যুগান্তরের ‘দালাল সাংবাদিক কায়েস আহমেদ সেলিম’ এখন স্মার্ট প্রতারক রক্ষার পরিচালক

0
52

স্টাফ রিপোর্টার: যুগান্তরের ‘দালাল সাংবাদিক কায়েস আহমেদ সেলিম ও তার পার্টনার একে সালমান’’ কুখ্যাত ভ‚মিদস্যু স্মার্ট প্রতারক বীরতারা সিটি হাউজিং কোম্পানির চেয়ারম্যান মারুফ সাত্তার আলীর ভ‚মিদস্যুতা রক্ষা করতে সাংবাদিকতার অন্তরালে প্রতারক হাউজিং কোম্পানিটির পরিচালক পদ দাবি করে ও নিজেকে একজন প্রভাবশালী সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে অপরাধ বিচিত্রার স্টাফ রিপোর্টার মোঃ আহসানউল্লাহ হাসানকে ভয়-ভীতি দেখানো সহ ধারাবাহিক নিউজ প্রকাশ বন্ধ রাখার জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ দালালি করে আসছেন। কিন্তু অপরাধ বিচিত্রা ধারাবাহিক নিউজ প্রকাশ চলমান রাখায় এই দালাল সাংবাদিকের দালালি মুখ ধুবড়ে পড়ে। তবে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, এই দালাল সাংবাদিক অপরাধ বিচিত্রার নিউজ প্রকাশ বন্ধ করার জন্য প্রতারক ভ‚মিদস্যু হাউজিং কোম্পানিটির কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা ঘুষ নিয়ে নিজেই আত্মসাৎ করেছেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় এখন অপরাধ বিচিত্রার সাংবাদিক মোঃ আহসানউল্লাহ হাসানের নামে চাঁদাবাজির অপবাদ দিয়ে যুগান্তর অনলাইন সহ একাধিক অনলাইন নিউজ পোর্টালে নিউজ প্রকাশ করে প্রতারক বীরতারা সিটির কর্তৃপক্ষের নজর কেড়েছেন। বীরতারা সিটির ব্র্যান্ড এন্ড আইটি ম্যানেজার ফয়সাল, চৌধুরী মাহমুদ আলী সহ একাধিক কর্মকর্তা ও দালাল সাংবাদিক কায়েস যোগসাজসে স্মার্ট প্রতারক সাত্তারের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনায় বীরতারা সিটি ও ভাইয়া গ্রæপের গোপন তথ্য বিভিন্ন সাংবাদিকের কাছে সরবরাহ করে নিউজ প্রকাশে উৎসাহিত করেন। পরবর্তীতে ওই সাংবাদিককে ম্যানেজ করার কথা বলে মোট অংকের টাকা হাতিয়ে  নিয়ে নিজেরাই আত্মসাৎ করেন। এমন  অসংখ্য তথ্য-উপাত্ত অপরাধ বিচিত্রার কাছেও এসেছে। তবে অপরাধীরা যতক্ষণ তাদের অপকর্মে লিপ্ত থাকে অপরাধ বিচিত্রা ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। আর এটাই কাল হয়ে দাড়িয়েছে রিপোর্টার আহসানউল্লাহ হাসানের ক্ষেত্রে। যুগান্তরের ‘দালাল সাংবাদিক কায়েস আহমেদ সেলিম’ বীরতারা সিটি হাউজিং কোম্পানির কাছ থেকে মাসে ২৫ হাজার টাকা হারে মাসোয়ারা গ্রহন করেন বলে জানান কোম্পানীটির এক কর্মকর্তা। কিন্তু সাংবাদিকদের নিউজ প্রকাশ ঠেকানোর দালালি কাঁধে নিয়ে এখন সে কোম্পানীটির পরিচালক দাবী করেন। কোম্পানীর ম্যানেজার ফয়সাল জানান, কায়েস মুলত যুগান্তরের সাংবাদিক, চেয়ারম্যান স্যার তাকে মাসে মাসে কিছু টাকা পয়সা দেয়, সে পরিচালক-টরিচালক কিছুই না। এগুলো বাদ দেন ভাই।