বন্দর পতেঙ্গা ইপিজেড থানা এলাকার জুয়া, মাদক, পতিতালয় বানিজ্যের গডফাদার এমাদুল প্রকাশ (বরিশাইল্যা এমাদুল) তার দেশের বাড়ি খুলনা বাগেরহাট জেলার মংলা থানায়। সে দীর্ঘদিন যাবত বন্দর থানা এলাকার ওয়াশিল চৌধুরী পাড়া এলাকায় বসবাস করে আসছে। প্রথম অবস্থায় সে ছিল একজন রিক্সা চালক এবং ডেইলী লেবার পরবর্তীতে সে কয়েকটা রিক্সার মালিক হয়। ঐ রিক্সা মালিক হওয়ার পরে স্থানীয় একজন প্রভাবশালী নেতার হাত তার মাথার উপরে পড়ার কারনে সে বর্তমানে অবৈধ লটারী ব্যবসা তিনটি, একটির স্থান সিইপিজেড মেইন গেইট। সেই অবৈধ লটারীর ব্যবসা পরিচালনা করে সুমন নামে একজন আর দুটি জুয়ার ঘর আছে ষ্টীলমিলস্ র্যাব-৭ এর পার্শ্বে ঐ দুটি দেখাশুনা করে দাত ভাঙ্গা জাকির ও কবির। সরোজমিনে গিয়ে আরো দেখা যায় ৩৮নং ওয়ার্ড কলসি দিঘী রোডের পার্শ্বে রেলওয়ের জায়গায় পাশাপাশি চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঝখানে খোলাখুলিভাবে চালাচ্ছে ডাব্বা (জুয়ার ঘর) ঐ জুয়ার ঘরের সামনাসামনি আছে আজিজিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং বেসরকারী আরো তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানায় চট্টগ্রাম মহানগরে ১৬টি থানা পুলিশ, ডিবি ও কোস্টগার্ড পুলিশের সে সোর্সদের গডফাদার বলে পরিচিত। সে সোর্সদের দিয়ে দেশে আসা বিদেশী বিভিন্ন আমদানিকারক জাহাজের কর্মকর্তা বিদেশীদের কাছে ইয়াবা, গাজা, হিরোইন এগুলো সরবরাহ করে। তার বিনিময়ে সে উক্ত জাহাজগুলোর কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বিদেশী অবৈধ সিগারেট, মদ, বিয়ার ও ইউএস ডলার গ্রহণ করে। ঐ জাহাজগুলোতে অবৈধ এই মাদকদ্রব্য নিয়ে যাওয়ার জন্য নিয়োজিত আছে তার দুইজন সহচর (১) শাহ আলম মাঝি, (২) বাহাদুর মাঝি। তাদের দুজনেরই দেশের বাড়ি বাগেরহাট জেলায়। তদন্তপূর্বক আরো জানাযায় যে, তাকে সেল্টার দেয় এক প্রভাবশালী নেতা। তাহাকে সবাই চিনে এবং জানে। এমন কোন অপকর্ম বন্দর, ইপিজেড, পতেঙ্গায় নাই যেখানে ঐ প্রভাবশালী নেতার নামে চাঁদাবাজি নেই। তার ইয়াবা ব্যবসার খবর নিতে গেলে জানাযায় যে, কক্সবাজার জেলার বড় মহেশখালী গ্রুপভাটার চেয়ারম্যান ছরোয়ারের কাছ থেকে সেই ইয়াবা ক্রয় করে। ঐ ক্রয়কৃত ইয়াবাগুলো বন্দর নগরী চট্টগ্রাম পৌছে দেয় চকরিয়ার আকতার হোসেন নামের একজন। আকতার হোসেনের বাবা চট্টগ্রাম ইপিজেড দক্ষিণ গেইটে একটি পান সিগারেটের দোকান করে। এই প্রতিবেদন লেখার একটু আগে জানাযায় যে বন্দর ইপিজেড এলাকার ছিন্তাইকারী সিন্ডিকেটের লিডার ও অবৈধ মাল্টিপারপাস সমিতির মালিক। তার ইয়াবা ও জুয়া ব্যবসার সাথে জড়িত আরো কয়েকজন উল্লেখিত প্রভাবশালী নেতা আশ্রয়ে থাকা ফাতি নেতার নাম মো: ফারুক রেললাইনের জুয়ার ঘরের মালিক, আল আমিন জুয়াঘরের পরিচালক। জাহাঙ্গীর-ইয়াবা ব্যবসার সহযোগী, কাশেম কলসি দিঘীর পাড়-ইয়াবা ব্যবসার সহযোগী, মিজান- ইয়াবা ব্যবসার সহযোগী, রাজ্জাক- ইয়াবা ব্যবসার সহযোগী, শাহ আলম মাঝি, বাহাদুর মাঝি, মোক্তার সওদাগর যিনি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। এক বছর আগেও যার কাছে ছিল ছোট্ট একটি ভাঙ্গারির দোকান। সে এখন কোটি টাকার মালিক। আক্তার প্রকাশ্যে সুদি আক্তার। সে হাজারো ব্যবসায়ীকে এমাদুল প্রকাশ (বরিশাইল্যা এমাদুল)এর টাকা সুদের উপর এক হাজারে দৈনিক ১৫০ টাকা সুদে লাগানোর ব্যবসায় প্রতিনিয়ত নিয়োজিত থাকেন। এমাদুল প্রকাশ (বরিশাইল্যা এমাদুল)এর আর এক ইয়াবা ব্যবসার সহযোগী ও খুচরা ব্যবসায়ী শুক্কুর সওদাগর গত কয়েকদিন আগে ইপিজেড থানা পুলিশের হাতে ৭ হাজারপিছ ইয়াবাসহ আটক হয়।
হোম বিভাগ চট্টগ্রাম বিভাগ বন্দর পতেঙ্গা ইপিজেড থানা এলাকার জুয়া, মাদক, পতিতালয় বানিজ্যের গডফাদার এমাদুল প্রকাশ...