ভোলায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা হাকিম মিঝির ফাঁসির দাবীতে উত্তাল ভেদুরিয়া

1
1263

* আসামী পলাতক থেকে মামলাকে অন্যদিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা * ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল হাই মাস্টারের শেল্টারে বেপরোয়া মেম্বার রফিক ওরফে হাকিম মিঝি * প্রথমে হত্যাকে আত্মহত্যা বলে প্রচারনা চালানো মেম্বারের ছেলে মিলে হত্যা করে স্কুল ছাত্রী নাবিলাকে * হত্যা মামলাকে দামাচাপা দিতে এলাকার একশ্রেনীর আওয়ামী লীগ নামধারী কুলাঙ্কারদের দৌড়ঝাপ * এক ঘটনাই জড়িত নয় রয়েছেন বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত * হতদরিদ্রে ১০ টাকা দামের চালের কার্ডও রয়েছে নিজের নামে * হতদরিদ্র নয় কার্ড পেয়েছেন তার বাহিনীর লোকেরা।
ঈগল টিম ঃ
রফিক ওরফে হাকিম মিঝি পিতা আজিজল হক মেম্বার। ছোট থেকেই পিতার এক অবাধ্য ও লম্পট সন্তান ছিলেন রফিক ওরফে হাকিম মিঝি। সাধারন মানুষের জমি দখল ও সালিশীর নামে সাধারন মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া ছিল তার প্রধান কর্ম। এ বিষয়ে এর আগে অপরাধ বিচিত্রা’র ঈগল টিম ধারাবাহিক কয়েকটি প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে। সে সময় প্রতিবেদন অনুযায়ী পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা নেওয়ার কথা থাকলেও উল্টো ওই সন্ত্রাসীকে বিভিন্ন অপকর্মের সহয়তা করতেন ভোলা সদর থানার কিছু অসৎ পুলিশ কর্মকর্তা ও পুলিশের একজন এএসপি। তারা সন্ত্রাসী রফিক ওরফে হাকিম মিঝির কাছ থেকে অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়ে তাকে শেল্টার দিয়েছেন মর্মে অভিযোগও উঠেছে। এ নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরের ওই পুলিশ সদস্য এবং সন্ত্রাসী রফিক ওরফে হাকিম মিঝির বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হয়। ভোলা জেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল হাই মাষ্টারের আর্শিবাদপুষ্টে তিনি বিভিন্ন অপকর্মে সাথে জড়িত হলেও ছিলেন রাজার হালে। রাজনীতিতে তেমন কোন মাইলফলক জড়িত না থাকলেও তিনি আব্দুল হাই মাস্টারের সহযোগিতায় বিভিন্ন অপকর্ম থেকে পার পেতেন খুব সহজেই। বর্তমানে ভেদুরিয়া ইউনিয়নে তার বাড়ীর পাশে স্কুল ছাতী নাবিলাকে রফিক ওরফে হাকিম মিঝির ছেলে মাহফুজ ও তার বন্ধুরা ধর্ষণের পর হত্যা করে ওই মামলার ২নং আসামী রফিক ওরফে হাকিম মিঝি। ওই হত্যা মামলার আসামী হয়ে পলাতক থেকে আব্দুল হাই মাস্টারকে দিয়ে মামলাটি অন্যভাবে প্রবাহিত করার জন্য চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরবর্তী সংখ্যায় তুলে ধরবো। ক্ষমতার দাপটে নিজের ছেলেকে বিভিন্ন অপকর্মে সাথে জড়িত করেন ইউপি মেম্বার রফিক ওরফে হাকিম মিঝি। ওই এলাকায় তার ছেলে মাহফুজসহ আরো ১০/১৫ জন যুবককে দিয়ে একটি বাহিনী গঠন করেন রফিক ওরফে হাকিম মিঝি। তাদের মধ্যে রয়েছে, ছেলে মাহফুজ, সাঈদী, শামীম, জুয়েল, ইউসুফসহ আরো কয়েকজন।

