ঢাকাটেক্সটাইলে ডাকাতির ঘটনায় ফেলা আটক হলেও অন্য ডাকাত বিএনপির কর্মী

ফতুল্লার সস্তাপুরে ডাকাতির অভিযোগে ডাকাত ফেলা আটক হলেও এখনো অধরা অনেকেই। সিসি ফুটেজে সনাক্ত করা গেলেও আটক হয়নি ডাকাতের অন্যতম সদস্য “ফতুল্লার সস্তাপুরে ঢাকা টেক্সটাইলের মালিক ব্যবসায়ী রেজাউল করিম মালার বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় অস্ত্রধারী মুখোশ পরিহিত ডাকাত দল জানালার গ্রীল কেটে বাসায় প্রবেশ করে। এরপর ব্যবসায়ীর ছেলে ও ছেলের বৌয়ের হাত পা বেঁধে এলোপাথারী পিটিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সাত লাখ টাকা ও ৪০ ভরি স্বর্নালংকার লুটে নেয়। ডাকাত দল পালিয়ে যাওয়ার সময় দু রাউন্ড ফাকা গুলি বর্ষণ করে। ঢাকা টেক্সটাইলের মালিক রেজাউল করিম মালা জানান, ভোর রাতে দোতলা বাড়ির পিছনের জানালার গ্রীল কেটে মুখোশধারী ৬ জন ডাকাত ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে। ডাকাতদের একজনের হাতে পিস্তল ও অন্যদের হাতে ধারালো ছুরি ছিলো। এছাড়া ঘরের বাহিরেও ডাকাত দলের সদস্যরা দাঁড়িয়ে ছিল। প্রত্যেকের মুখে কাপড় বাঁধা ছিলো। ডাকাতরা প্রথমে ছোট ছেলে আলাউদ্দিনের কক্ষে প্রবেশ করে। এরপর অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে তাদের হাত পা বেধে ফেলে। তখন তারা চিৎকার দেয়ার চেষ্টা করলে ৬ জন ডাকাত এক সাথে আলাউদ্দিন ও তার স্ত্রীকে এলোপাথারী মারধর করে। তখন আলাউদ্দিনের স্ত্রী নাসরিন আক্তারের গলা ও আঙ্গুল থেকে পরনের অলংকার ও আলমারী থেকে আরো স্বর্নালংকারসহ ৪০ ভরি স্বর্নালংকার লুটে নেয়। এরপর বাসার নিচ তলায় নেমে ডাকাতরা আলমারী ভেঙ্গে নগদ সাত লাখ টাকা লুটে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পরিদর্শন করেছে। কিছু আলামত ও সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করা হয়েছে। জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।সিসি টিভির ফুটেজ অনুযায়ী ডাকাত দলের একজন টুপি পড়া অবস্থা দেখা যায় এবং পরবর্তীতে সদ্য বহিষ্কার হওয়ার ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর সাথে তার ছবি দেখা যায়। ডাকাতির ঘটনায় ফেলা আটক হলেও এখনো দিব্যি ঘুড়ে বেড়াচ্ছে ডাকারের আরেক সদস্য। তাহলে কি রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর সাথে সম্পৃক্ততা আছে বলেই কি তাকে এখনো আইনের আওয়াতায় আনা হয়নি? প্রশ্ন জনমনে।