কুষ্টিয়ায় মাদক সম্রাট ইয়াবা বদির এজেন্ট বিয়ে প্রতারক রাজিবের খপ্পরে পরে দিশেহারা ভুক্তভোগী শতাধিক

বিশেষ প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়ায় এক মাদক সম্রাট রাজিবের খপ্পরে পরে ছয় সাধারণ লোকজন দিশেহারা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কে এই মাদক সম্রাট? নাম তার রাজিব (৪৫)। কুষ্টিয়ার খোকসা ইউনিয়নের ওসমানপুর গ্রামে হিজলাবটের আবদুল মালেকের পুত্র তিনি। সকল প্রকার অপরাধে জড়িত হয়ে তিনি অপরাধ জগতে বিশেষ স্থান অধিকার করেছেন। হত্যা, ধর্ষন অস্ত্র ও মাদক ব্যবসা তার পেশা। মাদক ব্যবসা করতে গিয়ে এক পর্যায়ে কক্সবাজারের ইয়াবা বদির সাথে তার পরিচয় হয়। সাবেক এমপি বদির সাথে সখ্যতা বজায় রেখে তিনি দেশব্যাপি ইয়াবা সরবরাহ সহ অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা করতো বলে সূত্রে জানা গেছে। নিজ জেলা অতিক্রম করে পার্শবর্তী পাবনা জেলায় মাদকের হাট বসিয়েছে। তার প্রচেষ্টায় কুষ্টিয়া ও পাবানয় ডজন খানেক উঠতি বয়সের যুবকদের মাদকে আসক্ত করে জীবন ধ্বংস করে দিয়েছে। ঢাকার কুখ্যাত কালা জাহাঙ্গীর, টেংরা মনির, সোভন ও শিপনের সাথে অনৈতিক ব্যবসা গড়ে তোলেন। তবে দেশব্যাপি মাদক কারবার করে হাতিয়ে নিয়েছেন প্রচুর টাকা। এই টাকা হাতে আসার পর তার আর পেছনে তাকাতে হয় নাই। মাদক সম্রাট রাজিব দুইটি বিবাহ করেন। তার মাদকের হাত থেকে তার স্ত্রীরাও রেহাই পান নাই। ফেসবুকে ফাঁদ পেতে সুন্দরি মেয়েদের নাম্বার নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মাদক বিক্রিতে বাধ্য করতো। মহিলাদেরকে ভোগ করতো এবং একই সাথে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করতো। তারপর এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবার ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করতো। রাজিব বেশ কয়েকার পুলিশের জালে আটকা পড়ে জেল খেটেছে। তবে ছাড়া পেয়ে পুণরায় অনৈতিক ব্যবসায় ফিরে আসে। তার আরেকটি অপকর্ম হচ্ছে পরকিয়া। রাজিবের হাত থেকে রক্ষার জন্য অনেক আকুতি মিনতি করেও রক্ষা পায় নাই কুষ্টিয়া সদরের মেয়ে সায়মা সহ শতাধকি তরুনী। অবশেষে সে মান সম্মান হারিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। ঢাকার সাভার মধুমতি টাউনে এক মহিলার সাথে পরকিয়া করে। মহিলার ম্বামী ব্যবসার কাজে বাইরে গেলে রাজিব বাসায় প্রবেশ করে। তারপর মহিলার সহায়তায় উক্ত বাসা হতে নগদ ২৫,০০০ টাকা এবং আনুমানিক ৪,৫০,০০০ টাকার স্বর্ণালংকার নিয়ে চম্পট দেয়। মহিলার স্বামী কাজ শেষে বাসায় এসে দেখে তার কাঠের আলমারির ড্রয়ার থেকে এসব টাকা ও স্বর্ণলংকার চুরি হয়। স্বামী তার স্ত্রীকে ফোন করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। এই ব্যাপারে সাভার থানায় স্বামী বাদি হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। কুষ্টিয়া ও পাবনা জেলার সাধারণ লোকজন রাজিবের খপ্প্র থেকে বাঁচার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।