বিচারপতি মোঃ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এর নেতৃত্বে প্রেস কাউন্সিল এগিয়ে যাচ্ছে। এক সময় সাংবাদিকরাই প্রেস কাউন্সিল কোথায়, প্রেস কাউন্সিল কি, সাংবাদিকদের জন্য কি কাজ হয় এর কিছুই জানতোনা। প্রেস কাউন্সিলে যদি কোন সম্পাদকের বিরুদ্ধে কোন মামলা হতো, তখন প্রেস কাউন্সিল নোটিশ পাঠাতো উক্ত পত্রিকায় তখন প্রেস কাউন্সিল সম্পর্কে সংশ্লিষ্টর সাংবাদিকরা জানতো। সে প্রেস কাউন্সিল সময়ের বিবর্তনে এখন অনেক এগিয়ে চলছে। অনেক দাবী দাওয়া নিয়ে প্রেস কাউন্সিলে সাংবাদিকরা আসেন প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এর কাছে। তিনি খুবই আন্তরিকতার সাথে সাংবাদিকদের দাবীদাওয়াগুলো শুনেন এবং নিয়মতান্ত্রিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করেন।
সাপ্তাহিক পত্রিকাগুলোর একমাত্র সংগঠন সাপ্তাহিক পত্রিকা পরিষদ। প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এর আন্তরিকতায় এবং সহযোগিতায় সাপ্তাহিক পত্রিকা পরিষদ এর নেতৃবৃন্দের সাথে একাধিকবার মতবিনীময় হয়। সাপ্তাহিক পত্রিকাগুলোর দাবীদাওয়া প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বরাবর দাখিল করা হয়। প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আনুষ্ঠানিকভাবে সে সব দাবীদাওয়াগুলো শুনেন এবং সরকার বরাবর তা প্রেরন করে দাবীদাওয়াগুলো পুরন করার আশ্বাস প্রদান করেন। সাপ্তাহিক পত্রিকা পরিষদের মহাসচিব এস এম মোরশেদ এর প্রচেষ্টায় এই প্রথম সাপ্তাহিক পত্রিকার সাংবাদিকদের আচরন বিধি ও দায়দায়িত্বের বিষয়ে শুষ্ঠ সাংবাদিকতার উপর ওয়ার্কশফ অনুষ্ঠান করা হয়। ইতিপুর্বে দেশ স্বাধিন হবার পর প্রেস কাউন্সিল কতৃক আর কোন সময় সাপ্তাহিক পত্রিকাগুলো নিয়ে কোন মত বিনীময় বা তোন প্রশিক্ষন কর্মসুচি পালন করা হয়নি। এ ছাড়াও ২০১৬ ইং সালে সাপ্তাহক পত্রিকা পরিষদের উদ্দোগে ৩রা মে প্রেস কাউন্সিলের সহযোগিতায় মুক্ত সাংবাদিকতা দিবস পালন করা হয়। সাপ্তাহিক পত্রিকা পরিষদের মহাসচিব এস এম মোরশেদ এর প্রস্তাবনার পর প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মমতাজউদ্দিন আহমেদ এর উদ্দোগে সচিব শ্যামল কন্তি নাথ এর কর্মউদ্দিপনায় পল্টন সংলগ্ন স্থানে একটি বৈদ্যুতিক সাইনবোর্ড লাগানো হয় এবং সেগুনবাগিচা থেকে প্রেস কাউন্সিলে প্রবেশের রাস্তায় আরো ছোট ছোট সাইনবোর্ড লাগিয়ে সুসজ্জিত করা হয়। ফলে প্রেস কাউন্সিলকে এখন সহজেই দেখা যায়, প্রেস কাউন্সিলে গেলে চেয়ারম্যান মহোদয় গুরুত্ব সহকারে আন্তরিকতার সাথে সাংবাদিকদের কথা শুনেন, যে কোন বিষয়ে উদ্ধুদ্ধ করেন। প্রেস কাউন্সল এখন প্রান চাঞ্চল্যে ভরা। ফলে বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এখন প্রেস বান্ধব খ্যাতি অর্জন করেছেন। তিনি সকলের অভিযোগই শুনেন এবং প্রয়োজনীয় যথাযথ পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
এসপিপির মহাসচিব এর প্রস্তাবনায় প্রেস কাউন্সিলের দেয়ালকে সুন্দর রাখার জন্য সংবাদপত্র সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এর বানী এবং বিচারপতি মমতাজউদ্দিন আহমেদ এর বানী দেয়ালে সুন্দরভাবে লিখে সৌন্দর্য বর্ধন করা হয়েছে। যা স্থায়ী রুপ নিয়েছে। এছাড়াও এসপিপির মহাসচিব এস এম মোরশেদ এর প্রস্তাবনায় প্রেস কাউন্সিলের ভেতরের খালি যায়গায় টিনশেড করে সাংবাদিকদের বসার স্তান করা হয়েছে। উক্ত যায়গায় চারিদিকে জাতির জনকের বানী নহ দেয়াল লিখনে এর সৌন্দয্য বর্ধনের প্রস্তাবনাও করা হয়েছে। এখন প্রেস কাউন্সিল মিলনায়তন সবসময়ই মুখরিত থাকে বিভিন্ন সভা সেমিনারে।
সাপ্তাহিক পত্রিকা পরিষদ শুধু মাত্র সাপ্তাহিকের সমস্যা সমাধানেই প্রস্তবনা রাখেনী বরং সারা দেশের সকল মিডিয়ার বিষয়ে, সাংবাদিকদের সংগঠন সমুহ যেমন সারাদেশে অবস্থিত প্রেস ক্লাব, রিপোর্টার্স ইউনিটি, জেলা প্রেস ক্লাব, থানা প্রেস ক্লাব, উপজেলা প্রেসক্লাব, সহ সকল প্রেস ক্লাবের বিষয়ে দাবী দাওয়ায় উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রেস কাউন্সিল পরিচালনায় সারা দেশের সাংবাদিকদের মনোনিত কোন সাংবাদিক নেতা প্রেস কাউন্সিলের পরিচালনা বোর্ডে নেই। আবার সারা দেশের সাপ্তাহিক পত্রিকাগুলোর মনোনিত কোন সাংবাদিক বা সম্পাদকও প্রেস কাউন্সিল পরিচালনা বোর্ডে এ যাবৎ পর্যন্ত কোন স্তান পায়নি। তাহলে সাপ্তাহিক পত্রিকাগুলোর স্বর্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় বা সারা দেশের সাংবাদিকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় সহজ সমাধান কিভাবে হবে। এ সকল বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষন করা হয়েছে এসপিপির প্রস্তাবনায়।
বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ শুধু ঢাকায় বসেই সাংবাদিকদের সমস্যার কথা শুনছেন তাই নয়, তিনি অনেক সময় অসুস্থ থেকেও সারা দেশের প্রেস ক্লাবগুলোতে গিয়ে হাজির হন, সাংবাদিকদের সমস্যার কথা শুনেন এবং নানা বিষয়ে মত বিনীময় করেন।