তালতলীতে মামলাবাজ চাঁদাবাজ এক তনুর কান্ডপ্রধান শিক্ষক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী

0
1004

বিশেষ প্রতিনিধিঃ তালতলীতে মামলাবাজ ও চাঁদাবাজ তনুকে দাবীকৃত চাঁদা না দেয়ায় প্রধান শিক্ষক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, তালতলীর উত্তর ঝাড়াখালী গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেন তনু   দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকার নিরীহ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা সহ চাঁদা  আদায় করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। মামলার ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করছেনা।প্রতিবাদ করলেই মামলা অতপর চাঁদাদাবী। চাঁদা না দিলে জেল। ধর্ষণ, হত্যা, লুট, চাঁদাবাজী, ছাব্বিশ মামলা সহ জটিল মামলায় জড়িয়ে এলাকার নিরীহ মানুষদের নিকট থেকে চাঁদা আদায় করছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিভিন্ন সময় তনুর দেয়া সকল মামলা তদন্তে মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে। এর পরও থেমে নেই এ তনু । তিনি দেদারছে মামলা ও চাঁদাবাজী চালিয়ে যাচ্ছে। চাঁদা না দিলে তার আত্মীয়-স্বজন ও বংশের লোকদের বিরুদ্ধেও করে মামলা। গত ০৩/১১/১৬ তারিখে তনুর ভাতিজা একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফ উজ্জামান তার স্ত্রী ও একমাত্র ছেলে জেএসসি পরীক্ষার্থী মশিউররহমানকে (১৩) আসামী করে আমতলী কোর্টে  একটি মারামারি ও  ছিনতাইয়ের  মামলা করে। মামলা নং-পিটি-১৩০৩/১৬। তনুর নিকটাত্মীয় বরগুনা জেনারেল হসপাতালের ষ্টাফ থাকার সুবাদে ঐ মামলায় একটি মিথ্যা মেডিকেল সার্টিফিকেটও নিয়ে আসে তনু। সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঘটনার দিন তনুর সাথে প্রধান শিক্ষক অশ্রাফুজ্জামান মাষ্টারের কোন ঘটনাই ঘটেনি। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে আশ্রাফুজ্জামান মাষ্টারের সাথে তার সৎ ভাইদের সাথে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। অশ্রাফুজ্জামান মাষ্টারকে সম্পত্তি ছেড়ে না দেয়ার চক্রান্তে তার সৎ ভাইয়েরা মামলাবাজ তনুকে  দিয়ে অশ্রাফুজ্জামান মাষ্টারকে  হয়রানী করার ষড়যন্ত্র করে। তনু  অশ্রাফুজ্জামান মাষ্টারের কাছে চাঁদা দাবী করে। চাঁদা না দেয়ায় ঐ মামলা করে মাষ্টারের বিরুদ্ধে। ইতিপূর্বে ও আশ্রাফ মাষ্টারের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল এই তনু। মামলা নং এমপি ৯৭/৮৭। ঐ সময় মামলটি আমতলী হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার মিজানুররহমান এর কাছে তদন্ত দিলে তদন্তে মামলাটি মিথ্যা প্রমানিত হয়।
মামলাবাজ তনুঃ
এ ছাড়াও তনু যে সকল মিথ্য মামলা করেছে তার কতিপয় উল্লেখ করা হল। সি আর মামলা নং ৫১৫/৯০। মামলাটি তদস্ত করেন তৎকালীন আমতলী সহকারী কমিশনার (ভুমি) শেখ আব্দুল আহাদ । ঐ মামলাটিও তদন্তে মিথ্যা প্রমানিত হয় । এ ছাড়াও সি আর ২৩২/৮৭, দায়রা মোকাদ্দমা নং ২৭/৯১, জি আর ১৪৩/ ৯৪, সি আর ৩৫৬/৯৪, সি আর ৫১৫/৯০, এম পি ১১৮২/০৬, সিআর ৫০১/১৪  এ ছাড়াও আনেক মামলা করার অভিযোগ রয়েছে। সকল মামলা তদন্তে মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে। আলীর বন্দর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক জামাল উদ্দিনের বাড়ির পুকুরে চোরাই সুন্দরী কাঠ ডুবিয়ে রেখে তাদেও মামলায় ফাসানোর ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় করেছিল এই তনু। তনু তার মাকে দিয়ে ও ছেলে মাছুমকে দিয়েও মামলা দিয়েছে। বৃদ্ধা মা মমলা দিতে রাজি না হলে মাকে মারধর করে মামলা দেয়াত এই নরপশু।ছেলের নির্যাতনের ভয়ে মামলা দিত তনুর বৃদ্ধা মা।

তনুর কলঙ্কিত বিবাহঃ
পঞ্চাশোর্ধ বয়সী তনু তার জীবনে ৭ টি বিবাহ করেছেন। মিথ্যা মামলা দিতে রাজি না হওয়ায় নির্মম নির্যাতনের পর একের পর এক স্ত্রীদেরকে তালাক দিয়েছে তনু। তার সপ্তম স্ত্রী রাবেয়া তার অনুগত থেকে এ মামলা দিচ্ছে। অনুসন্ধান চলছে দেখা যাক মামলাবাজ তনুর মামলার ফিরিস্তি কত বড়।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

15 + 6 =