নেপথ্যে মুগধা থানার ওসি এনামুল ও (তদন্ত) নাসির অপরাধের গডফাদার কাউন্সিলর বাচ্চুর বিরুদ্ধে ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, হত্যা সহ নানা অপকর্ম অব্যাহত পালিয়ে বেড়াচ্ছে বাদি

0
1268

কমিশনার বাচ্ছু এলাকার আতঙ্ক।এলাকাবাসি তার ভয়ে কেউ মুখ কুলছেনা। ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাচ্চুর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ছিনতাইকারীদের শেল্টার দেয়া, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসায়ীদের শেল্টার দিয়ে অর্থ আদায়, মেয়ে  ও মাদক নিয়ে ফুর্তিতে মশগুল থাকা। একাধিক বিয়ে, হত্যা, ধর্ষণ সহ এমন কোন অপরাধ বাদ নেই যা সে করে নাই। এবার হত্যার বিষয়ে যেমন মামলা হতে চলছে তেমনি একটি ধর্ষণের মামলাও হয়েছে তার বিরুদ্ধে। স্থানীয় সাংসদ সাবের হোসেন চৌধুরীর নির্দেশের প্রতিও তিনি তোয়াক্কা করেন না। থানা পুলিশকে নানা সুবিধা দিয়ে নিজের অপকর্ম করে চলছেন। এলাকার কেউ তার অপকর্মের বিষয়ে মুখ খুলতে সাহস করেন না। এ বিষয়ে এবারের প্রতিবেদন। এ গডফাদারের বিরুদ্ধে কারোর কাছে কোন তথ্য প্রমাণ থাকলে তা অপরাধ বিচিত্রা বরাবর জানানোর জন্য অনুরোধ করা হলো। প্রয়োজনে নাম ঠিকানা গোপন রাখা হবে। অনুসন্ধানের ভিত্তিতে হবে পরবর্তি প্রতিবেদন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৭নং ওয়ার্ডের  কাউন্সিলর অপরাধের গডফাদার বাচ্চুর বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় মামলাও হয়েছে বলে জানা গেছে।  মামলার বাদীনি ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের একজন সক্রীয় কর্মী এবং তার স্বামী একজন প্যারালাইসিস আক্রান্ত রোগী। তিনি ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। অভিযোগে জানা যায়, ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুল বাসেত খান বাচ্চুর  বাড়ীর পাশেই ধর্ষিতা গৃহবধুর বসত বাড়ী। তিনি কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন সময় ওই গৃহবধুকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। বিষয়টি তিনি লোকলজ্জা ও মানসম্মানের ভয়ে কৌশলে এড়িয়ে যেতেন। পরে তার  যৌন নির্যাতনের পিড়াপিড়িতে অতিষ্ঠ হয়ে এই ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে গত মার্চ মাসে স্থানীয় সাংসদ সাবের হোসেন চৌধুরীর নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সাথে প্রমাণ হিসেবে মোবাইলে ধারণকৃত কুপ্রস্তাবের অডিও টেপ জমা দেন। এতে কোন প্রতিকার না পেয়ে গত ০৩/০৪/২০১৬ ইং তারিখ মুগদা থানায় কাউন্সিলর বাচ্চুর বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরীও করেন, যার নং ১৩৩ তাং ০৩/০৪/২০১৬ইং। গৃহবধুকে কোন ভাবেই কাবু করতে না পেরে পরবর্তীতে বাচ্চু তার রক্ষিতা সপ্না নামের  অসৎ চরিত্রের এক বিতর্কিত মহিলাকে দিয়ে ওই মহিলার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে ফাঁসিয়ে দেয়। পরবর্তীতে মামলাটি মিমাংসা করার প্রস্তাব দিয়ে গত ০৬/১২/২০১৬ ইং তারিখে রাত ৮ টার সময় বাসা থেকে তার কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে জানায়, তার কথামতে কাজ করতে রাজি হলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আর কোনো চিন্তা করতে হবেনা। এক পর্যায়ে সে প্রাণে মেরে ফেলার ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর পূর্বক ধ্বস্তাধস্তি করে অফিস কক্ষেই ধর্ষণ করে এ নারীকে।  