বরগুনায় নারী গ্যাং,ব্লাকমেইল,বিয়ে,যৌতুক ও ধর্ষণ মামলা প্রধান হাতিয়ার

0
245

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুরুষদের জিম্মি করে টাকা ইনকাম করাটাই এদের পেশা।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক থেকে টার্গেট করা হয় সমাজের বিত্তবান ও রাজনৈতিক নেতাদের এছারা পুলিশ সার্জন ব্যাংক কর্মকর্তা কেহ ই রেহাই পায় না এদের হাত থেকে।গ্রুপ গ্যাং হিসেবে কাজ করে এরা,আমাদের কাছে কিছু ভুক্তভোগী অভিযোগ দিলে ইনভেস্টিগেশনে নেমে পরে অপরাধ বিচিত্রা । ভোটার আইডি কার্ডে নাসরিন নাম থাকলে ও নাম পরিবর্তন করেন বিভিন্ন সময় কখনো মোহনা,মায়া,রুহি ইসলাম বি,নাদিয়া,নুসরাত বেলা,মুক্তা সহ বিভিন্ন নাম।গ্রামের বাড়ি পাথরঘাটা থানাধীন কাকচিড়া ইউনিয়নের রুপধনে খোজ নিয়ে জানা যায় মা মেয়ে এবং খালার ব্যাবসা ই বিয়ে,যৌতুক মামলা ধর্ষণ মামলা সহ নানান মামলা। তাদের কাজে যারা বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাদের ও মিথ্যা মামলা ও হয়রানির স্বীকার হতে হয় । অনেক পুরুষ কে নিঃশেষ করে দিয়েছে এই মা মেয়ে। নাসরিন এর মা নাজমা বেগম এর প্রথম বিয়ে হয় পাশের বাড়ির মৃত্যু মোঃ কাঞ্চন আলীর ছেলে মোঃ হাবিবুর রহমান এর সাথে।হাবিবুর রহমানের অবাধ্য ছিলেন নাজমা বেগম, হাবিবুর রহমানের সংসার ভেঙে চলে আসেন নাজমা বেগম। সংসার ভাঙার পর নাজমা বেগম এর সাথে প্রেম হয় আপন চাচাতো ভাই মোঃ কামাল হোসেন এর সাথে। কামাল হোসেনকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে নেয় নাজমা বেগম।
কামাল হোসেন সহ তিন ভাই তাদের বাবা আঃ রাজ্জাক মুন্সী কামাল হোসেন কে এবং কামাল হোসেন এর ছোট ভাই শাওন ওরফে কুদ্দুস কে এক সাথে দেশের বাহিরে পাঠায়। কামাল হোসেন বাহিরে যাওয়ার কিছু মাস পর বেপরোয়া হয়ে উঠে নাজমা বেগম।নাজমা বেগমের বাবার বাড়ি আর শ্বশুর বাড়ি পাশা পাশি থাকায় বাবার বাড়িতে থাকতেন নাজমা বেগম। নাজমা প্রায় ই তার বাবার বাড়িতে পরপুরুষ আনতেন বরগুনা আমতলী পাথরঘাটা মঠ বাড়িয়া সহ বিভিন্ন পুরুষ আসতো নাজমা বেগমের বাড়িতে। কামাল হোসেনের বাবা রাজ্জাক মুন্সী এবং ভাই জামাল এগুলো দেখার পরে বার বার বুঝাতে থাকে এবং নিষেধ করতে থাকে নাজমা কে। কিন্তু বেপরোয়া নাজমা এবং নাজমার বোন সালমা। রাজ্জাক হোসেন তার দুই পূত্রকে জানান নাজমার অপকর্ম সম্পর্কে। