নাফ নদীতে সোমবার দুই নৌযানের মুখোমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষ হলেও কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। প্রাণে রক্ষা পায় তিন শতাধিক পর্যটক। তার সবাই সেন্টমার্টিনের যাত্রী ছিল। জানা যায়, পর্যটকবাহী কেয়ারী ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন সোমবার সকাল ১০টার দিকে নাফনদী দিয়ে
সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে বালু উত্তোলনকারী (জাহাজ) এমভি ছোটতরী লোডড্রেজার-১ এর সাথে মুখোমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় জাহাজে থাকা যাত্রীরা প্রাণের ভয়ে চিৎকার করতে থাকেন। পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের পথে নদী থেকে বালি উত্তোলনকারী বেশ কয়েকটি ড্রেজার অবস্থান করায় জ্বালিয়ারদ্বীপের কাছে নাফনদীর মাঝে ঘটনাটি ঘটেছে বলে পর্যটক এবং প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানিয়েছেন। এতে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে তিন শতাধিক পর্যটক। অন্যদিকে ড্রেজারে থাকা কর্মচারীরা আরো কয়েকটি ড্রেজার নিয়ে পর্যটকদের জাহাজকে দীর্ঘক্ষণ ধরে ঘিরে রাখে। এক পর্যায়ে তারা জাহাজে উঠে হামলা করতে চাইলে পুলিশের হস্তক্ষেপে তারা পিছু হটে। দেড় ঘণ্টা পর কেয়ারী ক্রুজ ডাইন যাত্রীদের নিয়ে আবার সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। কেয়ারী ক্রুজের মাস্টার দেলোয়ার হোছাইন জানান, স্টিয়ারিং সমস্যা দেখা দেওয়ার সাথে সাথে দূরে অবস্থানকারী ড্রেজারকে অনেকবার সিগন্যাল দেওয়া হয়। কিন্তু তারা কোন ধরণের সাড়া না দেওয়ায় এই দুঘর্টনাটি ঘটেছে। বিআইডব্লিউটিএ সহকারী পরিচালক ওবায়দুল করিম খান জানান, পর্যটকবাহী জাহাজের মাস্টারের দক্ষতার কারণে বড় ধরণের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে। টেকনাফ মডেল থানার এএসআই ডালিম বড়ুয়া জানান, দুর্ঘটনা ঘটবে এটাতো স্বাভাবিক। তবে ড্রেজারের লোকজনের আচরণ চরম অস্বাভাবিক ছিল। যা নদীর মাঝে মোটেও কাম্য ছিল না। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক বলেন, দুর্ঘটনার পর থেকে আমি পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রেখেছি। বালি উত্তোলনে নিয়োজিত ঠিকাদারকে ডেকে ইতিমধ্যে সর্তক করা হয়েছে। পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের পথে যেন কোন ধরণের ড্রেজার নদীতে অবস্থান না করে।