গণহত্যার নেতৃত্ব দিয়েছেন সুচি’ই-জাতিসংঘ

0
571

মিয়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর সেনাবাহিনীর বর্বর নির্যাতনে অনুমোদন ছিলো দেশটির ডি-ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চি’র। এমনটিই ধারণা করছেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার জেইদ রাদ আল হুসেইন। তিনি আরো বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের একসময় বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা-

বিবিসির সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরো বলেন, যে মাত্রায় এবং যেভাবে সেখানে সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে, তা অবশ্যই দেশের উঁচু পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ওই অভিযানে কয়েক হাজার মানুষ মারা গেছে এবং লাখ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। এজন্য মিয়ানমারের নেতাদের একসময়ে গণহত্যার অভিযোগের মুখোমুখি হতে হবে।’ যদিও এসব অভিযোগের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি অং সান সু চি, যিনি একসময় শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। এ মাসের শুরুর দিকেই জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে দেয়া বক্তব্যে হুসেইন বলেছিলেন, মিয়ানমারে যে ব্যাপক বা পরিকল্পিতভাবে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন চালানো হয়েছে, তাতে গণহত্যার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যাবে না। এই হাই কমিশনার আরো বলছেন, ‘কেউ যদি গণহত্যা চালানোর পরিকল্পনা করে, সেটি তো তারা কাগজ কলমে করবে না। হয়তো আপনি কোনো নির্দেশনার প্রমাণও পাবেন না। তবে এখন আমরা যা দেখছি, তার ভিত্তিতে ভবিষ্যতে কোনো আদালত যদি এরকম কোনো তদন্তের আদেশ দেয়, তাতে আমি অবাক হবো না।’ গত আগস্টে এই অভিযান শুরুর পর সাড়ে ছয় লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। শত শত গ্রাম পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। সেখানে ব্যাপক হত্যা আর গণধর্ষণের বর্ণনা দিয়েছেন পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা। স্যাটেলাইটে তোলা ছবি বিশ্লেষণের পর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, বার্মার (মিয়ানমার) রাখাইন রাজ্যে গত দুইমাসে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। গত অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে আরো ৪০টি গ্রামের ভবনসহ বহু ঘরবাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে বলে সংস্থাটি দেখতে পেয়েছে। ২৫শে আগস্টের পর রাখাইনে এ নিয়ে ৩৫৪টি গ্রাম আংশিক বা পুরোপুরি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

11 − 9 =