mg-42
সূত্র জানায়, ভোলা সদর উপজেলার উত্তর চর ভেদুরিয়া গ্রামে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী আকলিমা আক্তার নাবিলাকে (১৬) ধর্ষণের পর হত্যা করে ইউপি মেম্বার রফিক ওরফে হাকিম মিঝির লম্পট ছেলে মাহফুজ ও তার বাহিনীর ছেলেরা। নাবিলার পরিবারের অভিযোগ, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য রফিক ওরফে হাকিম মিঝির ছেলে ও তাঁর বন্ধুরা এ ঘটনায় জড়িত। গত বুধবার রাতে ওই স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। নাবিলার মা জোসনা বেগম বলেন, তাঁর স্বামী সিরাজুল ইসলাম ঢাকায় চাকরি করেন। স্থানীয় ভেদুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. আবদুল হাকিম মিজি তাঁর প্রতিবেশী। বুধবার বিকেলে জোসনা বেগম তাঁর ছোট মেয়ে নাবিলাকে বাসায় রেখে বড় মেয়েকে ঢাকাগামী লঞ্চে তুলে দিতে যান। এরপর সেখান থেকে পাশের গ্রামে ভাইয়ের বাড়িতে যান। রাত সাড়ে আটটার দিকে ইউপি সদস্য আবদুল হাকিমের মেয়ে ফোন করে জোসনা বেগমকে জানান, নাবিলা ঘরের ভেতর ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এরপর দ্রুত বাড়ি ফিরে তিনি জানতে পারেন, নাবিলাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেছেন আবদুল হাকিম। জোসনা বেগমের অভিযোগ, আবদুল হাকিমের ছেলে মাহফুজ তাঁর বন্ধুদের নিয়ে নাবিলাকে ধর্ষণের

mg-44

পর হত্যা করেছেন। এরপর লাশ রশিতে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচারের চেষ্টা করেন। জোসনা বলেন, এটি পরিকল্পিত হত্যা। আমি এর বিচার চাই। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, মেয়েটিকে ইউপি সদস্য মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এনে বলেন, মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। চতুর মেম্বার নিজের ছেলে ও নিজে মামলা থেকে বাচতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন। প্রথম নাটকীয়তা করেন মেয়েটিকে হাসপাতাল নিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচারনা চালায়। লম্পট রফিক ওরফে হাকিম মিঝির বিরুদ্ধে মামলা হলেও মামলা থেকে বাচাঁর জন্য নেতাদের দ্বারপ্রান্তে ঘুরছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর খায়রুল কবীর বলেন, মেয়েটির গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পলাতক। তবে তাদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান ওসি মীর খায়রুল কবির। এদিকে স্কুলছাত্রী আকলিমা আক্তার নাবিলা হত্যার ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে ভোলা থানায় হত্যা মামলা করলেও কোনো আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। সম্প্রতি নাবিলার স্কুলের শিক্ষক ও সহপাঠীরা এই বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার এবং দ্রুত বিচার দাবি করে মানববন্ধন করেছে। অন্যদিকে এ হত্যাকান্ডটিকে ধামাচাপা দিতে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করেছেন। নিহতের মা অভিযোগ করেন, বুধবার বিকালে নাবিলাকে বাড়িতে রেখে তিনি পার্শ্ববর্তী গ্রামে বাবার বাড়ি যান। সন্ধ্যার পর তাকে একা ঘরে পেয়ে প্রতিবেশী মাহফুজ ও তার বন্ধুরা ধর্ষণের পর হত্যা করে গলায় রশি ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালায়। প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহত নাবিলার বাবা সেলিম জানান, যতটুকু উচ্চতায় নাবিলাকে রশিতে ঝুলানো ছিল সে উচ্চতা নাবিলার উচ্চতার চেয়ে কম। বিধায় এটা কোনোভাবেই আত্মহত্যা হতে পারে না। এটি পরিকল্পিত হত্যা। তারা এর বিচার চান।
এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, প্রধান মন্ত্রীর জননেত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া হতদরিদ্রের জন্য ১০ দামে চালের কেজিতেও কারসাজি করেছেন এ মেম্বার। শুধু কারসাজি নয় হতদরিদ্রের কার্ড দেয়ার কথা থাকলে তিনি হতদরিদ্র ছাড়া টাকার বিনীময় কার্ড দিয়েছেন তার বাহিনীর লোকজনকে। এরমধ্যে রয়েছেন নাজিম গাজী। এই নাজিম গাজীর ভাগ্নে ও লম্পট মেম্বার রফিকের ছেলে মাহফুজ মিলে নাবিলাকে ধর্ষণপর হত্যা করে। প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে নিজের ও তার স্ত্রীসহ পরিবারের নামে রয়েছে কয়েকটি কার্ড। তবে সারা দেশে ১০ টাকা চালের কেলেংকারীতে মেম্বার চেয়ারম্যানদের বিভিন্ন সাজা হয়েছে। কিন্তু আব্দুল হাই মাস্টারের আর্শিবাদে ভেদুরিয়া এলাকার ভূমিদস্যূ, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান রফিক ওরফে হাকিম মিঝির কিছুই হয়নি।
সূত্রে আরো জানা গেছে, কয়েক বছর আগে ভেদুরিয়া লঞ্চঘাটের ওপার চরের জমি দখল করতে গিয়ে অস্ত্রসহ গ্রেফতার হয় রফিক ওরফে হাকিম মিঝি। উক্ত মামলায় তার বিরুদ্ধে সাজাও হয় পরে আপিল করে। এমনকি এ ঘটনা ঘটার আগেও তার আপন চাচাকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করে এমন অভিযোগে ভোলা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। ওই মামলা ভেলুমিয়া ফাঁড়ি ততকালীন একজন এস আই তদন্ত করে এমনকি তাকে ত্রিশ হাজার টাকা দিয়ে মাফ চেয়ে নেন। পরে ওই মামলার অন্য আসামী থেকে টাকা উত্তোলন করে হাকিম মিঝি আইওকে দিয়ে চুড়ান্ত রিপোট কোর্টে দাখিল করে। তার বাহিনী আরেক সদস্য হয়েছে, খোকন গাজী পিতা জয়নাল গাজী তারই আপন ভাই কাকন যে কয়েক বছর আগে বোমা বানাতে গিয়ে ডান হাতের কজ্বি পর্যন্ত পুড়ে গেছে এরপর ওই হাত কেটে ফেলতে হয়েছে। তখন ওই বোমা বানিয়েছিল ভেদুরিয়া লঞ্চঘাটের ওপারের চরের জমি দখল করতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে কিন্তু সে সময় তাদের উদ্দেশ্য সফল হয়নি। তবে বোমা দ্বারা সফল না হলেও দেশী অস্ত্র নিয়ে ওই জমি দখল করতে পেরেছে।

