কুয়াকাটায় ইউএনও অবরুদ্ধ পুলিশের সাথে বিক্ষুদ্ধ জনতার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া

0
463

পটুয়াখালী উপকুলীয় প্রতিনিধি: করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা সচেতনতামূলক প্রচার প্রচারনাকালে ইউএনও কর্তৃক যুবককে মারধরের  ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুয়াকাটায় বিক্ষোভ মিছিল। ঘন্টাব্যাপী পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিক্ষুদ্ধ জনতা ইউএনও কে অবরুদ্ধ করে রাখে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সোমবার রাত পৌনে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, কুয়াকাটা চৌরাস্তায় একটি পত্রিকার (তালাশ) স্টিকার লাগানো মোটর সাইকেল চালিয়ে ইলিয়াস শেখ নামক এক যুবককে থামিয়ে তার পরিচয় জানতে চায়। এসময় ইলিয়াস শেখ সাংবাদিক পরিচয় দিলে তাকে গাড়ী থেকে নামিয়ে বেধরক মারধর করে ইউএনও।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, ইউএনওর নির্দেশে তিন পুলিশ ও এক আনসার ওই যুবককে এলোপাথারী পিটাতে থাকে। তারা আরও জানান, ইউএনও নিজেও কিল ঘুষি এবং লাথি মারে।

এমন অমানষিক নির্যাতন দেখে স্থানীয় জনতা ইউএনওর বিচার চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে। এবং ইউএনওকে প্রায় আধা ঘন্টা ধরে অবরুদ্ধ করে রাখে উত্তেজিত জনতা।

পরে মহিপুর থানা পুলিশ, কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের সহায়তায় ইউএনওকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। রাত ৯টার দিকে উত্তেজিত জনতাকে মাইকিং করে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় পুলিশ। এসময় কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার,

পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র আঃ বারেক মোল্লাসহ পৌর পরিষদের কাউন্সিলররা পুলিশের পাশাপাশি বিক্ষুদ্ধ জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করে। ইউএনওর বিচার চেয়ে জনসাধারন ঘন্টাব্যাপী বিক্ষোভ করে এবং পুলিশের সাথে দাওয়া পাল্টার ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা শিকার ইলিয়াসকে উদ্ধার করে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ইলিয়াস শেখ কুয়াকাটা সৈকতের ফটোগ্রাফারদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে।

ইলিয়াস শেখ বলেন, কুয়াকাটা চৌরাস্তায় এলে ইউএনও আমার মোটরবাইক থামিয়ে পরিচয় জানতে চায়। এসময় আমি আমার পরিচয় দেয়ার সাথে সাথে মটরবাইক থেকে টেনে নামিয়ে আমাকে মারধর।

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত লোকজনকে ঘরে ফেরার অনুরোধ জানালে তারা ফিরে যায়। বর্তমানে স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে।

ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল হক বলেন, চলমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার কর্তৃক কঠোর নিষেজ্ঞার জনসচেতনতার প্রচার প্রচারণা করতে ইলিয়াস শেখ বাধা প্রদান করেন। এরপর আমাকে লাঞ্চিত করে এবং গাড়িসহ অবরুদ্ধ করা রাখে। পরে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

ten − 6 =