খাদ্যপণ্যের মান নিয়ে আপসের সুযোগ নেই

0
768

অপরাধ বিচিত্রা ঃ
পণ্যের মানের ওপর একটি দেশের সুনাম নির্ভর করে। জাতিগত উন্নয়নের জন্য মানসম্মত পণ্য উৎপাদনের বিকল্প নেই। বিশেষ করে খাদ্যপণ্যের মান নিয়ে আপস করার কোনো সুযোগ নেই। অসাধু ব্যবসায়ীরা নিম্নমানের পণ্য উৎপাদ ন করে যাতে ভোক্তাদের ঠকাতে না পারেন, সেদিকে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি প্রয়োজন। বিশ্ব মান দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই) এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। আলোচনা সভার প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ রুহুল আমীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মমিনুর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, এম এ মোতালেব, চট্টগ্রাম উইমেন চেম্বারের পরিচালক রেখা আলম চৌধুরী, থাই ফুড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাইকেল দে, চিটাগাং ড্রিংকিং ওয়াটার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক গৌতম কান্তি দে প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিএসটিআই চট্টগ্রামের উপপরিচালক মোঃ শওকত ওসমান। আলোচনা সভায় চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ রুহুল আমীন বলেন, পণ্যের মানের সঙ্গে জীবন যাপনের মান জড়িত। নিম্নমানের খাদ্যপণ্য বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত সমস্যার সৃষ্টি করে। অনেক অসাধু ব্যবসায়ী রাতারাতি ধনী হওয়ার জন্য খাবারে ভেজাল দিচ্ছেন। এ ধরনের ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কঠোর ভূমিকা পালন করছে। সরকার সব ধরনের পণ্যে ভেজাল প্রতিরোধে বদ্ধপরিকর। চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, শুধু খাদ্যপণ্য নয়, সব ধরনের পণ্যের গুণগতমান নিশ্চিত করতে হবে। অনেক দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি পণ্যের মানও আন্তর্জাতিক হতে হবে। পণ্যের মান তদারকির দায়িত্ব বিএসটিআইর। কিন্তু চট্টগ্রামে বিএসটিআইর পূর্ণাঙ্গ পরীক্ষাগার ও জনবল নেই। বিএসটিআইর জনবল ও পরীক্ষণের যন্ত্রপাতি বাড়াতে হবে এবং প্রশাসনিকভাবে বিএসটিআইকে শক্তিশালী ও আধুনিকায়ন করতে হবে। আলোচনা সভায় ব্যবসায়ীরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের সময় হয়রানি না করার আহ্বান জানান। অভিযানের সময় চেম্বারের একজন প্রতিনিধিকে রাখার অনুরোধ জানান তাঁরা। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মমিনুর রশিদ বলেন, জেলা প্রশাসন গত পবিত্র রমজান মাসে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে। ওই অভিযান গুলো সম্পর্কে কারও কোনো অভিযোগ নেই। তিনি বলেন, অভিযানে কোনো ব্যবসায়ীকে অযথা হয়রানি করা হবে না। তবে অসাধু ব্যবসায়ীদের সংশোধনের জন্য নিয়মিত অভিযান চলবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

13 − three =