ভাষাসৈনিক, বীরমুক্তিযোদ্ধা ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেছেন, বাংলাদেশের কোনো মানুষ আজ না খেয়ে থাকে না। মঙ্গা নাই, খড়া নাই, খাওয়ার অভাব নাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যোগ্য নেতৃত্ব ও সঠিক দিক নির্দেশনায় প্রতিনিয়ত পাল্টে যাচ্ছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর চেহারা।
ঈশ^রদী উপজেলা কমপ্লেক্স অডিটোরিয়ামে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাবৃত্তি ও ভূমি মন্ত্রীর স্বেচ্ছাধীন তহবিল থেকে অর্থের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমি মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশ স্বাধীনের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত দরিদ্র মানুষকে টেনে তুলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত আল শামস্ রাজাকারের দল বিপথগামী কিছু সেনা সদস্য ও বিদেশিদের সাথে আতাত করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যসহ ৫৬ জন সদস্যকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে। আল্লাহর রহমতে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা বিদেশে থাকায় বেঁচে গেলেন। ১৯৯৬ সালে আপনারা জনগণের ম্যান্ডেট দিয়ে ভোটের যুদ্ধে জয়ী করে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বসালেন। সেই থেকেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের দারিদ্র্য জনপদ, অশিক্ষা, কুসংস্কার, পশ্চাৎমুখিতা, সুবিধাবঞ্চিত, অভাব-অনটন, দুঃখ-দুর্দশাক্লিষ্ট মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। ১৯৯৬ সাল থেকেই বয়স্কভাতা, বিধবা ও দুঃস্থ নারী ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা এবং প্রতিবন্ধী ভাতা চালু হয়। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নেতৃত্বে অটিটিস্টিক ও প্রতিবন্ধীদের মানবিক স্বাস্থ্য সমস্যাটি বিশ^সমাজের দৃষ্টিতে আনা সম্ভব হয়েছে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়, হিজড়া এবং বেদে সম্প্রদায় সকলকেই সরকার ভাতা দিচ্ছে এবং তাদের সন্তানদেরও শিক্ষা বৃত্তি প্রদান অব্যাহত রেখেছে। তিনি বলেন, ঈশ^রদীর এ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সন্তানদের প্রাইমারি স্কুল পড়–য়া ৩২৫ জন ছাত্রছাত্রীকে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা, মাধ্যমিক শ্রেণিতে পড়–য়া ১৮ জনক ২৮ হাজার ৮০০ টাকা এবং কলেজে পড়–য়া ১৩ জন ছাত্রছাত্রীকে ৩১ হাজার ২০০ টাকাসহ মোট ৩ লাখ টাকার অনুদান সরকার দিচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়, প্রতিবন্ধী ও হিজড়া ও বেদে সম্প্রদায় যাতে সমাজে পিছিয়ে না পড়ে সেজন্য তিনি এ অর্থ দান করে যাচ্ছেন। মন্ত্রী বলেন, সরকার নারী পুরুষের জন্য সমান সুযোগ সুবিধা প্রদান করছে। তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সুবিধা দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মন্ত্রী সভায় উপস্থিত প্রত্যেকের সন্তানকে স্কুলে পাঠানোর পরামর্শ দেন। সরকার রমজান ঈদের আগেই ২১ হাজার ৬২৮টি দুঃস্থ পরিবারের প্রত্যেককে বিনামূল্যে ১০ কেজি চাল বিতরণ করা হবে বলে মন্ত্রী জানান। পরে মন্ত্রী তাঁর নিজের স্বেচ্ছাধীন তহবিল হতে ১৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা, গোরস্তান, জামে মসজিদ ও বিভিন্ন ব্যক্তির অনুকূলে ৩ লাখ ৩৪ হাজার টাকাসহ মোট ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকার অনুদান বিতরণ করেন।
ঈশ^রদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাকিল মাহমুদ এর সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে ঈশ^রদী উপজেলা চেয়ারম্যান মুখলেছুর রহমান মিন্টু, শিক্ষা অফিসার কানিজ ফাতেমা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন, বশির আহমেদ বকুল, াশুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান বকুল সরদার, সাহাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মতলেবুর রহমান মিনহাজ, সলিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান বাবলু মালিথা, পাকশি ইউপি চেয়ারম্যান এনাম বিশ^াস, মুলাডুলি ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম মালিথা, সাঁড়া ইউপি চেয়ারম্যান রানা সরদার উপস্থিত ছিলেন।