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে। নাজমা উপায় না পেয়ে একপর্যায়ে স্বামীর ভাই মোঃ জামাল কে ১ নম্বর শ্বশুর রাজ্জাক মুন্সী কে ২ নম্বর এবং নাজমার চাচা রুস্তম কে ৩ নম্বর আসামী করে বরগুনা নারী নির্যাতন দমন আইনে একটি যৌতুক মামলা করেন যার মামলা নম্বর ৩১৭/২০১৩ । এমন ঘটনা শুনে তিন বছরের মাথায় কামালের ছোট ভাই শাওন ওরফে কুদ্দুস প্রবাস থেকে বাড়ি চলে আসেন। কুদ্দুস অনেক বার বুঝিয়েছেন নিজের বোন এবং বড় ভাইয়ের বউ কে এবং প্রবাসে থাকা বড় ভাই কামাল হোসেনকে ও জানিয়েছেন সব কিছু। তার স্ত্রী বিভিন্ন পুরুষের সাথে বাজে সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন এবং নিজ বাড়িতে এনে আদর আপ্যায়ন ও করিয়ে থাকেন।কামাল হোসেন এই ঘটনা জানার পরে খোঁজ খবর নেওয়া বন্ধ করে দেয় পরিবারের এবং তাতে ক্ষিপ্ত হয় নাজমা বেগম অত্যাচার বাড়িয়ে দেয় শ্বশুর ও কুদ্দুস এর উপর। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে রাজ্জাক মুন্সী পাথরঘাটা বিজ্ঞ উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর জানমাল নিরাপত্তা চেয়ে একটি মামলা করেন যার নম্বর এম পি নং১০৬/১৩ । কামাল হোসেনের সাথে ডিভোর্স হয় নাজমা বেগমের। ডিভোর্স হওয়ার আগে থেকেই নতুন করে সম্পর্ক তৈরি করে পাথরঘাটা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের মৃত্যু আজাহার উদ্দিন বেপারীর ছেলে মৎস্য ব্যাবসায়ী মোস্তফা কামাল আলমের সাথে। প্রায় ই আলম যাওয়া আসা করতেন নাজমা বেগমের বাড়িতে।আলম ব্যাবসায়ীর টাকায় নিজের ঘর উঠিয়ে নেন এবং ৫ টি গাভী ও কিনে থাকেন। প্রেমের ফাঁদে ফেলে আলম কে নিয়ে বরগুনা ঘুরতে আসে নাজমা বেগম, ঘুরতে এসে আলম কে একটি বাসায় আটকিয়ে, বরগুনার স্থানীয় ছেলে পেলেদের সহযোগিতায় জোর করে বিয়ে করতে বাধ্য করেন আলম ব্যাবসায়ীকে এবং তিনলক্ষ টাকা দেনমহর ধার্য্য করে বিবাহ সম্পন্ন হয় এবং একই দিনে স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক ও দেওয়া হয়। নিকাহনামা তে স্বাক্ষী হিসেবে রাখা হয় বরগুনা পৌরসভা ৬ নং ওয়ার্ডের কমিশনার তৌহিদ মোল্লা এবং ডিকেপি রোডের বাচ্চু চৌধুরী পিতা এনায়েত চৌধুরী কে। আরো জানা যায় আলম ব্যাবসায়ীকে আটকে রেখে ৭ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করা হয়।

গরু লালন পালন করতে গিয়ে পরিচয় হয় পাথরঘাটার পৌরসভার বাসিন্দা পশু ডাক্তার জালাল ডাক্তার এর সাথে।জালাল ডাক্তার এর স্ত্রী মারা গিয়েছেন অনেক আগে জালাল ডাক্তার পাথরঘাটার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রিপন মোল্লার শ্বশুর এছারা ও জালাল ডাক্তার এর এক মেয়ে জজ এবং বর্তমানে বিভিন্ন মামলার ক্ষেত্রে এই মহিলা জজ বিভিন্ন জায়গায় সুপারিশ করে থাকেন বলে জানিয়েছেন এক ভুক্তভোগী।আত্মীয়তার সম্পর্ক গড়েন জালাল ডাক্তার এর সাথে বিনিময় প্রথায় চলছে সম্পর্ক।