দেশ বিরোধী চুক্তি প্রকাশ হওয়ার ভয়েই সরকার খালেদা জিয়ার বক্তব্য প্রচারে বাধা দিয়েছে: বিএনপি

0
1645

রিপোর্টার নানা: গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন সরকার প্রধান ভারতে গিয়ে যে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে সই করেছেন তা দেশ ও জনগণের স্বার্থবিরোধী এই সত্য প্রকাশ হওয়ার ভয়েই তারা বিএনপি চেয়ারপারসনের বক্তব্য প্রচারে বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে দেশের মানুষের সকল অধিকার ভুলন্ঠিত করেছে। মানুষের মৌলিক অধিকার পর্যন্ত তারা হরণ করতে কুন্ঠাবোধ করছে না। তাদের হুকুম ছাড়া যেন দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট খবরও প্রকাশ না পায় সেজন্য গণমাধ্যমকে সরকার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে। সত্যিকারার্থে জনবিচ্ছিন্ন পদক্ষেপে সরকারের মধ্যে সর্বদা আতংক বিরাজ করছে। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন, বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলের প্রধান, সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী গতকাল বিকাল সাড়ে চারটায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানস্থ কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। সাংবাদিক সম্মেলন শুরু হলে বেশ কয়েকটি  টেলিভিশন চ্যানেলে বিএনপি চেয়ারপারসনের বক্তব্য সরাসরি সম্প্রচারের শুরু করলেও সাথে সাথে তা বন্ধ করে দেয়া হয়। তাছাড়া অধিকাংশ টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে গুরুত্বহীনভাবে বিএনপি চেয়ারপারসনের বক্তব্য প্রচার করা হয়েছে বা কোনো কোনো টেলিভিশন চ্যানেলে তা সম্পূর্ণ ব্লাকআউট করা হয়েছে। সরকারের সরাসরি নির্দেশেই বিএনপি চেয়ারপারসনের বক্তব্য প্রচারে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। আজকেও দেশের অনেক জাতীয় দৈনিকেও দেখা গেছে বেগম খালেদা জিয়ার গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যকে গুরুত্বসহকারে উপস্থাপন করা হয়নি। গণমাধ্যমকে বেপরোয়ভাবে নিয়ন্ত্রনের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বিএনপি চেয়ারপারসনের বক্তব্য প্রচারের ওপর অঘোষিত নির্মম সেন্সরশীপরে মাধ্যমে। সরকারের অপকর্ম ঢাকতেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর সরকারের উদ্ধত হস্তক্ষেপ চালায়। বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকারের এই আচরন স্বেচ্ছাচারি, অগণতান্ত্রিক ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের আরেকটি দৃষ্টান্ত। এতে একটা বিষয় পরিস্কার হয় যে, সরকার প্রধান ভারতে গিয়ে যে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে সই করেছেন তা দেশ ও জনগণের স্বার্থবিরোধী। নইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের বক্তব্য প্রচারে বাধা দিতে সরকার এতটা বেপরোয়া হয়ে ওঠতোনা। সত্য প্রকাশ হওয়ার ভয়েই তারা বিএনপি চেয়ারপারসনের বক্তব্য প্রচারে বাধা দিয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের বক্তব্য প্রচারে বাধাদানে জনমনে সন্দেহ আরো তীব্র হয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী সত্যি সত্যি দেশবিরোধী চুক্তি করেছেন আর সেজন্যই তা লুকাতে রাস্ট্র শক্তিকে ব্যয় করে বিরোধী সমালোচনাকে স্তব্ধ করে দিতে চাচ্ছেন। গণবিরোধী সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপই  কুৎসিত রুপ পরিগ্রহ করে। রিজভী বলেন, সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের পঠিত বক্তব্য টেলিভিশন চ্যানেল ও পত্র পত্রিকায় প্রচারে বাধা দেওয়া এটি বিরোধী দলের প্রতি সরকারের প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ। এরা বাক-ব্যক্তি ও মত প্রকাশের স্বাধীনতায় অবিশ্বাসী একটি রাজনীতিক দল, যারা বিরোধী মত সহ্য করাকে অপরাধ বলে মনে করে। আর সেজন্যই গুম খুন বন্দুকযুদ্ধের নামে বিচারবর্হিভূত মানুষ হত্যার কর্মসুচি অব্যাহত রেখে বিরোধীদলশুন্য প্রতিবাদহীন বন্দীশালায় পরিণত করেছে সারাদেশকে, আর অদৃশ্য করা হয়েছে মানুষের সকল অধিকারসহ গনতন্ত্রকে। বাংলাদেশের মানুষকে নিয়ন্ত্রননামক সাঁড়াশিতে আটকে রাখা হয়েছে। বিএনপি, চেয়ারপারসনের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচারে বাধা সৃষ্টি করতে সরকারের ন্যাক্কারজনক স্বৈরাচারী হস্তক্ষেপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান রিজভী।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

five × four =