জনগণের চেয়ে লম্বা হাত আর কারও নেই : আতিকুল

0
320

খাল দখলদারদের সতর্ক করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, জনগণের হাতের চেয়ে লম্বা হাত আর কারও নেই। আপনাদের (দখলকারী) হাত যতই লম্বা হোক না কেন, জনগণের হাতের চেয়ে লম্বা নয়।

বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) উত্তরখানের বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।

মেয়র ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তরখান কলেজিয়েট স্কুল মাঠে, ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অফিসের সামনে এবং ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাথাইড় মাঠে তিনটি পৃথক জনসভায় অংশ নেন।

এ সময় মেয়র বলেন, নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি চার হাজার ২৫ কোটি টাকার প্রকল্প পাস করেছেন। এখানকার রাস্তাগুলো চওড়া হবে, ১৩টি খাল আছে, এগুলোর অনেক জায়গায় দখল হয়ে রয়েছে। এ ১৩টি খাল পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে উন্নয়ন করা হলে জলাবদ্ধতা নিরসন হবে।

তিনি আরও বলেন, এ খালগুলো জনগণকে নিয়ে আমরা উদ্ধার করবো। জনগণ পাশে থাকলে খাল উদ্ধার হবেই। ঢাকা শহরের গার্জিয়ান আছে। আপনারাই ভোটের মাধ্যমে তাদের নির্বাচিত করেছেন। কেউ চাইলেই অবৈধভাবে কিছু করতে পারে না।

মেয়র আরও বলেন, রাস্তা প্রশস্ত করতে গেলে অনেক স্থাপনা ভাঙা পড়তে পারে। ডিএনসিসির ম্যাপিং অনুযায়ী রাস্তার দুই পাশে যারই স্থাপনা থাকুক না কেন, সেগুলো ভেঙে রাস্তা করতে হবে। আমরা খাল উন্নয়নের যে ডিজাইন করেছি, সেখানে খালের দুই পাশে হাঁটার রাস্তা থাকবে, সেখানে গাছ লাগানো হবে, সাইকেল লেন থাকবে। এটি ব্যক্তিগত কারও জন্য নয় বরং জনগণের জন্য।

নতুন ওয়ার্ডগুলোর হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় সম্পর্কে মেয়র বলেন, হোল্ডিং ট্যাক্সের রেট চার্ট করেছি, তবে কোনো ঘর-বাড়ি থেকে এখনই ট্যাক্স নেব না, রাস্তা, ফুটপাত ইত্যাদি নির্মাণের পরে ট্যাক্স নেব। কিন্তু বাণিজ্যিক প্লট, কারখানা ইত্যাদি থেকে অবিলম্বে ট্যাক্স নেয়া হবে। ব্যবসা করবেন, ট্যাক্স দিবেন না এটা হতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, খাস জমিতে কমিউনিটি সেন্টার, খেলার মাঠ, পার্ক, মার্কেট ইত্যাদি নির্মাণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জনগণই আমাদের শক্তি। মেহনতি ও খেটে খাওয়া মানুষসহ সকলের জন্য আমরা একটি সুন্দর ঢাকা শহর দেব।

মেয়র আরও বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য আগে ড্রেন তৈরি করে তারপরে রাস্তা নির্মাণ করবো। ঝুলন্ত তারের জন্য প্রথম বারের মতো ডাক্টিং সিস্টেমের মাধ্যমে মাটির নিচ দিয়ে চলে যাবে।

উত্তরখানে এ তিনটি ওয়ার্ডে সম্প্রতি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

মেয়রের পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জে. মোমিনুর রহমান মামুন ও প্রধান প্রকৌশলী ব্রি. জে. আমিরুল ইসলাম, ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জয়নুল আবেদীন, ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাইদুল ইসলাম মোল্লা, ৪৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

15 + thirteen =