একের পর এক নতুন পুরুষদের আসা যাওয়া বেড়ে যাওয়ার করনে বাঁধা দিতে থাকেন দ্বিতীয় স্বামী কামাল হোসেন এর ভাই জামাল ও কুদ্দুস, এ নিয়ে অনেক ঝামেলা ও গ্রাম্য শালিসি বৈঠক ও করেছেন স্থানীয় মেম্বার চেয়ারম্যানরা।নিজ এলাকায় টিকতে না পেরে নাজমা বেগম পরিবার নিয়ে আস্তানা তৈরী করেন বরগুনা শহরে এখানে পরিচয় হয় আসাদ সবুর ওরফে জাকির নামের এক এনজিও কর্মকর্তার সাথে, বাটপার প্রতারক হিসেবে পরিচিত থাকলে ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সাথে ভালো সক্ষতা আছে এই আসাদ সবুর জাকির এর সাথে, বিয়ে করেন আসাদ সবুর জাকির কে এবং এই আসাদ সবুর জাকিরের সহায়তায় নাজমা বেগম এর দ্বিতীয় স্বামী কামাল হোসেনের আপন ভাই শাওন ওরফে কুদ্দুস এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়েছেন।মামলা নম্বর সি আর ৯৩৫ মোং নং ১৯ বরগুনা চিপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত,এই মামলার বাদী মোঃ নয়া মিয়া যার স্থায়ী ঠিকানা পূর্ব ঝাড়াখালী, থানা:তালতলী জেলা:বরগুনা, বর্তমান ঠিকান উল্লেখ করা হয়েছে সোনিয়া সিনেমা হল সংলগ্ন মনা মিয়ার বাসা সদর রোড বরগুনা।আরেকটি মামলা দায়ের করে পাথরঘাটা উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এম পি মামলা নং -২৭৪/১৯, আরো দুটি মামলা দায়ের করেন শাওন ওরফে কুদ্দুস এর নামে। তবে বর্তমানে কামাল হোসেন বিদেশ থেকে ফিরে আসলে আসাদ সবুর জাকির এবং কামাল হোসেন দুই জনার সাথে ই সংসার করছেন নাজমা বেগম।

মা হেঁটেছেন যেই পথে মেয়েকে ও চালিয়েছেন সেই পথে।বরগুনা জজ কোর্টের এমন কোন কর্মকর্তা কর্মচারী নেই যারা এই মা মেয়েকে চিনেন না।
নাজমা এবং কামালের এর প্রথম মেয়ে নাসরিন এটা তার আসল নাম হলে ও স্থান ও পাত্র কাল হিসেব পরিবর্তন করে থাকেন নিজের নাম।কখনো নাসরিন কখনো মোহনা,মুক্তা,মায়া,নাদিয়া,নুসরাত,বেলা,রুহী সহ বিভিন্ন নাম।নাসরিন এর প্রথম বিবাহ হয় ৪ এপ্রিল ২০১৬ প্রেম এর সম্পর্ক থেকে বিয়ে হয় লেমুয়া বেতমোর নামক স্থানের মোঃনাসির চৌধুরীর ছেলে মোঃ বাতেন চৌধুরী (শাওনের)সাথে।প্রথম স্বামীর নামে নাসরিনের মা নাজমা বেগম বাদী হয়ে নারী ও শিশু আইনে বাতেন চৌধুরী সহ মোট ৬ জন কে আসামি করে ধর্ষন মামলা করেন পাথরঘাটা থানায়। মামলা নম্বর ২৬২/১৬ যা এখনো চলমান আছে।ভুক্তভোগী বাতেন চৌধুরী আমাদের কে জানায় মা মেয়ে মিলে ই তাকে এই মামলা দিয়েছেন বাতেন আরো বলেন তার মায়ের অবৈধ ব্যাবসা বারন করাটাই আমার কাল হয়ে দাড়িয়েছে তাদের সকল অবৈধ ব্যাবসার সাপোর্ট দিতে হবে আমার কারন স্থানীয় ভাবে আমার যথেষ্ট প্রভাব আছে আর আমি তাতে রাজি হই নি বলে ই আমাকে এই মামলার আসামি করা হইছে।