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কায়েস আহমেদ সেলিম যুগান্তরের সাংবাদিক পরিচয়ে রাজধানীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করে সমঝোতার নামে চাঁদাবাজি করে আসছে। তিনি পূর্বাঞ্চল নর্থসাউথ গ্রীন সিটি নামের একটি হাউজিং কোম্পানির অনিয়ম নিয়ে যুগান্তরে নিউজ প্রকাশ করলেও একই জাতীয় অনিয়ম বা প্রতারনার চিত্র তুলে ধরে বীরতারা সিটি হাউজিং কোম্পানির নামে নিউজ প্রকাশে বিরত থেকে এই কোম্পানিটির কথিত পরিচালক পদ বাগিয়ে নিয়ে মাসে মাসে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। আবার এই কোম্পানিটির নামে অন্য কোন পত্রিকার সাংবাদিক তাদের পত্রিকায় নিউজ করলে তাকেও হেনস্তা করতে উঠে পড়ে লাগেন এবং ওই সাংবাদিকের সাথে সমঝতার নাম করে কোম্পানিটির কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিজের পেট পরিপূর্ন করেন অর্থাৎ দুইদিকে ছুরি চালিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করেন। আর এসব বিষয় জানাজানি হয়ে গেলে ওই সাংবাদিকের নামে মনগড়া নিউজ করে নিজের বীরত্ব প্রকাশ করেন। অপরাধ বিচিত্রায় ধারাবাহিক ভাবে স্মার্ট প্রতারক বীরতারা সিটির চেয়ারম্যান সাত্তারের প্রতারনার নিউজ প্রকাশ বন্ধ রাখার চেষ্টায় দীর্ঘদিন দৌড়ঝাপ সহ নানা ধরনের ভয়-ভীতি দেখান। অপরাধ বিচিত্রার নামে যুগান্তরে নিউজ করবেন বলেও হুংকার দেন। দালাল সাংবাদিক কায়েস এসব করে ব্যর্থ হয়ে নিজের অনলাইন পোর্টাল বসুন্ধরা ডট টিভি সহ কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও যুগান্তর অনলাইন পোর্টালে ‘সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখিয়ে কথিত সাংবাদিকের চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট’ শিরোনামে একটি নিউজ প্রকাশ করেন। পাঠকের কাছে অপরাধ বিচিত্রার প্রশ্ন, দালাল সাংবাদিক কায়েস আহমেদ সেলিম ‘পূর্বাঞ্চল নর্থসাউথ গ্রীন সিটি নামের একটি হাউজিং কোম্পানির অনিয়ম নিয়ে যুগান্তরে নিউজ প্রকাশ করেছেন, কিন্তু একই জাতীয় অনিয়মকারী স্মার্ট প্রতারক সাত্তারের বীরতারা সিটি নামক হাউজিং কোম্পানিটির নামে নিউজ প্রকাশ করেন নাই কেন? আবার, হাসান নিউজ করে চাঁদাবাজ হলে কায়েস কি তুলসী পাতা?।