mg-43

ভেদুরিয়ায় পরকিয়ার অজুহাতে গৃহবধূকে নির্যাতন ও অর্থ বাণিজ্যর অভিযোগ ঃ
ভোলা সদর উপজেলায় পরকিয়ার অজুহাতে গৃহবধূকে রাঁতভর নির্যাতন ইউপি মেম্বার হাকিম মিঝির অর্থ বাণিজ্যর কারণে সংসার ভাঙ্গছে শাহিদার। উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের টেকেরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিনে জানা যায়, প্রায় বছর ৫ আগে ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আঃ মালেকের মেয়ে শাহিদা (২৫) এর সাথে পূর্ব ইলিশা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আলী আহম্মদের ছেলে ঢাকার টাইলস মিস্ত্রী মিলন এর সাথে বিয়ে হয়। গত ১৫ দিন আগে শাহিদা টেকের হাট তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। গৃহবধূ শাহিদা অভিযোগ করে বলেন, গত মঙ্গলবার বিকেলে আত্মীয়র সুবাধে ভোলা পশ্চিম ইলিশার বাঘেরহাট সংলগ্ন ধানসিঁড়ি এলাকার ছিদ্দিকের ছেলে আনোয়ার আমাদের বাসায় আসেন। সন্ধ্যার দিকে যাওয়ার সময় একই এলাকার মেম্বারের নেতৃত্বে টেকেরহাট দোকানের সামনে আনোয়ারকে আটক করে। স্থানীয় মেম্বার হাকিম মিঝি ঘটনাস্থলে পরিকিয়ার অভিযোগ তুলে আনোয়ারকে মারধর করে ঘরের ভিতর তালা মেরে রাখেন এবং বিনা কারনে মেম্বার হাকিম আমাকে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আটক রেখে রাঁতভর নির্যাতন করেন। পরিকিয়ার মিথ্যা অভিযোগ তুলে রাত ৩ টার দিকে বিভিন্ন ভয় ভীতি দেখিয়ে আনোয়ারের পরিবারের কাছ থেকে মেম্বার ও তার বাহিনীর লোকেরা ৭০ হাজার টাকা অর্থ বাণিজ্য করে তাকে ছেড়ে দেয়। মেম্বার হাকিম মিঝির মিথ্যা অভিযোগের কারণে আজ আমার সংসার ভাঙ্গার পথে। স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে জানা যায়, শাহিদার ঘরে আনোয়ার প্রায়ই আসা যাওয়া করতো। ঘটনার দিন আনোয়ারকে দোকানের সামনে থেকে আটক করে। মেম্বার হাকিম, আনোয়ার ও শাহিদাকে রাঁতভর নির্যাতন করে ৭০ হাজার টাকা আদায় করে ওদের ছেড়ে দেয় । আর এই ধরনের অপরাধে হাকিম মিঝি এলাকায় অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে। এদিকে শাহিদার স্বামী মিলন জানান, শাহিদার চরিত্র ভাল নয়। পিছনেও তার অনেক রেকর্ড রয়েছে। তার পরিকিয়ার বিষয়টি এখন সকলের মুখে মুখে। তাকে নিয়ে আমার সংসার করা সম্ভব নয় বলে ওয়ার্ড মেম্বার হাকিম মিঝি ও তার পরিবারকে জানিয়ে দিয়েছি।
ভোলায় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার প্রতিবাদে দোষীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
ভোলার সদর উপজেলায় আকলিমা আক্তার নাবিলা (১৪) শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে হত্যার প্রতিবাদে দোষীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ, সমাবেশ ও মানববন্ধন করা হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২ টায় ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর চর ভেদুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনে শিক্ষক, সহপাঠী সহ এলাকাবাসী অংশ গ্রহণ করেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসান মিজানুর রহমান মিঠু, মানবাধিকার কর্মী সাংবাদিক আফজাল হোসেন, নেয়ামতউল্যাহ, মো.আলী জিন্নাহ রাজিবসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবক মহল। এসময় বক্তারা আগামি ১০ দিনের মধ্যে আসামীদের গ্রেফতারে দাবি জানান এবং না হয় বিভিন্ন কর্মসূচী দিবেন বলে ঘোষণা প্রদান করেন। চোখ রাখুন অপরাধ বিচিত্রায়, আরো বিস্তারিত যে কোন সংখ্যায়।

