জাবির সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা।

0
698

জাবি প্রতিনিধি: অবশেষে অপেক্ষার পথ অবসান হল।  ভোট গণনা শেষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনের ফলাফল রোববার (৩১ডিসেম্বর) ভোর ৫টায় রিটার্নিং অফিসার ও বিশ্ববিদ্যালয় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মনজরুল হক ফলাফল ঘোষণা করেন।  ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয় শনিবার (৩০ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচনে ২৫টি আসনের বিপরীতে আওয়ামীপন্থী গ্র্যাজুয়েটদের একাংশের প্যানেল ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল জোট’ ১৮টি আসন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে।  বিএনপন্থী গ্র্যাজুয়েটদের জাতীয়তাবাদী প্যানেল পেয়েছে ৬টি আসন। আওয়ামীপন্থী

 

গ্র্যাজুয়েটদের অপর অংশ ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও প্রগতিশীল গ্র্যাজুয়েট মঞ্চ’ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন একজন। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্য থেকে কেউ নির্বাচিত হননি। তাতক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল জোট’ প্যানেলের পক্ষে অধ্যাপক শরিফ এনামুল কবীর বলেন,‘নির্বাচিত করায় সকলের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।  আমরা জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠান ও ক্যাম্পাসে বাণিজ্যিক পরিবেশ দূরীকরণে কাজ করব এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস গড়ে তুলব।’

বিএনপিপন্থী প্যানেলের পক্ষ থেকে অধ্যাপক শামসুল আলম সেলিম বলেন,‘ ক্যাম্পাসের কল্যাণে সকলের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করব।’ নির্বাচিত করায় সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শনিবার সকাল ৯টায় শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় শেষ হয় ভোট গ্রহন। নির্বাচনে ৪৩৭৩ জন ভোটারের মধ্যে ৩৬৩৫ জন গ্র্যাজুয়েট তাদের ভোটাধিকার  প্রয়োগ করেছেন।  ফলে ৮৩% ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।  ২৫টি আসনের বিপরীতে ১১৯ জন প্রার্থী লড়েছেন। আওয়ামীপন্থী গ্র্যাজুয়েটরা দু’টি প্যানেলে বিভক্ত হয়ে এবং বিএনপিপন্থী গ্র্যাজুয়েটরা একক প্যানেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন ৪৪জন।

যে ২৫জন সিনেট রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল জোট’ এর : বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বাংলাদেশ কর্ম-কমিশনের সাবেক সদস্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির (রসায়ন-২য় ব্যাচ), বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি ও জাকসুর সাবেক ভিপি মোঃ মোতাহের হোসেন (অর্থনীতি-৫ম ব্যাচ), খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব কায়কোবাদ হোসাইন (ভূগোল ও পরিবেশ-৭ম ব্যাচ), জাবির পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবির (পরিসংখ্যান-২২ তম ব্যাচ), মুক্তিযোদ্ধা মোহাব্বত হোসেন খান (ইতিহাস-৯ম), কেএইচ মাহিদ উদ্দিন (রসায়ন-১৬) আশীষ কুমার মজুমদার (দর্শন-১৪ তম), আবুল কালাম আজাদ (নৃবিজ্ঞান-১৫তম), ইন্দুপ্রভা দাস (গনিত-১১তম), কৃষ্ণা গায়েন(পরিসংখ্যান-৮ম), মোঃ আনোয়ার হোসাইন মিরধা (ভূগোল ও পরিবেশ-১০ম), এবায়েদুল্লাহ তালুকদার(অর্থনীতি-৭ম), মাসুদুর রহমান (পদার্থবিজ্ঞান-১১তম), মোহাম্মদ মেহেদী জামিল (দর্শন-২৪তম), মোহাম্মদ সোহেল পারভেজ(অর্থনীতি-২৭ তম), পৃথ্বিলা নাজনীন নীলিমা(বাংলা-১০ম), শামীমা সুলতানা ঝর্না (পদার্থবিজ্ঞান-৭ম), শেখ মনোয়ার হোসেন (বাংলা-১০ম)।

স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, বহুদলীয় গণতন্ত্র ও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের আদর্শে বিশ্বাসীদের নির্বাচিত যারা: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান (দর্শন-১৬তম), গনিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ নজরুল ইসলাম (গনিত-২৪তম), শামসুল আলম (সরকার ও রাজনীতি-১১তম), সাবিনা ইয়াসমিন (সরকার ও রাজনীতি-২২ তম) শামীমা সুলতানা (বাংলা-২০ তম) এবং ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান (ইংরেজি-৩১ তম ব্যাচ)।

ও ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও প্রগতিশীল গ্র্যাজুয়েট মঞ্চের এর বিজয়ী জাবির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল মান্নান চৌধুরী।

সর্বশেষ ১৯৯৮ সালে জাবির সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৩ বছর পরপর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও দীর্ঘ ১৯ বছর পর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হল গতকাল শনিবার।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

twelve − 8 =