অপরাধ বিচিত্রা ডেস্ক ঃ
রাজধানীর কদমতলী থানার দুই মামলায় উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর রোডের ৩ নম্বর বাসা থেকে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় আমীর মোঃ মকবুল হোসেন, সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলার বিবরনীতে জানা যায়, গত ২৯ শে সেপ্টেম্বর কদমতলীর পূর্ব ধোলাইপাড়ের বিক্রমপুর গার্ডেন সিটির ৪৪২/৩ বাড়ীর দ্বিতীয় তলা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জামায়াতের ঢাকা মহানগর (দঃ) এর আমীর, নায়েবে আমীর সহ ১০ জনকে গ্রেফতার করে কদমতলী থানা পুলিশ। গ্রেফতার কৃতরা হলেন ঢাকা মহানগর (দঃ) এর আমীর নুরুল ইসলাম বুলবুল, নায়েবে আমীর মঞ্জুরুল ইসলাম ভুইয়া, সেক্রেটারী মোঃ শফিকুল ইসলাম মাছুদ, কর্মপরিষদ সদস্য মোকারম হোসেন খান, শরীফ উদ্দীন আহম্মেদ, মোঃ খলিলুর রহমান, মোঃ ফরিদুল ইসলাম, অফিস পিয়ন মোঃ আলাউদ্দীন, দারোয়ান মোঃ মানিক। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শিয়া সম্প্রদায়ের তাজিয়া মিছিল ও হিন্দু সম্প্রদায়ের দূর্গাপূজাকে সামনে রেখে ২০-২৫ জন জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ এক গোপন বৈঠকে বসে বলে গোয়েন্দাসূত্রে খবর পায় পুলিশ। তৎক্ষনাত ওয়ারী জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ ফরিদ উদ্দীন এর নেতৃত্বে শ্যামপুর জোন এর এ.সি, কদমতলী থানার ওসি সহ ওই বাড়ীতে অভিযান চালায় পুলিশ। কিন্ত পুলিশ বাড়ীটি ঘিরে ফেলার পূর্বেই ১০-১২ জন জামায়াতের শীর্ষপর্যায়ের নেতা বাড়ী থেকে বেরিয়ে যেতে সক্ষম হন। বাড়ীর ভিতরে যখন পুলিশ প্রবেশ করে তখন ঢাকা মহানগর (দঃ) এর নেতৃবৃন্দ মিটিংরত অবস্থায় ছিল। জানা যায়, নাশকতার মাধ্যমে সম্প্রীতি বিনষ্ট করা সহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করে সরকারকে নাজেহাল করার উদ্যেশ্যে এবং দেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য ষড়যন্ত্র করছিল এবং অন্তর্ঘাতমূলক কার্য সম্পাদন ও জ্বালাও পোড়াও পরিস্থিতি সৃষ্টির পরিকল্পনার জন্য একত্রিত হয়েছিল বলে সাক্ষ্য প্রমান পাওয়া যাচ্ছে। আসামী গ্রেফতারকালে পুলিশ বাসা থেকে ৪৭ টি ককটেল, ৩ টি চাপাতি, ২ টি ছোরা, ১২ টি জিহাদী বই, ১৯ টি মোবাইল, ১ সেট কম্পিউটার জব্দ করে। কদমতলী থানার এস.আই মোঃ আব্দুল জলিল বাদী হয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ (৩) ও ১৯৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯ (ই) ধারায় দুটি মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কদমতলী থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোঃ সাজু মিঞা প্রত্যেক মামলায় আসামিদের ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে উত্তরা থেকে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় আমীর মোঃ মকবুল হোসেন, সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান, নায়েবে আমীর মিয়া গোলাম পরোয়ার কেন্দ্রীয় সদস্য মোঃ নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মহানগর আমীর মোঃ শাহজাহান, সেক্রেটারী মোঃ নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম (দঃ) জেলা আমীর মোঃ জাফর সাদেক কে গ্রেফতার করা হয়।