mg-45
লম্পট বাবার লম্পট ছেলে
লম্পট বাবার লম্পট ছেলে মাহফুজ। বাবা রফিক ওরফে হাকিম মিঝি ছোট থেকেই এলাকার যুবতী নারীদের পিছু ছুটতেন। ঠিক সেই স্বভাব এখনো রয়েছে রফিক ওরফে হাকিম মিঝির। তারই বংশের প্রদ্বীপ হিসাবে স্মৃতি রাখতে লম্পট বাবার সুযোগ্য লম্পট ছেলে হিসাবে পরিচিত হয়ে উঠেছে মাহফুজ। গত ইউপি নির্বাচনের আগেও রফিক ওরফে হাকিম মিঝির ছেলে মাহফুজ রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। এরপর হাকিম মিঝির নির্বাচন করে টাকা ও ক্ষমতার দাপটে নির্বাচিত হন এরপরই মাহফুজ এলাকার বিভিন্ন অপকর্মে হাল ধরেন। ঠিক বাবার মতই কোন বাড়ীতে সুন্দরী মেয়ে একা আছে সেই বাড়ীর দরজা জানালা ভেঙ্গে হলেও তার দলবল নিয়ে প্রবেশ করে ধর্ষনের মত ঘটনা ঘটায়। তাদের ভয়ে এলাকার অনেকেই মুখ খুলে কিছু বলার সাহস পায় না। যদিও কেউ সাহস করে লম্পট রফিক ওরফে হাকিম মিঝির কাছে বিচার দেয় তাহলে তাদের উপর নেমে আসে মানষিক নির্যাতনসহ অর্থনৈতিক হামলার খড়গ। একের পর এক অপকর্মে করে পার যেতেন তারা। আর এগুলোর মূল শেল্টারকারী হিসাবে কাজ করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল হাই মাস্টার।

mg-38
রফিকের শেল্টারকারী আব্দুল হাই মাস্টার
তিনি ভেদুরিয়া ইউনিয়ন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও একটি সরকারী স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, একটি দলের গুরুত্বপূর্ন পদে থেকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক হয়ে প্রতিদিন স্কুলে না গিয়ে এক সপ্তাহ পর হাজিরা খাতায় স্মাক্ষর করেন। এ নিয়ে স্থানীয় বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা হলেও তার টনক নড়েনি। বরং তিনি দাপটের সাথে রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যাবহার করেন। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে চরের জমি দখল করে চাষাবাদ করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ওই এলাকার সাধারন মানুষের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে একজন লোক একটি দলের গুরুত্বপূর্ন পদে থেকে কিভাবে সরকারী চাকুরী করেন?? ভেদুরিয়া ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে রয়েছে তার সিন্ডিকেট। ওই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তিনি বিভিন্ন অপকর্ম পরিচালনা করেন বলে অভিযোগ অনেক আগ থেকেই। বিনীময় তাকে সাপ্তাহিক একটা বড় অংকের টাকা দিতে হয়। তার শেল্টারে সাধারন নিরীহ মানুষের জমি দখল থেকে শুরু করে হামলা মামলা ও হয়রানী ঘটনা ঘটে অহরাহর। কিন্তু দেখার কেউ নেই। রাজনীতি নয় রাজনীতির নামে সাধারন মানুষকে জিম্মি করে অর্থ আদায় করাই এখন তার ও তার বাহিনীর প্রধান কাজ হয়ে দাড়িয়েছে। আমাদের ব্যাপক অনুসন্ধান চলছে বিস্তারিত পরবর্তী সংখ্যায়।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

one × 1 =