আবারও গণহত্যা মামলার আসামী দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ফারাজ করিম

মুহাম্মদ জুবাইরঃ চট্টগ্রাম উত্তর জেলার রাউজানের ত্রাস কথিত বিচারপতির বিরুদ্ধে আবারও হত্যা মামলা।
গত ১৮ জুলাই ২০২৪ তারিখ, বহদ্দারহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে সরকারি দলের নেতাকর্মীদের ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘটে।
এই হামলায় গুলিবিদ্ধ হন আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী। অভিযোগ উঠেছে, এই হামলায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ এবং হামলার পরিকল্পনায় আবারও নাম উঠে এসেছে বিতর্কিত ব্যক্তি ফারাজ করিমের।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, গত ১৮ জুলাই ২০২৪ তারিখ আনুমানিক বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে বহদ্দারহাট চান্দগাঁও থানাধীন এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে জমায়েত হয়েছিলেন। তাদের এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের মদদপুষ্ট আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ক্যাডার বাহিনী অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা আগ্নেয়াস্ত্র, লাঠিসোঁটা এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
এই হামলায় গুলিবিদ্ধ হন একজন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী। তার অভিযোগে জানা যায়, গুলিটি তার পিঠ ভেদ করে ফুসফুস এবং দুটি পাঁজর ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এই ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনায় ইতোমধ্যেই একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সূত্রে জানা গেছে, এই মামলার তদন্তে আবারও উঠে এসেছে ফারাজ করিমের নাম। এর আগেও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং গণহত্যা মামলার সাথে তার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে একাধিক।
হামলায় আহত শিক্ষার্থী এবং অন্যান্য আন্দোলনকারীরা এই ফ্যাসিস্ট হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং অবিলম্বে হামলাকারী ও পরিকল্পনাকারীদের গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তারা বিশেষ করে ফারাজ করিমের নাম উল্লেখ করে তার দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।
ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “বারবার গণহত্যা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সাথে যার নাম জড়ায়, সেই ফারাজ করিম এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে কিভাবে? ছাত্র জনতা এইসব ফ্যাসিস্ট এবং তাদের মদদদাতাদের দ্রুত বিচার চায়।”
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আবারও ফারাজ করিমের বিতর্কিত অতীত এবং তার রাজনৈতিক ছত্রছায়ার বিষয়টি সামনে চলে এসেছে। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, বারবার অভিযোগ আসা সত্ত্বেও কেন এই ব্যক্তি আইনের ঊর্ধ্বে?
বর্তমানে আহত শিক্ষার্থীর শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তার সহপাঠী ও সহযোদ্ধারা। এই হামলার ঘটনায় ছাত্র সমাজের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এবং তারা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সোচ্চার রয়েছেন।