরেশন, ফায়ার সার্ভিস, কৃষি বিভাগ, বিএসটিআই ও পরিবেশ অধিদফতরসহ বেশ কয়েকটি দফতর থেকে অনুমোদন নিতে হয়।
তবে অনুমোদন নিতে নানা ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হয়। তাই অনেক কারখানা মালিক অনুমোদন নিতে চান না। তাদের উৎপাদিত কয়েল ডিলারসহ নিজেদের মাধ্যমে কয়েল কুমিল্লা, চট্টগ্রামের বিভিন্ন অঞ্চল সহ
দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করা হয়।
ওহাব কেমিক্যাল ওয়ার্কস থেকে বস কয়েল ফ্যাক্টরির মালিক ওহাব বলেন, প্রতিদিন ডিলারদের মাধ্যমে আমাদের কয়েল দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করা হয়। কারখানাগুলোতে অনেক নারী ও পুরুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
সারা দেশে চট্টগ্রামের মশার কয়েলের ভালো সুনাম রয়েছে। যার ফলে দিন দিন মশার কয়েল উৎপাদনকারী কারখানা বাড়ছে। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একজন বৈধ কয়েল ফ্যাক্টরির মালিক বলেন সরকারিভাবে কারখানার বৈধকরণের নিয়মনীতির প্রক্রিয়াটি সহজ করা হলে সব কারখানা কাগজে-কলমে বৈধতা পাবে বলে তিনি জানান।
অত্র অবৈধ কোয়েল ফ্যাক্টরি নিয়ে জানতে চাইলে পাহাড়তলী থানার অফিসার ইনচার্জকে বেশ কয়েকবার কল দিও পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রাম মহানগর পরিবেশ অধিদপ্তরের এমকের কাছে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের মুক্তাদির হাসান সাহেব বলেন যেখানে হাজারো মানুষের বসবাস ওখানে ফ্যাক্টরি করার কোন নিয়ম নাই।