এক পর্যায়ে ওই নারী হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। রাতে জ্ঞান ফিরলে বাড়িতে এসে স্বামীকে তার সর্বনাশের ঘটনা জানায়। স্বামীর মাধ্যমে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের প্রবীণ সভাপতি এবিএম শরীফ কে বাসায় ডেকে এনে ঘটনাটি জানালে সকলের পরামর্শ ও সহযোগিতায় রাতেই তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি হন এবং চিকিৎসা গ্রহণ করেন। অভিযোগে আরও জানা যায়, বাচ্চুর গুন্ডা বাহিনীর হুমকির ভয়ে থানায় মামলা পর্যন্ত করতে সাহস পাচ্ছিলেন না তিনি। পরবর্তীতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা ও পরামর্শে গত ০৮-১২-২০১৬ ই্্্ং তারিখে মুগদা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে। যার মামলা নং-০৪, তাং-০৮-১২-২০১৬ মামলাটি দায়েরের পর মুগদা থানার ওসি এনামুল হক ও নাসির (তদন্ত) আসামীর সাথে হাত মিলিয়ে প্রভাবিত হয়ে এ মামলাটির আইনগত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ৩দিন পর্যন্ত নানা তালবাহানার পর মামলা গ্রহন করা হয়। কাউন্সিলর আবদুল বাসেত খান বাচ্চু এর আগেও বেশ কয়েকজন নারীকে বিভিন্ন অহেতুক ঝামেলায় ফেলে অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে ধর্ষণ করেছে। ওইসব নারীরা কেউ মানসম্মানের ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায়নি। যার কারণে লম্পটের বিরুদ্ধে মামলাও হয়নি। এই ঘটনার জের ধরে কাউন্সিলরের অপসারনের দাবীতে এলাকাবাসী বেশ কয়েকবার মিছিল করেছে। এই সংবাদ ্জাতীয় দৈনিক সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে। শুধু নারী ঘটিত ব্যাপারই নয়, এই অর্থলীপ্সু নরপিশাচ কাউন্সিলর এমন কিছু ঘটনা নেই যা সে করেনি। সে ক্ষমতায় এসেই ওয়ার্ডের ওই সময়কার সাধারণ সম্পাদক সরদার সফিকুল ইসলামকে তার গুন্ডা বাহিনী দিয়ে তার কার্যালয়ের ভেতর ডেকে নিয়ে অমানুষিক  নির্যাতন ও মারধর করার পর রাস্তায় বের করে দুই হাঁটুতে কয়েকটি গুলি করে তাকে চিরতরে পঙ্গু করে দেয়। গত ১৭-০৪-১৬ ইং তারিখে কৃষিবিদ আব্দুস শুক্কুরের জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিষয়ে একটি অহেতুক ঝামেলায় ফেলে। পরে তার গুন্ডা বাহিনী দিয়ে ব্যাপক মারধর করে হাত-পায়ের হাড় গুড়ো করে দেয়। ১৯-০৪-২০১৬ ইং তারিখে আব্দুস শুক্কুর কাউন্সিলরের নির্মমতার শিকার হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। এই মামলাটিতেও বাচ্চু ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যান ক্ষমতার দাপট ও দলীয় প্রভাব খাটিয়ে। এছাড়াও কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকার নিরীহ লোকজনকে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে সরকারকে ঠকিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিজে লাভবান হয়েছেন। যে কোন ধরনের রোড কাটিংয়ের জন্য তাকে টাকা দিলেই সব কিছু করা সম্ভব। সুয়ারেজ, পানি ইত্যাদি যে কোন ধরণের কাজ করতে গেলেই তার বাহিনী কাউন্সিলরের জন্য টাকার দাবীতে পথরোধ করে দাঁড়ায়। যে কোন ধরণের বিচার-শালিস, জমি-জমার ঝামেলার মিমাংসার অযুহাতে টাকা হাতিয়ে নেয়। বিভিন্ন মাদক জুয়ার স্পট পরিচালনা করে নিয়মিত লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করে। কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে