বরগুনায় বিয়ে করলেন সমন্বয়ক সারজিস

রমিজ জাবের: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বিয়ে করলেন বরগুনার মেয়ে পবিত্র কোরআনের হাফেজা মোসাঃ রাইসাকে। সারজিসের শশুরের নাম ব্যারিস্টার লুৎফর রহমান। তার বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার ২ নম্বর গৌরীচন্না ইউনিয়নে লাকুরতলা গ্রামে। পেশার তাগিদে ব্যারিস্টার লুৎফর রহমান স্ত্রী, মেয়ে ও দুই ছেলেকে নিয়ে রাজধানীর বাসাবো এলাকার শাহজাহানপুর এলাকায় বসবাস করেন।শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) আসর নামাজবাদ, ঘরোয়া পরিবেশে গাজীপুরের রাজেন্দ্র ইকোরিসোর্টৈর একটি মসজিদে উভয় পরিবারের উপস্থিতিতে এ বিবাহ সম্পন্ন হয়।একবোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে সার্জিস আলমের স্ত্রী সবার বড়। তিনি একজন পবিত্র কোরআনের হাফেজা। ছোটবেলা থেকেই সবসময়ই পর্দা করে চলেন। তাই তার নাম মিডিয়ায় একাশ না করার অনুরোধ প্রকাশ করেছেন স্বজনরা।

সারজিসের নববিবাহিত স্ত্রী পবিত্র কোরআনের হাফেজা মোসাঃ রাইসা. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের একসময়ের মেধাবী শিক্ষার্থী, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি বরগুনা জেলা কমিটির সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক মোঃ লুৎফর রহমানের একমাত্র কন্যা।বিবাহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে নব-দম্পতিকে শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়ে ফেসবুকে পোষ্ট করেছে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, উপদেষ্টা ফাহফুজ আলম ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ সহ অনেকে।সারজিস আলম ২ জুলাই ১৯৯৮ সালে পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আকতারুজ্জামান সাজু ও মা বাকেরা বেগম। দুই ভাইয়ের মধ্যে সারজিস আলম বড়। তার ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন সাকিব।সারজিস আলম জুলাই বিপ্লবের একজন বাংলাদেশি আন্দোলনকারী ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক। তিনি জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের, সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির মুখ্য সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।সারজিস আলম ২ জুলাই ১৯৯৮ সালে পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিএএফ শাহীন কলেজ ঢাকা থেকে এইচ.এস.সি পরীক্ষায় পাস করেন। এরপর ২০১৭ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচনে অমর একুশে হল সংসদে প্যানেল থেকে সদস্য পদে জয়লাভ করেছিলেন। তাছাড়া তিনি নানা পর্যায়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিতার্কিক হিসাবে অংশ নেন।