পেসমেকার -ফাইল ছবিহাসপাতালে সরবরাহকৃত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের হার্টের ভাল্ভের মূল্য সর্বনিম্ন ৪ হাজার ৮০০ টাকা থেকে ২৬ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর পেসমেকারের দাম ৫ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪ লাখ ৭ হাজার টাকা।
মঙ্গলবার সকালে মহাখালীতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত্মের কথা জানানো হয়। মোট ১৭টি কোম্পানি এই ভাল্ভ এবং পেসমেকার সরবরাহ করছে। এ সময় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোস্ত্মাফিজুর রহমান, হৃদরোগ হাসপাতালের পরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল)সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এসব তথ্য জানানো হয়। এ সময় বলা হয়, মূল্য নির্ধারিত না থাকায় রোগীদের কাছ থেকে হার্টের ভাল্ভ ও পেসমেকারের দাম একেক হাসপাতালে একেক রকম নেয়া হতো। এতে খরচ জোগাতে কষ্ট হতো তাদের। তাই রোগীদের সুবিধার্থে এসব কার্ডিয়াক ডিভাইসের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। ভাল্ভ ও পেসমেকার এখন থেকে সব হাসপাতালে একই দামে বিক্রি হবে।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোস্ত্মাফিজুর রহমান বলেন, ‘সবার সঙ্গে কথা বলে আলোচনার মাধ্যমেই এসব মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। মানুষ যেন হাসপাতালে এসব ডিভাইসের মূল্যের বিষয়ে প্রতারিত না হয় সে কারণেই এ ব্যবস্থা করা হয়েছে। আশা করেন সবাই এই নিয়ম মেনে চলবে। কোথাও কোনো অনিয়ম হলে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। এমনকি সবসময় এ বিষয়ে তাদের মনিটরিং চলবে।
উলেস্নখ্য, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোস্ত্মাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জন ও ইন্টারভেশন কার্ডিওলজিস্ট, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির প্রতিনিধি ও মেডিকেল ডিভাইস অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিসহ হার্টের ভাল্ভ এবং পেসমেকার আমদানিকারকরা।