প্রতিকার চেয়ে নির্যাতিত গৃহবধু মুগদা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন, যার নং ১৩৩ তারিখ ০৩/০৪/২০১৬ ইং। জিডির বিষয়ে ওসি তদন্ত বা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ না করে ধর্ষিতা নারীকে অনিশ্চিত অবস্থায় ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয় এবং অধিকার থেকে বঞ্চিত করে। মুগদা থানার ওসি আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করলে হয়ত ধর্ষনের শিকার হতে হতো না ওই গৃহবধু। বরং তিনি আইনগত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে আসামীর সাথে হাত মিলিয়ে মামলাটির কার্যকর ব্যবস্থাকেও অচল করে দিয়ে এ নারীর অপূরণীয় ক্ষতিসাধন করেছেন বলে অভিযোগ ইঠেছে। নির্যাতিত ওই গৃহবধু একজন দলীয় কর্মী। নিজ দলীয় একজন নেতার নিকট ধর্ষণের শিকার হয়ে ন্যায় বিচার না পেলে নির্যাতিত ও নিষ্পেষিত নারীরা বিচার পাবে কোথায়? বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মত একটি ঐতিহ্যবাহী ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়নে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েই এলাকায় বিভিন্ন অপকর্ম, নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি করে দলের ব্যাপক ভাবমূর্তি ভূলুন্ঠিত করেছে। ও্ই গৃহবধুকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে অব্যাহত হুমকি দিচ্ছে। বেশি বাড়াবাড়ী করলে পুরো পরিবার সহ প্রাণে মেরে ফেলবে বলেও হমকি দিচ্ছে। লম্পট কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে নির্যাতিত গৃহবধু বলেন, প্রাণপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যেখানে এই সব দুর্নীতি ও অপকর্মের হোতাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন, সেখানে সেখানে একজন অপরাধী কাউন্সিলর কেন গ্রেফতার হলনা? এলাকাবাসীর জোর দাবী  অপরাধের গডফাদার ধর্ষক বাচ্চু, মুগদা থানার ওসি এনামুল ও ওসি তদন্ত নাসির এর বিরুদ্ধে জরুরী ভিত্তিতে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার।
কাউন্সিলর বাচ্চু ৭নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই নানা কারণে আলোচিত সমালোচিত জম্ম দিয়ে চলেছেন একটির পর একটি অপরাধমূলক ঘটনার। এখন এলাকায় আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে তিনি। তার এসব অপকর্ম দেশের প্রচার বহুল পত্র পত্রিকায় ব্যপকভাবে প্রচার হয়েঠে। অপরাধ বিচিত্রা গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি অনুসন্ধানে নেমেছে।
এদিকে বাচ্চুর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, আইজিপি, পুলিশ কমিশনার, মহাপরিচালক র‌্যাব, উপপুলিশ কমিশনার, চেয়ারম্যান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনার, মেয়র ঢাকা সিটি কর্পোরেশন দক্ষিন এর বরাবর প্রতিকার চেয়ে আবেদন পত্র পাঠিয়েছেন উক্ত ভুক্তভোগি মহিলা। এছাড়া রাজধানী থেকে প্রচার বহুল ম্যগাজিনগুলোও কমিশনার বাচ্চুর বিরুদ্ধে তার অপকর্মের তথ্য বহুল সংবাদ প্রকাশ করেছে। এলাকাবাসি জানিয়েছে বাচ্চুর অত্যাচারে এলাকাবাসি অতিষ্ট। অতি দরিদ্র স্থান হতে উঠে আসা ওয়ার্ড কমিশনার বাচ্চু নানা অপকর্মের ব্যক্তিদের সাথে মিশে শেল্টার দিয়ে পুলিশকে নিয়মিত বখরা দিয়ে এ পর্যন্ত এসেছে। মুগধা মাছের আড়ত হতে আনজুমানে মফিদুল ইসলাম, কবরস্থান সহ রাস্তার দুপাশে