নোমান মাহমুদ ঃ সাভারের বনগাঁও ইউনিয়নের তুচ্ছ একটি মারামারীর ঘটনা অনুসন্ধান করতে গিয়ে বেড়িয়ে এলো গৃহবধু গনধর্ষণের মত লোমহর্ষক একটি ঘটনা। গত ১৫ই ফেব্রুয়ারি সাভারের বনগাঁও ইউনিয়নের জনৈক হবি মিয়ার ছেলে মোঃ লিটন মিয়াকে মারধর ও কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় সাভার মডেল থানায় দায়েরকৃত একটি অভিযোগের সুত্র ধরে অনুসন্ধান করতে গেলে ঘটনার অন্তরালে লুকিয়ে থাকা গনধর্ষণের ঘটনাটি অপরাধ বিচিত্রার কাছে ধরা পড়ে। অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ১৩ই ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে নিজ গৃহে রহস্যজনকভাবে ঐ গৃহবধুর স্বামীর অনুপস্থিতিতে ঐ গৃহবধুর মামা-শশুর আলম (৩২) ও খায়রুল (৩৫) ঐ গৃহবধুর ঘরে প্রবেশ করে পালাক্রমে জোরপূর্বক ঐ গৃহবধুকে ধর্ষণ করে। ধর্ষনের পর ধর্ষকরা মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ঐ গৃহবধুকে ভোর হওয়ার পুর্বেই কাউকে কিছু না বলে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বললে, ১৭ বছর বয়সের ঐ অসহায় গৃহবধু সুযোগ বুঝে প্রান বাচাতে পাশ্ববর্তী ভগ্নিপতির বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এদিকে ঐ গৃহবধু এলাকায় আত্বিয়ের বাড়িতে আছে খবর পেয়ে ধর্ষণের মত এমন লোমহর্ষক ঘটনাটি ধমাচাপা দিতে ধর্ষকরা ঐ গৃহবধুর নামে সাভার মডেল থানায় একটি মিথ্যা ডায়েরি করে এবং গৃহবধুর স্বামীসহ ধর্ষকরা ঐ গৃহবধুকে আশ্রয় দেওয়া ভগ্নিপতির বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীদের চাপাতির আঘাতে গৃহবধুর ভগ্নিপতি মারাত্বক আহত হয়। অন্যদিকে আহত লিটন মিয়া তার উপর হামলার ঘটনায় সাভার মডেল থানায় অভিযোগ করে এবং অভিযোগের লিখিত কাগজটিতে ঐ গৃহবধুকে কেন্দ্র করে ঘটনার সুত্রপাত বলে উল্লেখ করা হলেও মামা-শশুর কর্তৃক ঐ গৃহবধুকে পালাক্রমে ধর্ষণের বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয়। অনুসন্ধানের এক পর্যায়ে ধর্ষণের বিষয়টি উঠে এলে ধর্ষিতা ঐ গৃহবধু ঘটনার সত্যতা শিকার করে অপরাধ বিচিত্রার কাছে তার সাথে ঘটে যাওয়া এই লোমহর্ষক ঘটনাটির বর্ননা দেয়। এ সময় গহৃবধু অভিযোগ করে ধর্ষণের সাথে তার স্বামী-শাশুড়ীসহ শশুরবাড়ির লোকজন ওতঃপ্রোত ভাবে জড়িত। তিনি অভিযোগ করেন ঘটনার সময় ঐ রাতে তার স্বামী রহস্যজনক ভাবে ঘরে অনুপস্থিত ছিলো, তাছাড়া ঘটনার ২/৩ দিন পুর্বেও গৃহবধুর মামা-শশুর আলম তাকে ঘরে একলা পেয়ে জোরপুর্বক ধর্ষনের চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়। ঐ ঘটনায় গৃহবধু তার শাশুড়িকে ঘটনাটি জানালে শাশুড়ি তাকে বিচার করবে বলে আস্বস্ত্য করে এবং ঘটনাটি কারও কাছে বলতে নিষেধ করেন। গৃহবধুর অভিযোগ স্বামী ও শাশুড়ির নির্দেশেই তাকে ঐ বাড়ি থেকে বিতাড়িত করতে তার মামা-শশুড়রা ঘটনাটি ঘটিয়েছে। তবে ধর্ষণের ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সাভার মডেল থানায় কোন মামলা দায়ের করা হয়নি। বিশ্বস্ত সুত্রে জানা যায়, বনগাঁও ইউনিয়নের একজন মেম্বার সহ একটি প্রভাবশালী মহল ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ঘটনার পর ঐ গৃহবধুকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রেরন করে।
