আদালতের নির্দেশ অমান্য করায় সাভার মডেল থানার ওসি এসএম কামরুজ্জামানকে স্বশরিরে আদালতে হাজির হয়ে কারন দর্শানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সাভার প্রেসক্লাবের দপ্তর ও প্রচার স¤পাদক এবং দৈনিক ফুলকির স্টাফ রিপোর্টার মোঃ ইমদাদুল হক শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতের ঘটনা এবং ল্যাপটপ মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগে উপজেলা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আদালতে গত ৬ ডিসেম্বর একটি পিটিশন মামলা দায়ের করে। বিজ্ঞ আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে সাভার মডেল থানার ওসিকে অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে নথিভুক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। কিন্তু সাভার মডেল থানার ওসি দীর্ঘদিন পার হলেও আদালতের নির্দেশে মামলাটি নথিভুক্ত করেননি। সাংবাদিক ইমদাদুল হক জানান, আমার আইনজীবী মামলা নথিভুক্ত না করার বিষয়টি আদালতের নজরে আনলে চীফ জুডিশিয়াল আমলী আদালতের বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সাভার মডেল থানার ওসিকে মামলাটি নথিভুক্ত করে রবিবার স্বশরীরে আদালতে হাজির হয়ে বিলম্বের কারণ দর্শনোর নির্দেশ দিয়েছেন। জানা যায়, গত ১৭ সেপ্টেম্বর পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সাংবাদিক ইমদাদুল হক সাভার সেটেলমেন্ট অফিসে গেলে সেটেলমেন্ট অফিসে কর্মরত অফিসার মোঃ আমির হোসেন, আবু তৈয়ব মজুমদার ও এটিএম জাহাঙ্গীর আলমসহ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের হাতে মারধরের শিকার হন। এঘটনায় ওই সময় হামলাকারীরা সাংবাদিকের কাছে থাকা মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে কর্মকর্তারা সাংবাদিক ইমদাদুল হকের কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর রেখে দেন। এ ঘটনায় ঐদিনই সাংবাদিক ইমদাদুল হক সাভার মডেল থানায় অভিযোগ দেন। কিন্তু থানা মামলাটি নেই-নিচ্ছি করে ইমদাদুল হককে ঘুরাতে থাকে। পরে গত ৬ ডিসেম্বর আদালতের স্মরণাপন্ন হয়ে সেটেলমেন্ট অফিসের ৩ কর্মকর্তাসহ অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে আসামী করে একটি পিটিশন (সিআর মামলা নং- ৩৮৮ (ক) /২০১৬ইং) দায়ের করেন। এসময় অতিরিক্ত চীফ জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত সাভার মডেল থানার ওসিকে মামলাটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে আদালতে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও ওসি মামলাটি এজাহার হিসেবে গণ্য না করায় ঢাকা জজ কোর্টের এ্যাডভোকেট মোঃ আনিচুর রহমান বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল আমলী আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের বরাবর মামলা এফআইআর হিসেবে গণ্য করার জন্য সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়ার প্রসঙ্গে আবেদন করেন। বিজ্ঞ আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে সাভার মডেল থানা ওসিকে পয়েলা জানুয়ারী রবিবারের মধ্যে মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে মামলার কপিসহ স্বশরিরে আদালতে হাজির হয়ে কেন মামলা গ্রহণ করতে দেরি হলো তার কারণ জানতে চেয়ে বিচারক কারণ দর্শানোর নির্দেশ জারি করেন।