সুত্র জানায়, দালাল সাংবাদিক কায়েস যুগান্তর সহ বিভিন্ন পত্রিকা ও নামকাওয়াস্তে অনলাইন নিউজ পোর্টালের আইডি কার্ড ব্যবহার করে এধরনের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান গুলোর কাছে সাংবাদিক জগতের ডন হিসেবে নিজেকে জাহির করেন। নিউজ প্রকাশের ভয়ভীতি দেখিয়ে আদায় করেন টাকা।

দালাল সাংবাদিক কায়েসের সোর্স খ্যাত ইউটিউব চ্যানেল জেটিভির সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম বলেন, কায়েস যারে ধরে ৫/১০ লাখের নিচে ছাড়ে না। আপনে কাজ এনে দিলে কমিশন পাবেন। আমি তো এভাবেই ভাইয়ের সাথে কাজ করি।   

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বীরতারা সিটির এক কর্মকর্তা বলেন, সাংবাদিক হাসানের নিউজ প্রকাশ বন্ধ করতে না পেরে সাংবাদিক কায়েসের লালবাত্তি জ্বলে গেছে। কারন সে ইতিপূর্বে যুগান্তর পত্রিকায় হাসানের নামে নিউজ করার খরচ বাবদ চেয়ারম্যান স্যারের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তারপরেও অপরাধ বিচিত্রার নিউজ প্রকাশ বন্ধ করতে না পারায় অফিসের ভেতর চরম হাউকাউ শুরু হয়েছে। এই বাটপার গুলোর কারনে চেয়ারম্যান স্যার অনেক সমস্যার আছে। শুধু হাসানের নামেই নয়, ১৩জুন-২০২৩ তারিখে যুগান্তর অনলাইন পোর্টালে ‘রাজউকের ভয় দেখিয়ে’ কথিত সাংবাদিকের চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট! শিরোনামে  দৈনিক আমার বার্তার পত্রিকার সিনিয়র সাংবাদিক এ.আর মোল্লা’র নামেও হুবুহু একটি নিউজ প্রকাশ করেছে এই বাটপার সাংবাদিক কায়েস। সে নিজেকে একাই  সাংবাদিক মনের করে। আর বাকি সবাই তার কাছে কথিত সাংবাদিক।

এব্যাপারে আমার বার্তা পত্রিকার সিনিয়র সাংবাদিক এ.আর মোল্লা বলেন, রাজউকের এক ঘুষখোর কর্মকর্তার ব্যাপারে তথ্য অনুসন্ধান করতে গেলে ওই কর্মকর্তার পক্ষে দালাল সাংবাদিক কায়েস আমার কাছে তদবির করতে এসে যুগান্তরের সাংবাদিক পরিচয়ে ভয়ভীতি দেখায়। তার কথামতো তথ্যানুসন্ধান বন্ধ না করায়, সে আমার নামে নিউজ প্রকাশ করে। পরে জানতে পারি ওই ঘুষখোর কর্মকর্তা দালাল কায়েসকে মাসোয়ারা দিয়ে কুকুরের মতো পুষে রাখেন এবং রাজউকে তার প্রতিপক্ষ কর্মকর্তাদের নামে যুগান্তরে মনগড়া নিউজ করান।

কথিত ভুয়া সাংবাদিকদের বিষয়ে র‌্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আসলে এসকল ভুয়া হলুদ সাংবাদিক পরিচয় দানকারিদের ব্যাপারে আমরা প্রায়ই অভিযোগ পেয়ে থাকি এবং তাদের দ্রæত আইনের আওতায় আনার জন্য অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। পাশাপাশি মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন,কাউকে হয়রানি এবং কারও কাছ থেকে বø্যাকমেইল করে টাকা হাতিয়ে নিলে তদন্ত করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এব্যাপারে অপরাধ বিচিত্রার স্টাফ রিপোর্টার মো: আহসানউল্লাহ হাসান বলেন, ‘স্মার্ট প্রতারক বীরতারা সিটির চেয়ারম্যান সাত্তার’ শিরোনামে অপরাধ বিচিত্রায় ধারাবাহিক নিউজ প্রকাশ করায় তার বিরুদ্ধে যুগান্তরের দালাল সাংবাদিক কায়েস আহমেদ সেলিম যুগান্তরে নিউজ প্রকাশ করবেন বলে অসংখ্যবার হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি দেখিয়েছে। বার বারই ব্যর্থ হয়েছে। হুমকি অনুসারে এপর্যায়ে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন কাল্পনিক কাহিনী নির্ভর তথ্যসংবলিত একটি নিউজ প্রকাশ করেছে। যা ইতিপূর্বে সাংবাদিক এ.আর মোল্লার নামেও করেছে। দালাল সাংবাদিক কায়েস তার নিউজে অপরাধ বিচিত্রাকে ভুইফোড় আর রিপোর্টারকে কথিত সাংবাদিক চাঁদাবাজ আখ্যা দিতে ভুল না করলেও ‘যুগান্তর যে চাঁদাবাজদের আখড়া’ এই কথাটি লিখতে ভুলে গেছে। কারন যুগান্তরের এক ফটোগ্রাফার সদরঘাট এলাকায় ফুটপাতের চাদাবাজিতে র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘ জেলখেটে এখনো যুগান্তরেই কাজ করছে। ওই সাংবাদিকের হাতে হ্যান্ডক্রাপ্ট পরিহিত ছবি অপরাধ বিচিত্রা সহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে।      

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

seventeen − 17 =