বাজার হতে নিয়মিত তার লোকজন দিয়ে চাদা উত্তোলন করে বলে জানা যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্চুক একজন চা দোকানদার জানান ওসি, আলমাস ও তাহেন সহ আলমাসের ইউনিয়ন পরিষদের দোতালায় বসে মদ ইয়াবা সেবন করে। সাংবাদিক বা অন্য কেউ দেখা করতে চাইলে মোবাইলে জানানো হয় তারা জরুরি মিটিং করছেন। পরে দেখা করতে বলেন। অথচ ঘন্টার পর ঘন্টা সে মদ ও চাঁদার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে সময় কাটায়। এ ছাড়া মুগধা হাসপাতালের আয়া, ভুয়া নিয়োগেও সে ২০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা নিয়ে থাকে চাকুরি প্রদানের নামে এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রভাবিত করে থাকে চাকরি প্রদানের জন্য। বাচ্চু কমিশনারের নির্যাতনের কথা মনে হলেই সব কিছু যেন এলোমেল হয়ে যায় আমার। জীবনে এমন অবস্থার মুখোমুখি হবো তা ভাবতেই পারিনি কোন দিন। তিনি বলেন, ২৫ বছর ধরে এই এলাকায় বসবাস করছি। আমার স্বামী একজন অসুস্থ ব্যক্তি বিছানায় পড়ে আছে। এলাকায় লোক লজ্জার ভয়ে চলাফেরা করা আমার জন্য মহামুশকিল হয়ে পড়ছে। নির্যাতিতা গৃহবধু বলেন, কয়েকমাস আগে তার বাড়ী ভাড়া নিয়েছিল স্বপ্না নামের এক নারী। ভাড়া নেওয়ার সময় তার স্বামীও আসেন সাথে। কিছু দিন পর তিনি বিদেশ চলে যান। শুরু থেকেই ঠিকমত ভাড়া দিতনা স্বপ্না। সাতরং নামে তার একটি বিউটি পর্লার ছিল তার। কিছু দিন পর জানতে পারি তার বাসায় বিভিন্ন লোক জাতায়াত করে সবাই নতুন মুখ। অসামাজিক কার্যকলাপ চলতে থাকে তার বাসায়। এবিষয়টি এলাকায় লোকমুখে ছড়িয়ে পড়লে তিনি স্বপ্নাকে বাসা ছাড়তে বলেন। তিনি আরো বলেন, একদিন হঠাৎ তার বাসায় ঢুকি। ওইদিন তার চাচাতো ভাই পরিচয় দেয়া এক ব্যক্তিকে অপরিচিত এক মেয়ের সঙ্গে হাতেনাতে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলি। তখন তারা আমার হাতেপায়ে ধরে কাউকে না জানাতে বিশেয ভাবে অনুরোধ করে। এর পর থেকেই তাকে বাসা ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকি। এর পর সে বাচ্চু কমিশনারকে হাত করে। এসুযোগে পেয়ে স্বপ্না উল্টো তার কাছ থেকে বাড়ীওয়ালা ৫ লাখ টাকা ধার নিয়েছে বলে ওই টাকা দাবী করে। তার বিরুদ্বে একটি মামলাও করে। এ নিয়ে স্বপ্না ও বাড়ীওয়ালার মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এই সুযোগ নিয়ে কমিশনার তাকে কুপ্রস্তাব দেয়। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নানা হুমকি দিতে থাকে। এমনকি আমার শ্বশুর-শাশুড়ীর সামনে ফোন করে এসব বাজে প্রস্তাব দিত। বলতো শারীরিক সম্পর্ক না করলে বাসায় ঢুকে মেরে ফেলবো। এ কারণে সব সময় নিরাপত্তাহীনতায় থাকতাম। ধর্ষিতা গৃহবধু আরো বলেন, তার আলাপচারিতার সব কলরেকর্ড রয়েছে তার কাছে। এসব ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরীকেও লিখিত ভাবে জানিয়েছিলেন। কয়েক মাসের ব্যবধানে নির্যাতিতা গৃহবধুর শ্বশুর-শাশুড়ী মারা যাওয়ার জন্য এই ঘটনাটিকেও দায়ি করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, নির্যাতনের শিকার হয়ে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরলে এক ব্যক্তি সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তার বাসায় আসে। কিছুক্ষণ পরে আরো একজন ঢুকে বাসা ভাড়া নেয়ার জন্য।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

16 + nineteen =