এছারা একই মামলার আসামি হাবিব বলেন আমি এই ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানি না আমি জানতাম বাতেন ও নাসরিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো এবং বিবাহ করেছে কিন্তু নাসরিন ও তার মা কেনো বাতেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দিলো আর সেখানে আমাকেই বা কেনো আসামি করলো।পরে আমি অবশ্য জানতে পারি যেহেতু আমরা রাজনৈতিক ফ্যামিলির মানুষ এবং আমরা যথেষ্ট আর্থিক ভাবে সচ্ছল এবং নাসরিন ও তার মা এই মামলা দায়ের এর পর থেকে ই বিভিন্ন মাধ্যমে আমাদের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবী করেছেন।এই মামলার আসামি রাসেল বলেন আমার বাবা মারা গেছেন অনেক আগে আমার বিরুদ্ধে এই মামলা হওয়ার পর আমার পরিবারটা সম্পূর্ণ নিঃশেষ হয়ে গেছে অনেক কষ্ট করে বাবার পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে তাদের কে টাকা দিয়েছি তারপর ও আমার নামটা চার্জশিট থেকে কেটে দেওয়ার কথা বলে কাটে নি কিন্তু বিশ্বাস করেন ভাই আমি কিছু জানি না।বাতেন চৌধুরী আরো বলেন শুধু আমাকে আসামি করে নি এমন কি এই ধর্ষন মামলায় আমার বৃদ্ধ বাবাকে ও আসামি করছে এই নাজমা বেগম এবং তার মেয়ে নাসরিন। আমি বিয়ে করে ভুল করেছিলাম কিন্তু আমার বাবা কি করছে?এছারা ফরহাদ বলেন আমরা এই ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানি না কিন্তু আমাকে এখানের যেকোন একটা রাজনৈতিক গ্রুপ তাদের পূর্ব শত্রুতার কারনে এই মা মেয়ের সাথে হাত মিলিয়ে আমাকে আসামি করেছে বলে আমাদেরকে বলেন।নাম পরিচয় দিতে অনিচ্ছুক একই ইউনিয়ন রূপধনের এক ব্যাক্তি জানান এলাকায় নানান অপকর্মে করে যাচ্ছিলো এই পরিবার এবং এলাকার মানুষ জানার পর তাদেরকে স্থায়ীভাবে এলাকায় থাকতে বারণ করেন এলাকাবাসী এবং তখন কাকচিড়া ইউনিয়ন ছেরে বরগুনায় ভাড়া বাসায় বসতি গড়ে নাসরীন ও নাসরিনের মা।বরগুনা এসে একের পর এক পুরুষদের ফাঁদে ফেলেছেন নাসরিন রুহি নামের এই মেয়ে পিটিআই সড়কের বাসিন্দা গোলাম রাব্বি জানান নাসরিন এর সাথে তার বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তারপর প্রেম হয় কিন্তু প্রেম হওয়ার পর জানতে পারেন নাসরিন বিভিন্ন মানুষের সাথে কুয়াকাটা বরিশাল হোটেলে টাকার বিনিময়ে রাত্রি যাপন করেন এছাড়া ও ইয়াবা সহ বিভিন্ন মাদকের সাথে যুক্ত এবং বিভিন্ন মানুষকে ব্লাকমেইল করে থাকে। রাব্বি আরো জানান আমি এতকিছু জানার পরে যখন যোগাযোগ বন্ধ করে দেই তখন নাসরিন এর মা এবং নানা আমার বাসায় এসে মামলা মকদ্দমার ভয় দেখায় এবং বলে তাদের মেয়েকে তারা খুজে পাচ্ছে না এবং একপর্যায়ে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে ২০১৮ সালে আমাকে ১ নং আসামি ও বরগুনা উপজেলা তাতীলীগের ততকালীন সভাপতি সোহেল রানা কে ২ নং আসামী করে একটি ধর্ষন চেষ্টা মামলা দায়ের করেন।