ফৌজদারহাট ফরেষ্ট চেকষ্টেশনের ষ্টেশন কর্মকর্তা আতাউর রহমান লস্কর দিপু ফরেষ্টারের সীমাহীন দুর্নীতি

0
939

অপরাধ বিচিত্রাঃ
চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের ফৌজদারহাট বিট-কাম চেক স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা আতাউর রহমান লস্কর, ফরেস্টার ১৭/০২/২০১৪ইং সালে নীতিমালা বর্হিভূত ভাবে রাঙ্গামাটি সার্কেল হতে চট্টগ্রাম সার্কেলে বদলী হয়ে আসেন। বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বদলী সংক্রান্ত নীতিমালা-২০০৪ইং এর ৬ প্যারা মোতাবেক একই কর্মস্থলে, একই পদে দ্বিতীয়বার পদায়ন পরিহার করতে হবে। চট্টগ্রাম সার্কেল হতে রাঙ্গামাটি সার্কেলে এবং রাঙ্গামাটি সার্কেল হতে চট্টগ্রাম সার্কেলে কোন কর্মকর্তা-কর্মচারিকে সরাসরি বদলী করা যায় না। কিন্তু আতাউর রহমান লস্কর, ফরেস্টার ২০০৪ইং সালে চট্টগ্রাম সার্কেল হতে সরাসরি রাঙ্গামাটি সার্কেলে বদলী হন। রাঙ্গামাটি সার্কেলে ১০ বছর চাকুরি করার পর ২০১৪ইং সালে নীতিমালা বর্হিভূতভাবে একই পদে একই কর্মস্থলে অর্থাৎ চট্টগ্রাম সার্কেলে দ্বিতীয়বার পদায়ন করা হয়। আতাউর রহমান লস্কর, ফরেস্টার চট্টগ্রাম সার্কেলে যোগদানের পর ০৮/ ০৩/ ২০১৪ইং তারিখ ফৌজদারহাট বিট-কাম চেক স্টেশনে যোগদান করেন এবং ১২/০৪/২০১৪ইং তারিখ স্টেশন কর্মকর্তা হিসেবে ফৌজদারহাট বিট-কাম চেক স্টেশনের দায়ীত্বভার গ্রহন করেন। বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বদলী সংক্রান্ত নীতিমালা-২০০৪ইং এর ৩ (খ) প্যারা মোতাবেক চেক স্টেশনে কর্মরত কর্মকর্তা /কর্মচারীদের ১ বছর পর বদলী করার আইনগত বিধান থাকলেও আতাউর রহমান লস্কর, ফরেস্টার সি, সি, এফ মোঃ ইউনুস আলী খুব কাছের লোক হওয়ায় সে অদ্যবদি ২ বছর ৭ মাস যাবৎ ফৌজদারহাট বিট-কাম চেক স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তার চলতি দায়ীত্বে বহাল আছেন যা বন বিভাগের ইতিহাসে বিরল একটি ঘটনা। একজন এডহক ও ঘড়হ ঃৎধরহ ফরেস্টার এতদিন যাবৎ ফৌজদারহাট বিট-কাম চেক স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তার চলতি দায়ীত্ব পালন করে আসছেন শুধুমাত্র সি,সি, এফ মোঃ ইউনুস আলী সরাসরি হস্তক্ষেপের কারণে। চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের কোন ডি, এফ, ও-ই আতাউর রহমান লস্কর, ফরেস্টারকে ফৌজদারহাট বিট-কাম চেক স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তার চলতি দায়িত্ব হতে বদলী করার কথা চিন্তাও করতে সাহস পাননা। সি, সি, এফ  মোঃ ইউনুস আলী সময়ে বন বিভাগে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারিদের পোস্টিং নিয়ে যত অনিয়ম হয়েছে তাহা বন বিভাগের ইতিহাসে এর আগে এমন ঘটনা কখনো ঘটেনি। আতাউর রহমান লস্কর নিজেই বলে বেড়ান তিনি নাকি সি, সি, এফ সাহেবের খুব কাছের এবং অতি বিশ্বস্ত লোক। একজন ব্যক্তি যতদিন মন্ত্রী আছেন, ততদিন পর্যন্তই আতাউর রহমান লস্কর, ফরেস্টার  ফৌজদারহাট বিট-কাম চেক স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তার চলতি দায়ীত্ব পালন করে যেতে থাকবেন। গত ১৩/ ১০/ ২০১৬ইং তারিখ বন বিভাগের ভাবমূর্তি পূণঃরুদ্ধার শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানও করা হয়েছিলো। কিন্তু  এই অনুষ্ঠানটি আতাউর রহমান লস্কর, ফরেস্টার এর কারণে হাস্যকর মনে হয়েছে সবার কাছে। মনে হচ্ছে প্রদীপের নিচে অন্ধকার। তিনি বন বিভাগের ভাবমূর্তি পূণরুদ্ধার করতে চান অথচ তার নাম ভাঙ্গিয়ে বছরের পর বছর ধরে বে-আইনিভাবে একজন অদক্ষ ফরেস্টার ফৌজদারহাট বিট-কাম চেক স্টেশনের মত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্টেশন কর্মকর্তার চলতি দায়ীত্ব পালন করে আসছেন। অভিযোগ রয়েছে কাঠ, বাঁশ ও অন্যান্য বনজ সম্পদবাহী গাড়ী হতে সর্বনিম্ন ৫ শত টাকা হতে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ আদায় করে থাকেন। বিভিন্ন সময়ে এই বিষয়ে পত্র পত্রিকায় ব্যাপক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। আদায়কৃত ঘুষের টাকা হতেই বসকে মাসোহারা দিতে হয় বলে ব্যাপক লোকমুখে শোনা যায়। এছাড়া আদায়কৃত ঘুষের টাকা হতে ডি, এফ, ও কে মাসে ৫০ হাজার সি, এফ কে ৫০ হাজার এবং সি, সি, এফ কে ১  লক্ষ টাকা করে মাসিক চাঁদা দিতে হয় বলে প্রকাশ। তিনি যদি সত্যিকার অর্থে বন বিভাগের ভাবমূর্তি রক্ষা করতে চেষ্টা করতেন, তাহলে আতাউর রহমান লস্কর, ফরেস্টারকে নীতিমালা অনুযায়ী ফৌজদারহাট বিট-কাম চেক স্টেশন হতে অন্যত্র বদলী করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করতেন -এটাই ছিল সকলের একমাত্র দাবি।
অপরাধ বিচিত্রা এ বিষয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। অনুসন্ধান শেষে থাকবে বিস্তারিত প্রতিবেদন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

four × one =