কৃষকদের ৩ ফসলি জমি জোড় করে বালি ভরছে ভুমিদস্যু শামীম

0
85

নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ের মাধবপুরের নিরীহ কৃষকদের বছরে ৩ বার ফসল হয়- এমন জমি জোর করে বালি দিয়ে ভরে দখল করে নিচ্ছে এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু শামীম গং।

উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের দিন মজুর আব্দুল খালেকের ছেলে কুখ্যাত ভূমিদস্য শামীম এক সময় বাবার সঙ্গে অন্যের জমিতে দিন মজুর হিসেবে কাজ করত কিন্তু বর্তমানে অদৃশ্য ইশারায় ভুমিদস্যু ও সন্ত্রাসী।

একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের জমির দালালি করে এই ভূমিদস্যু শামীম এখন কয়েক শত কোটি টাকার মালিক। রাজধানীতে রয়েছে ৪/৫টি বাড়ি, তা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিপুল সম্পত্তির মালিক বনে গেছে এই ভুমিদস্যু।

সম্প্রতি তার লোপ দৃষ্টি পড়েছে মোগরাপাড়া ইউনিয়নের শুকুরদী গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ হোসাইনের শেষ সম্বল ৩ ফসলি জমিটির ওপর। এরই মধ্যে জমিটিতে বালি ফেলে জোরপূর্বক দখল করে নিয়ে গেছে। শুকুরদী মৌজার জমিটির খতিয়ান নং ২৪৪, দাগ নং ১৮,১৯,১৮। মোহাম্মদ হোসাই ছাড়াও এলাকার আরো কয়েকজন নিরীহ কৃষকের জমি বালু ফেলে ভরাট করে ফেলেছে এই ভূমিদস্যুর ক্যাডার বাহিনী। 

এসব ফসলি জমি জোরপূর্বক ড্রেজারের পাইপ দিয়ে বালি ফেলে দখল করার সময় কৃষক মোহাম্মদ হোসাইন বাধা দিতে যায়। এ সময় তাকে শামীমের ক্যাডার বাহিনী বেধড়ক পিটুনি দেয় এবং তার বাড়ি গিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসে ভূমিদস্য শামীম ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী।

কৃষক মোহাম্মদ হোসাইন প্রতিবেদককে জানায়, আমার একমাত্র আয়ের উৎস তিন ফসলি এই কৃষি জমিটুকু জোরপূর্বক বালিফেলে ভরাট করে দখল করে নিচ্ছে এবং আমার বাসায় এসে আমাকে ও আমার পরিবারে সদস্যদের মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে এসেছে ভূমিদস্যু শামীম ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। আমি খুবই অসহায় এবং নিঃস্ব হয়ে গেলাম, এই বিষয়ে সোনারগাঁও থানায় আমি একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিকার পাইনি।

কৃষি জমি দখলের ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে বলে জানা যায়। তবে ভূমিদস্যু শামীম আগেও এমন জোর করে জমি দখল করে নিয়ে পরে জমির মালিকে তা নামমাত্র মূল্যে লিখে দিতে বাধ্য করেছে বলে জানায় এলাকাবাসী। তারা আরো জানায়, শামীমের গুন্ডা বাহিনীর ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চায় না।

এই বিষয়ে অভিযুক্ত শামীমকে একাধিকবার ফোন দিলেও সে ফোন রিসিভ করেনি।

সোনারগাঁও থানার ওসি এস এম কামরুজ্জামান জানান, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। থানার এসআই মেহেদী হাসান খানকে বিষয়টি তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

five × three =