রাব্বি আরো জানান মামলা দায়ের করার পরের দিনই কোর্ট থেকে না জানা কোনও কারন বসত মামলা উঠিয়ে ফেলেন নাসরিনের মা।আরো এক ভুক্তি ভোগি সাইফুল জানান আমার সাথে ও প্রেমের অভিনয় করে এবং আমাকে বিয়েতে বাধ্য করেন বিয়ে না করলে আমার পারসোনাল ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে থাকে এবং এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তি বসে আলোচনার মাধ্যমে ১ লক্ষ টাকা দেওয়ার পরে পরিস্থিতি ঠান্ডা হয়।এছারা ও একজন পুলিশ সার্জন কর্মকর্তা আনোয়ার মাসুদ বরগুনাতে পোস্টিং থাকা অবস্থায় তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন নাসরিন রুহি জানা যায় ঐ সার্জন কর্মকর্তা ৪০ উর্ধ্বে বয়স এবং তার প্রথম ঘরে দুটো মেয়ে সন্তান আছে তার স্ত্রী তার মেয়েদের নিয়ে চট্রগ্রাম থাকেন।এবিষয়ে সার্জনের কাছে জানতে চাইলে অস্বীকার করেন সার্জন কিন্তু এই সার্জন এর ব্যাংক একাউন্ট থেকে ১ লক্ষ টাকা চট্টগ্রাম শাখা হতে বরগুনার অগ্রনী ব্যাংক শাখায় মোসাঃ নাসরিন নামের একাউন্টে আসে যার রশিদ ক্রমিক নম্বর১৬২৫৪৩৮ ।টাকা পাঠানোর একটি ব্যাংক রশিদ আমাদের হাতে এসে পৌঁচেছে এবং তাদের একান্ত কিছু ছবি।

এছারা ও ফাদে ফেলেছেন একসময়ের জনপ্রিয় গিটারিস্ট ও প্রভাবশালী ছাত্রলীগ নেতা নূুর হোসেন ইমামকে।নুর হোসেন ইমাম বলেন আজ আমি মিথ্যা মামলার আসামি সমাজের চোখে আমাকে করেছে হেও প্রতিপন্ন,এদের কাছে আইন ও নিরুপায়।বিয়ের কিছু দিন পর থেকে ই আমি প্রতিদিন ব্লাকমেইলের স্বীকার হতে থাকি।বিভিন্ন পুরুষের সাথে নাসরিনের টাকার বিনিময়ে দৈহিক সম্পর্ক হয়ে থাকে আমি যখন থেকে এটা বুঝতে পারি তারপর থেকে ই মানসিক অত্যাচারের স্বীকার হতে থাকি আমি।তারমধ্যে একজন ছিলো, আমার চোখে পরার মতো জালাল ডাক্তার তার সম্পর্কে জানতে চাইলে ই বলতো সে আমার নানু হয় কিন্তু আমি একদিন কিছু কল রেকর্ড পাই নাসরিনের ফোনে তারপর বুঝলাম তাদের মধ্যে আসলে কি সম্পর্ক যেটা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না,টাকার জন্য একজন ষাটোর্ধ বুড়ো লোকের সাথে ও এক বিছানায় যেতে পারে নাসরিন তারপর থেকে আল্লাহর কাছে এটাই চাইছি আল্লাহ এই বিপদ থেকে আমাকে রক্ষা করো।আল্লাহ আমাকে রক্ষা করেছে ঠিকই কিন্তু কত কষ্টে যে বেঁচে আছি সেটা আমি জানি আর আমার আল্লাহ জানে।রুহি হিসেবে সবাই যাকে চিনেন আসলে এটা তার ছদ্মনাম কখনো রুহি কখনো মোহনা,মুক্তা,নাদিয়া,আসল নাম নাসরিন ওর সাথে আমার পরিচয় হয় ফেসবুকে তারপর বন্ধুত্ব তারপর প্রেম অতপর বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়।