দুর্নীতি

গুলশান সাব-রেজিষ্ট্রারী অফিসে ভুয়া ও জাল দলিলের ছড়াছড়ি কর্তৃপক্ষ নীরব

স্টাফ রিপোর্টার তেজগাঁ রেজিস্ট্রারি কমপ্লেক্স এ গুলশান সাব-রেজিষ্ট্রারী অফিসে জাল ও ভুয়া দলিলের ছড়াছড়ি এবং জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে এক শ্রেণীর দলিল লেখক ও নব্য সাব-রেজিস্ট্রার যৌথভাবে এই অনিয়মের মাধ্যমে প্রতিদিন সরকারের লাখ লাখ টাকার ট্যাক্স ফাঁকি দিচ্ছে। এই গুরুতর অপরাধের সহায়তা করে উক্ত অফিসের নামেমাত্র নকল নবিশ কুখ্যাত নারী ব্যবসায়ী ঘিন্নিত মাদক সম্রাট মোঃ গিয়াস উদ্দিন। এই দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে যে, গুলশান সাব-রেজিষ্ট্রারী অফিস থেকে সরকার প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

প্রচুর পরিমাণে ভুয়া ও জাল দলিল এবং জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে দলিল সম্পাদন হচ্ছে। বর্তমান সাব-রেজিস্ট্রার মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন এর সাথে অনিয়মের সহায়তাকারী ও চক্রনেতা হিসাবে মোঃ গিয়াস উদ্দিন তিনি নামে মাত্র নকল নবিশ আর তার কাজ হচ্ছে সব অনিয়মকে নিয়ম করা। সে দেশ ও জাতির শত্রু। তিনি অসীম ক্ষমতাধর। সে রাজনৈতিক প্রভাব খাঁটিয়ে সব অন্যায়কে ন্যায় বলে চালিয়ে দেয়।

গত ৫ আগস্ট এর পর সরকার পরিবর্তন এর সাথে সাথে তিনি নব্য বি,এন,পির নামধারী কথিত নেতা সেঁজে মাদক সম্রাট নারী ব্যবসায়ী অসীম ক্ষমতাধর। মগবাজার এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী সংগঠন সেভেন স্টার গ্রুপের সক্রিয় সদস্য এবং রেজিস্ট্রারি কমপ্লেক্স এর রেকর্ড রুম সম্প্রতি দু দুবার দুর্ধর্ষ চুরির মূল পরিকল্পনাকারী এই মোঃ গিয়াস উদ্দিন। প্রতিদিন অফিসে আসে বেলা দুইটার পর শুধু নির্ধারিত দলিল রেজিস্ট্রারি করার জন্য আসে। তার বসার জন্য নির্ধারিত কোন টেবিল চেয়ার নেই।

সে কেমন নকল নবিশ। কি তার অফিসে কাজ। অফিসে তাকে সবাই চেনে একজন ব্যবসায়ী হিসেবে। তেজগাঁও কলোনি বাজার-এ তার একটি দোকান রয়েছে। সেই দোকান থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল, সৌন্দর্যে ভরপুর হাতিল ঝিল এলাকা জুড়ে, তেজকুনিপাড়া, বেগুন বাড়িসহ সর্বত্র এলাকা জুড়ে গাঁজা, মদ, ইয়াবা, হিরোইন, সরবরাহ করে।

সন্ধ্যার পর তার দোকান হয়ে উঠে এক মাদকের পাইকারি বাজার। অপরদিকে মোঃ গিয়াস উদ্দিন ২০২৫ সালে কলোনি বাজার সমিতি ভাইটাল পোস্টে নির্বাচন করে কয়েক লাখ টাকা খরচ করে গো হারা হেরেছে।

কাজেই এই গিয়াস উদ্দিনের চরিত্র এত খারাপ তা লিখে শেষ করা যায় না। অতি সম্প্রতি মালিবাগ আবাসিক হোটেল পদ্মায় রমনা থানার সাবেক সেকেন্ড অফিসার এস.আই মোঃ এমদাদ হোসেন (বাহাদুর) ঐ দিন বিকেলে অভিযান চালান। এক পর্যায় ২০ জন যৌনকর্মী বেশ্যা হোটেল ম্যানেজার সহ ৪ নারীর দালালকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেন। এই ২৫ জনকে রমনা থানায় নিয়ে আসে।

এর মধ্যে মোঃ গিয়াস উদ্দিন নারীর দালাল হিসাবে চিহ্নিত হয়। পরের দিন থানা পুলিশ কোর্টে চালান দেন এবং বিকেলে ম্যাজিস্ট্রেট সবাইকে জামিন দেন। এই ঘটনা গিয়াস উদ্দিনের চাকুরিতে প্রবেশ এর আগেকার ঘটনা। তবুও সে এই বিনা পুঁজির ব্যবসা আজও ছাড়তে পারেনি। বর্তমানে মগবাজার, ইস্কাটন, মালিবাগে ১৫/২০টি আবাসিক হোটেলে ৫০/৬০ জন যৌনকর্মী পতিতা দিয়ে ক্ষমতার বলে এই ব্যবসা পরিচালনা করছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এই ব্যবসা তার পূর্ব পুরুষ করতো।

তার স্মৃতি ধরে রেখেছে। এ ব্যাপারে আমাদের প্রতিনিধি মোঃ গিয়াস উদ্দিনের সাথে মুঠো ফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলেও সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর মোবাইল কেটে দেয়। এদিকে মোঃ গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে আইন উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র সচিব, জননিরাপত্তা ও আইজিআর কে জনৈক আবু হানিফ নামে এ ব্যক্তি বিভিন্ন দপ্তরে ১২/০৫/২০২৫ইং তারিখে লিখিত অভিযোগ করেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button