৫ আগষ্টে হামলা-লুটপাটের নায়ক ছাত্রদল নেতা সালাম পাটকেলঘাটা জনপদের মুর্তিমান আতঙ্ক !

পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি: পাটকেলঘাটা থানার নোয়াকাটি গ্রামের তায়েজ উদ্দিন সরদারের পুত্র আব্দুস সালাম। এই সালাম নিজেকে পাটকেলঘাটা থানা ছাত্রদলের আহবায়ক পরিচয়ে হেন কোন অপরাধমুলক কর্মকান্ড নেই যা সে করছে না। গুনধর এই পুত্রের বিরুদ্ধে নিজ পিতা পর্যন্ত বার্ধ্য হয়েছে মামলা করতে। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় বিএনপির কতিপয় নেতার আশ্রয়-প্রশ্রয়ে সালাম অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। তার বিরুদ্ধে টু-শব্দ করতে কেউ সাহস পাচ্ছে না। যা বিএনপি’র জন্য সর্বনাশ ডেকে আনছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহল মনে করেন।
ব্যাপক তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, এই সালাম তার নিজ গ্রামেই (নোয়াকাটি) ঘৃনিত একটি নাম। কথায় কথায় যার-তার গায়ে হাত উঠানো, নোয়াকাটি গ্রামের বয়োবৃদ্ধ আব্দুল গফুর মোড়লকে মেরে রক্তাত্ত করে। চাঁদাবাজিই তার একমাত্র পেশা। বিগত আওয়ামী ফ্যাসিবাদ সরকারের আমলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে সখ্যতা করে গড়ে তুলেছে একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র।
গত ৫ আগষ্ট ফ্যাসিষ্ট সরকারের পতনের পরপরই এই সালামের নেতৃত্বে আলামিনসহ একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র পাটকেলঘাটা বাজার, কুমিরা বাসষ্টান্ড, কুমিরা কদমতলা মোড়, দাদপুর, মেলেকবাড়ি, মির্জাপুর বাজারের দোকানপাটে হামলা-লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। নির্ভরযোগ্য একটি সুত্র জানায় কুমিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলামের দোকান ও বাড়িয়ে হামলা করে প্রায় ৬০ লক্ষাধীক টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। তার গোয়ালের কয়েকটি গরুও তারা নিয়ে যায়। দুদিন পর গরু জবাই করে ভুরিভোজের আয়োজন করে। বিষয়টি এলাকায় সর্বজন স্বীকৃত। একই সুত্র জানায়, সালামের নেতৃত্বে নোয়াকাটি গ্রামের মৃত বীরমুক্তিযোদ্ধা এরফান সরদারের পুত্র কুদ্দুস সরদারের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে। সালাম মুর্তিমান আতঙ্ক হয়ে কুদ্দুস সরদারের স্ত্রীর উপর হামলিয়ে পড়ে তার সর্বস্ব লুটে নিয়ে যায়। একই ভাবে নোয়াকাটি গ্রামের ময়না সরদারের বাড়ি থেকেও লুটপাট করে নিয়ে যায় মালামাল ও গোয়ালের গরু। কুমিরা কদমতলা মোড়স্থ কাজী হিলোলের ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে হামলা করে প্রায় কোটি টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায়। একই ভাবে কুমিরা গ্রামের সালাম মুহুরীর বাড়িতেও হামলা-লুটপাট করে তারা।
অন্য একটি সুত্র জানায়, ৫ আগষ্ট মির্জাপুর শাপলা পেট্রোল পাম্পে হামলা চালিয়ে নগদ টাকা ও ৫০ টি মটর সাইকেলে তেল ভরে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় পাম্পে স্থাপিত সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক সালাম নিজহাতে খুলে নিয়ে যায়। যা আজও তার কাছে সংরক্ষিত আছে। অন্যদিকে মির্জাপুর বাজারের জনৈক জুয়েলার্সের দোকানে হামলা করে দোকানের চাবি নিয়ে যায়।
একটি সুত্র জানায়, স¤প্রতি এই সালাম আলামিন কুমিরা ইটভাটা মালিকের কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে।
ইতিপুর্বে সাতক্ষীরা জেলা পাটকেলঘাটা থানার ছাত্রদলের আহ্বায়ক পরিচয়দানকারী এই সালাম চাঁদার টাকা না পেয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন মির্জাপুর গ্রামে অবসরপ্রাপ্ত আর্মি নুরুল সরদারের ছেলে অলিকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। এলাকাবাসী আরো বলেন একজন পাগলকে এভাবে মারা ঠিক হয়নি আসলে সে ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই কাজটা করেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের প্রশ্ন সালাম-আলামিনরা কি আইনের উর্দ্ধে? এসব সোনার টুকরো ছাত্রদল নামধারী সন্ত্রাসীদের জন্য বিএনপির ভার্বমুর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে? না ক্ষুন্ন হচ্ছে?? বিএনপি’র ভোট ব্যাংক ভরছে? না শুণ্য হচ্ছে।
ভুক্তভোগী এলাকাবাসী এই সালাম আলামিনের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।