নারায়ণগঞ্জ থেকে গুড়ে এসে বৈরাম খাঁঃ
সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ জেলার রেকার হাবিলদার ওয়াসিম ব্যাচ নং ১৯৩ তার স্ত্রী আর ওয়ান মনির সাহেবের দখলে বলে আফাজ নগর এলাকায় সাধারণ মানুষের মুখে মুখে উচ্চারিত হচ্ছে। এখানেই সিমা বন্ধ থাকেনি মাসদাইর পুলিশ লাইনেও চলছে আর ওয়ান মনির ও সিমা রাণীর নাটকের কাহিনীর গুণজন। তবে আফাজ নগর এলাকার বেশ কয়েক জন ব্যাক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে আমাদের মোবাইল রিপোর্টারের নিকট জানিয়েছেন পুলিশ বলে কথা। সাধারণ কোন মানুষ হলে বাহির থেকে তালা মেরে পুলিশকে খবর দিতাম। কিন্তু যেখানে পুলিশ অন্যায় অপরাধ করে যাচ্ছে সে খানে পুলিশকে জানালে বিষয়টি আইওয়াশ হবে। যার ফলে বিষয়টি পত্রিকায় প্রকাশ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এখানে উল্লেখ্য নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইনের আর ওয়ান মনির এই নাটকের মহানায়ক বলে জানা যায়। উক্ত নাটকের নায়িকা এএস আই সিমা রানী (রিজার্ভ)। অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে আর ওয়ান মনিরের সাথে অবৈধ সম্পর্ক ময়মনসিংহ থাকা অবস্থায় গড়ে ওঠে। পুলিশ সুপার ময়নুল হক সাহেব ময়মনসিংহ থেকে বদলি হয়ে নারায়ণগঞ্জ আসেন এবং কিছুদিন পর আর ওয়ান মনির ও বদলি হয়ে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইনে আর ওয়ান হিসাবে যোগদান করেন এবং এসপি সাহেবকে বুঝিয়ে সুজিয়ে সিমা রানী ও তার স্বামী ওয়াসিম কে লোভ দেখিয়ে নারায়ণগঞ্জ বদলি করে আনেন ভোগ দখল করার জন্য। যার ফলে কৌশল করে আর ওয়ান মনির এএসআই সিমা রানীকে পুলিশ লাইনে রিজার্ভ রেখে টাকা পয়সার লোভ দেখিয়ে সিমা রানীর স্বামী হাবিলদার ওয়াসিমকে রেকার তিন এর দায়িত্ব দিয়ে ভুলতা গাউছিয়া এলাকায় ফেলে রেখে সিমা রানীকে দখলে রেখে ভোগ করছেন আর ওয়ান মনির। সূত্রে আরো জানা যায়, আফাজ নগর এলাকার আবুলের বাড়ির নিচ তলা ভাড়া নিয়েছেন হাবিলদার ওয়াসিম। কিন্তু সপ্তাহে ৩/৪ দিন আসা যাওয়া করেন। আর ওয়ান মনিরের বিষয়ে অনুসন্ধান করে এলকাবাসি জানিয়েছেন মনির একজন পুলিশের আর ওয়ান বলে জানতে পান এনিয়ে আফাজ নগর এলাকার সাধারণ বাসিন্দাদের কৌতুহলের শেষ নেই। হাবিলদার ওয়াসিম এর স্ত্রী আর ওয়ানের দখলে আবার কেহ বলেন দুজনেই স্ত্রী। এছাড়া মাসদাইর পুলিশ লাইনের পুলিশ সদস্যরা বলা বলি করছেন আর ওয়ান স্যার বুদ্ধিমান লোক সিমা রানীর স্বামী হাবিলদার ওয়াসিম ব্যাচ নং ১৯৩ তাকে ভুলতা গাউছিয়া রেকার তিন এর দায়িত্ব দিয়ে দিন রাত ডিউটি দিয়ে সিমা রানীকে ভোগ দখল করে যাচ্ছেন মনির স্যার। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার ময়নুল হক সাহেবের সাথে কথা বলার জন্য গত ১৪ই মার্চ চারবার ফোন করেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া আওয়ান মনিরকে ও ফোন করে পাওয়া যায়নি। তবে একটি বিষয় পরিস্কার যে এসপি সাহেবের সরকারী ফোনে বারবার রিং হয়েছে কিন্তু তিনি রিসিপ না করে কেটে দিয়েছেন। এই যদি হয় পুলিশ বাহিনীর অবস্থা তাহলে সাধারণ মানুষ কি আশা করতে পারে অথচ লেখা রয়েছে পুলিশ জনগনের বন্ধ, পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ। সৎ, সাহসী, দক্ষ বিনয়ী, বুদ্ধিমান এই কি তার পরিচয়। উপরোক্ত বিষয়টি নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার সাহেবের নিকট প্রত্রিকার মাধ্যমে তদন্ত করে দেখার জন্য আফাজ নগরবাসি অনুরোধ জানিয়েছেন।