আমি আমার মায়ের কথায় বিবাহ করি এবং রুহি বলেছিলো ওর একটা পরিচয় দরকার মানুষ খারাপ বলে এরকম প্রেমের সম্পর্ককে, আমি ও রাজি ছিলাম কিন্তু আমি মানুষটাকে ভালবেসেছিলাম। চেয়েছিলাম নিজেকে গুছিয়ে নিবো ও যেমনটা হোক ওর যত খারাপ অতীতই থাকুক না কেনো মানুষ পরিবর্তন শীল এই ভেবে অতীত কে গুরুত্ব না দিয়ে ভবিষ্যৎ কে চিন্তা করে যে ভবিষ্যৎ ভালো হবেই আল্লাহ ভরসা সেই ভেবে বিয়েটা করে ফেলি।কিন্তু আমি এটা ভাবতে পারি নি সে আসলে আমার লাইফে এসেছিলো আমার ক্যারিয়ার ধুয়ে মুছে গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়ার জন্য।এটাও বুঝতে পারি নি সে একজন ব্লাকমেইলার চক্রের সক্রিয় সদস্য।তবে বিয়ের পরের দিন আমার কাছে স্বীকার করেছিলো বলছিলো ইমাম তোমাকে সব কথা বলা যাবে না তাহলে তুমি হয়তো আমার সাথে সম্পর্কই রাখবে না,আমি জানতে চাইলাম কি বলো, বললো হ্যা তোমার সম্পর্কে সবাই যেমন বলছে তুমি আসলে তেমন না তুমি অনেক ভালো।তবে তোমার অনেক শত্রু। তখন কথা শুনে আমি হতবাক হয়ে যাই কিন্তু নিজেকে মানিয়ে নিয়েছিলাম আসলে ভালবাসতে হবে ভালবাসা দিয়ে সব কিছু জয় করা সম্ভব।সম্পর্ক কিছুদিন ঠিক থাকলে ও ধীরে ধীরে সম্পর্ক দুরত্ব বারতে ছিলো।আমি ও তার জীবন সম্পর্কে জানতে শুরু করলাম একটার পর একটা ঘটনা শুনে আমি রীতিমতো অবাক হচ্ছিলাম কিন্তু সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি আমার সাথে ও শুরু হয়ে গিয়েছে।আসলে এতকিছু হয়তো বলে শেষ করা সম্ভব না তবে সে একসময় পতিতাবৃত্তি করতো এটাই তার মূল কাজ ছিলো এবং বিবাহের পর সে এই কাজ গুলো চালিয়ে যাচ্ছিলো এবং মানুষ ব্লাকমেইল করা তার প্রধান নেশা ছিলো আসলে পতিতাবৃত্তি তার একটা নেশা হয়ে গেছিলো।তার সাথে জড়িত থাকতো তার মা,তার মায়ের বোন তার নানা এবং তার নানি একজন ভালমানুষ হলেও সে কোন কিছু দেখে ও না দেখার ভান করতো। তার মায়ের ও তিন চারটার মত বিয়ে হয়েছিলো এবং এই রুহির ও এর আগে বিয়ে হয়েছিলো। ফেসবুক আইডি ব্যাবহার করে বিভিন্ন ছেলে এবং বয়স্ক পুরুষদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ও অবৈধ সম্পর্ক তৈরী করতো আমি হাতে নাতে ও অনেকবার ধরছি এইসব বিষয় নিয়া আমার সাথে বহু বার ঝগড়া বিবাদ ও হইছে কিন্ত সবসময় আমি ব্লাকমেইল এর স্বীকার হতাম। আমি বেশী কথা বললে আমার আজে বাজে ছবি ভাইরাল করে দেওয়া হবে আমি একটা সময় এসে চুপচাপ হয়ে যাই আসলে আমার ভিতর কি চলতে ছিলো সেটা একমাত্র আমি ই বুঝতেছিলাম।