রৗমারী(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের রৌমারী-রাজিবপুর চরের কৃষকরা ব্যাপক হারে বাদাম চাষ। বাম্পার ফলনের আশায় কৃষক।রৌমারী’র পশ্চিমাঞ্চলীয় ব্রম্মপুত্র পারের গ্রাম গুলো যেন খেলাঘর। নদীর খেয়াল খুশিমত প্রতি বছর ব্রম্মপুত্রের ভাঙ্গনের তান্ডবে কখনো বালুচর কখনো নদের তলদেশে পারনত হয়।ওই অঞ্চলের মানুষ গুলো জীবিকা নির্বাহের তাগিদে ফসলের প্রকারভেদ অনুযায়ী সাদা ধবধবে বালুর বুকচিড়ে বাদাম চাষ করে।ওখানকার মানুষ চেয়ে থাকে চর জেগে উঠার অপেক্ষায়।যেহেতু নদীর বুকচিড়ে জেগে উঠা ভুমি ৩মাস পড়েই আবার নদে পরিনত হবে, তাই ওরা বাদাম চাষ বেচে নেয়।
রৌমারী’র পশ্চিমে ফলুয়ারচর, কান্দাপাড়া, খেরুয়ারচর, বড়চর, খেদাইমারী, ঘুঘুমারী, দক্ষিন ফলুয়া, পশ্চিম ফলুয়াসহ ৮টি গ্রামের মানুষ বাদাম চাষ করে খাদ্যের চাহিদা মিটায়। সরেজমিনে গিয়ে বাদাম চাষী আজমল, বাদশা, রফিকুল, আলম ও ছালাম এর সাথে কথা বললে তারা জানান, আমরা ৮টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ রবিশস্য হিসেবে বাদাম ও আষাঢী ফসল হিসেবে চিনা,ও কাউন চাষ করে সংসার চালাই, এহানে বালি মাটি হওয়ায় অন্য কোন ফসল হয়না। ভালো ফসল নাহলে জামু কোনে, নদীর সাথে যুদ্ধ কইরা বাপ দাদার ভিটেমাটি জমিজিরাত আকরে ধইরা আছি।তবে আগের চাইতে বর্তমানে বাজারে বাদামের চাহিদা বেশী হওয়ায় যথেষ্ঠ আয় হয়।
রৌমারী উপজেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানাগেছে এবছর রৌমারীতে ২হাজার একর জমিতে বাদাম চাষ করা হয়েছে। এমনকি এবছর বাদামের জমিতে পলিমাটি ও বালি মিশ্রিত থাকায় সন্তস জনক বাদামের ফলন আশা করা যাচ্ছে