পরশুরাম উপজেলার শালধর ভূমি অফিসের পিয়ন সাফায়েতের দৌরাত্ম ইউ,এন,ও এবং এ্যাসিল্যান্ডের নাম ভঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি

0
1149

শিবব্রতঃ
শালধর ভূমি অফিসের পিয়ন সাফায়েত উল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে জড়িত রয়েছে অনৈতিক অর্থ বাণিজ্যে। ওই এলাকায় অনেক অসহায় গরীব ও ভূমিহীন বাসিন্দা সহ অনেকের বিরোধপূর্ণ বা অমীমাংসীত জমি রয়েছে। ওইসব লোকদের ইউ.এন.ও এবং এ্যাসিল্যান্ডের সাথে তার ভাল সর্ম্পক আছে একথা প্রচার করে কাউকে খাস জমি বন্দোবস্ত কাউকে বিরোধপূর্ণ অথবা অমিমাংসীত জমি একক খারিজ করে দিবে মর্মে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা। ওই এলাকার উত্তর শ্রীপুর গ্রামের ভূমিহীন বাসিন্দা রোসনা বেগম অভিযোগ করেন যে ওই সাফায়েত গত ৩ বছর আগে তাকে (রোসনা বেগম) ৩০ শতক খাস জমি বন্দোবস্ত করে দেবার প্রলোভন দেখিয়ে দশ হাজার টাকা দাবী করে। রোসনা জানান তিনি দুই দফায় ৩ হাজার করে ৬ হাজার টাকা সাফায়েতকে এবং বাকী চার হাজার টাকা সাফায়েতের স্ত্রীর কাছে জমা দেন। রোসনা আরো জানান আমি এই তিন বছর ধরে জমি বন্দোবস্তের আশায় তার দরজায় দরজায় ঘুরেছি। আমাকে দিয়ে তার বাসায় চাকরের কাজ করিয়েছে। রোসনা বলেন গত একমাস আগে সাফায়েত আমাকে বলে এ্যাসিল্যান্ড ও.ইউ.এন.ওর জন্য মুরগী নিয়ে আসার জন্য। আমি অনেক কষ্টে টাকা ধার করে চারটি মুরগী সাফায়েতের বাসায় দিয়ে আসি। অশ্রসজল চোখে রোসনা আক্ষেপ করে বলেন সাফায়েত আমাকে জমি বন্দোবস্ত তো দুরের কথা সে আমার সাথে কথাও বলেনা। একথা এতদিন কাউকে জানাননি কেন জানতে চাইলে রোসনা জানান সাফায়েত বলেছে কাউকে না জানানোর জন্য। এ ব্যাপারে সাফায়েতের কাছে জানতে চাইলে সাফায়েত উল্টো হুমকী দিয়ে এ প্রতিবেদকের কাছে দাবী করে সে আওয়ামীলীগ ও ডি.সির লোক। আমি দুর্নীতি করলে আপনারা বলার কে? কৈফিয়ত চায়। এবং এ ব্যাপারে যদি পত্রিকায় কোনো খবর ছাপা হয় তাহলে চাঁদাবাজি মামলায় ফাঁসিয়ে দিবে বলে এ প্রতিবেদকের উপর তেড়ে আসে। এছাড়াও বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় সাফায়েত ফুলগাজীতে চাকরী করার সময় অমিমাংসীত জমি খারিজ করে দিবে বলে সেনাবাহিনী অবসর প্রাপ্ত জনৈক অফিসার থেকে দু’ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

4 × two =