একটা পর্যায়ে আমার ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক করে আমাকে ভয় দেখায় আমি যদি ৫ লক্ষ টাকা না দেই নাসরিন কে তাহলে আমার কিছু উলঙ্গ ছবি আমার ফেসবুকে ছেরে দিবে এবং আমি টাকা দিতে পারবোনা বলার পরে ২০২২ সালের ১৩ ডিসেম্বর রাতে আমার ফেসবুক একাউন্টে আমার কিছু বাজে ছবি আপলোড করে নাসরিন এবং নাসরিনের নিজের ওয়্যাটএ্যাপ একাউন্ট থেকে বিভিন্ন মানুষের কাছে সেন্ড করে এবং আমার নামে বরগুনার নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে একটি মিথ্যা যৌতুক মামলা দায়ের করে মামলা নম্বর ১১৮/২৩ পিটিশন নম্বর ৯৯/২০২৩। যেই তারিখ উল্লেখ করে আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে আমি সেই তারিখ ঢাকা ছিলাম যার সিসিটিভি ফুটেজ ও আমার কাছে আছে কিন্তু মামলার তদন্ত ভার দেওয়া হয় ৯নং এম বালিয়াতলী হাফিজিয়া মাদরাসার সুপার এর কাছে সে আমাদের কাছে কিছু না জানিয়ে তদন্ত না করেই রিপোর্ট জমা দেন কোর্টে। সুপার এর কাছে জানতে চেয়েছিলাম আমি আমাকে বলে কোর্ট থেকেই নাকি একতরফা দিতে বলেছে এবং আরো জানায় এক মহিলা জজ তাকে ফোন দিয়ে এ নির্দেশনা দিয়েছে।আমি মানসিক ভাবে অনেক মাস অসুস্থ ছিলাম এবং সুস্থ হয়ে আমি ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইবুনালে নাসরিন এর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করি মামলা নম্বর ৬১/২৩।কিন্তু আমি আশাহীনতায় ভুগছি হয়তো আমি সঠিক বিচার পাবো না কারন একজন বিচারক যদি অন্যায় এর পক্ষে থাকেন তাহলে সেখানে ন্যায় বিচার আশা করাট ভুল,এমনটা ই অপরাধ বিচিত্রাকে জানায় নূর হোসেন ইমাম।তবে এব্যাপারে নাসরিন কে অপরাধ বিচিত্রার পক্ষ থেকে মুঠো ফোনে সংযোগ করা হলে তিনি তার অতীতের সকল অপরাধ অস্বীকার করেন এবং বলেন সেগুলো তার জীবনে দূর্ঘটনা ছিলো ইমামের সাথে আমাকে রিলেশন করতে বলেছিলেন বরগুনার মাছরাঙা টেলিভিশন এর জেলা প্রতিনিধি মুশফিক আরিফ ভাই আবার জানতে চাইলে তিনি এরিয়ে যান প্রশ্নটি এবং নাসরিন আরো বলেন তার নামে যেই মামলা দিয়েছে ইমাম তাতে কিছুই হবে না তার।নাম পরিচয় গোপন এর স্বার্থে একজন বলেন নাসরিনের মা খালা ও নাসরিনের এটাই পেশা এবং তাদের সকল সাপোর্ট করে থাকেন পাথরঘাটার পশু ডাক্তার জালাল এবং নাসরিন জালাল ডাক্তারের বাসায় প্রায়ই বেড়াতে আসেন রাত্রি যাপন করেন এবং সেই সুবাদে জালাল ডাক্তার তাদের বিভিন্ন মামলায় সাপোর্ট করে থাকেন।কারন তার মেয়ে একজন এডিশনাল জজ জামাতা পাথরঘাটার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা এটা আমার থেকে আপনারাই ভাল বুঝেন,তাদের কতটা ক্ষমতা থাকতে পারে।তবে এই ব্যাপারে ইনভেস্টিগেশন এখনো চলমান আছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

twenty − 11 =