সাভার প্রেসকাবের সাধারন সম্পাদক মিঠুন সরকারের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও চাঁদাবাজির অভিযোগে আদালতে মামলা !

0
1263

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
সাভার প্রেসকাবের সাধারন সম্পাদক ও ৭১ টেলিভিশনের সাভার প্রতিনিধি মিঠুন সরকারের (৩২) বিরুদ্ধে শ্রী অভিজিৎ রায় অজয় (২৮) নামের এক ব্যক্তিকে নিজ কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে মারধর ও ১ লক্ষ চাঁদা দাবীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নিজে বাদি হয়ে মিঠুন সরকারের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে দন্ডবিধি ৩৪০, ৩২৩, ৩৮৫, ৫০৬ ধারার অভিযোগ এনে গত ২২ জানুয়ারি ২০১৭ ইং একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে এফ.আই.আর ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। মামলা সুত্রে জানা যায়, একটি মেয়ে নিখোজ হওয়াকে  কেন্দ্র করে নিখোজ মেয়েটির পরিবার সাভার মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করে। নিখোজ মেয়েটির শ্রী অভিজিৎ রায়ের মালিকানাধীন স্বরবর্ণ মাল্টিমিডিয়ায় যাতায়াত থাকায় মেয়েটির পরিবার স্বরবর্ণ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার শ্রী আভিজিৎ রায়কে সন্দেহের চোখে দেখলে সাভার প্রেসকাবের সাধারন সম্পাদক ও ৭১ টেলিভিশনের সাভার প্রতিনিধি মিঠুন সরকার শ্রী অভিজিৎ রায়কে তার ওয়াপদা রোডের দেশবাংলা ইন্সটিটিউট অব জার্নালিজম এর কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে নিখোজ মেয়েটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞসাবাদের এক পর্যায়ে মিঠুন সরকার তার টেবিলের নিচে থাকা বাশের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে এলোপাথারী শ্রী অভিজিৎ রায় অজয়কে মারধর করে এবং ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। এমনকি চাঁদা না দিলে সাভারে ব্যবসা পরিচালনা করতে দেওয়া হবেনা বলেও হুমকি প্রদান করে সাংবাদিক মিঠুন সরকার। পরবর্তীতে শ্রী অভিজিৎ রায়ের পরিবার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী অভিজিৎ রায়ের সাথে কথা বললে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “গনমাধ্যম রাষ্ট্রের চতূর্থ স্তম্ভ আর সাংবাদিক জাতির বিবেক। যেখানে খোদ পুলিশ বিধানের কোথাও কোন ব্যাক্তিকে নির্যাতনের নিয়ম নেই, সেখানে একজন সাংবাদিক কোন ক্ষমতাবলে একজন সাধারন মানুষকে নিজ কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন ও চাঁদা দাবী করে তা আমার বোধগম্য নয়। এটি গনমাধ্যমের জন্য কলঙ্কজনক, আমি তার বিচার চাই”। অন্যদিকে অভিযোগ পাওয়া গেছে মিঠুন সরকার তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের খবর পেয়ে পরদিনই ৪ জনকে আসামী করে আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করে। এমনকি মিঠুন সরকারের দায়েরকৃত মামলায় কবির হোসেন, পিতা-অজ্ঞাত পরিচয়ে এক ব্যাক্তিকে আসামী করা হয় এবং পুলিশ বিভাগের সুনাম ক্ষুন্ন করতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে উল্লেখিত কবির হোসেনকে সাভার মডের থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ কবির হোসেন পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকাসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করা হয়। যা গনমাধ্যমের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক। এছাড়া ইতিপূর্বেও সাজেদা আক্তার মুক্তা নামের এক নারী সাংবাদিক মিঠুন সরকার কর্তৃক নির্যাতনের শ্বিকার হয়েছেন। একজন সাংবাদিক কতৃক এ ধরনের ঘটনা কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়। এ জাতীয় ঘটনা গোটা সাংবাদিক সমাজ ও গনমাধ্যমকে কলঙ্কিত করছে। সাধারন মানুষ গনমাধ্যমের উপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলছে। সাংবাদিক সন্ত্রাস নয়, গোটা জাতির কল্যানার্থে কলমের সাহায্যে সত্যের পথে লড়াই করা বিবেকের নাম সাংবাদিক।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

16 − two =