স্বৈরাচার এরশাদ না, খালেদা জিয়া স্বৈরাচার : রাঙ্গা

0
605

স্বৈরাচার এরশাদ না মন্তব্য করে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন ‘স্বৈরাচার এরশাদ না, খালেদা জিয়া স্বৈরাচার। খালেদা স্বৈরাচার হলে শেখ হাসিনাও স্বৈরাচার।রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ১৯৮৬ সালের পর থেকে দিবসটিকে গণতন্ত্র দিবস হিসেবে পালন করে আসছে জাতীয় পার্টি।

এসময় তিনি আরো বলেন, ’একুশ বছর পর এরশাদের অনুগ্রহে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। আর সেই আওয়ামী লীগ তার বিরুদ্ধে মামলা দেয়। নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করে। আওয়ামী লীগ বিএনপি গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। ওদের মুখে গণতন্ত্র মানায় না। এই গণতন্ত্র মুখে দেয় নাকি মাথায় দেয়। আগে গণতন্ত্র বুঝতে হবে।’

এছাড়াও শহীদ নূর হোসেনকে “ইয়াবাখোর” হিসেবে অভিহিত করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা।

রাঙ্গা আরো বলেন, ‘ইয়াবাখোর ফেনসিডিল খোর ছিলেন নুর হোসেন। তাকে নিয়ে নাচানাচি করছে আওয়ামী লীগ বিএনপি। তাদের কাছে ইয়াবা-ফেনসিডিল খোর ও ক্যাসিনো ব্যবসায়ীদের গুরুত্ব বেশি। এরশাদ সাহেবের কাছে এরা কোনো গুরুত্ব পাননি। যারা গণতন্ত্রের গ ও বুঝে না, অ্যাডিক্টেড একটি ছেলে নুর হোসেন। পুলিশ গুলি করলো সামনে থেকে আর ঘুরে গিয়ে পেছন থেকে লাগল। কি হাস্যকর যুক্তি। তখনতো একজন মারা গেছে, এখন প্রতিদিনই মানুষ মরছে।’

জাপা মহাসচিব বলেন, ‘গণতন্ত্র আজ নির্বাসনে সুন্দরবনে, যদি বিশ্বজিৎ ও আবরারকে হত্যা করা না হতো তাহলে বলতাম গণতন্ত্র রয়েছে। শিক্ষককে পানিতে ফেলে দেওয়া হচ্ছে, জাবি ভিসির পদত্যাগের জন্য আন্দোলন করছে ছাত্ররা।’

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘এরশাদের জীবন ব্যবস্থা ছিল গণতন্ত্রের জন্য উৎসর্গ। উনি গণতন্ত্রের স্বার্থে বাধ্য হয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করেছিলেন। আবার যখন প্রয়োজন হয়েছে গণতন্ত্রের স্বার্থে ওনি ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছেন।’

আলোচনা সভায় জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, ‘এরশাদ সাহেব ১৯৮৬ সালে এই দিনে ঘোষণা দিয়েছিলেন, দেশে আর কোনোদিন সামরিক শাসন আসবে না। আর কিন্তু কখনই কাঠামোগতভাবে সামরিক শাসন আসেনি। যেদিন সঠিকভাবে ইতিহাস রচিত হবে, সেদিন দেশের মানুষ এই দিনটিকে গণতন্ত্র দিবস হিসেবে পালন করবে।’

প্রয়াত জাপা চেয়ারম্যান এরশাদের কথা স্মরণ করে কাদের বলেন, ‘এরশাদের জীবন ব্যবস্থা ছিল গণতন্ত্রের জন্য উৎসর্গ। উনি গণতন্ত্রের স্বার্থে বাধ্য হয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করেছিলেন। আবার যখন প্রয়োজন হয়েছে গণতন্ত্রের স্বার্থে উনি ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছেন।

ঢাকা মহানগর উত্তর জাপার সভাপতি প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ফয়সল চিশতীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট শেখ সিরাজুল ইসলাম, সুনীল শুভরায়, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, আলমগীর সিকদার লোটন, ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক এমএ রাজ্জাক খান প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

one × three =