এস. ডি বাবুঃ বাকেরগঞ্জ থানার জন নিরাপত্তা আইনের সেশন ৫২৭/২০১৬ মামলার বাদীকে আবারো স্থানীয় নাম সর্বস্বহীন পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে চাঁদাবাজি মামলা খেকে রেহাই পেতে বাদীকে বিব্রত করিতেছে স্থানীয় পত্রিকার দালাল বাদল সাংঘাতিক। উক্ত বাদী এই মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং স্বরাষ্ট মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন মাওলানা মোঃ হেলালুজ্জামান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জঙ্গীবাদ ও মাদকের
ভয়াবহতা সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে গুরুত্ব দিয়ে প্রচার সহ বাংলাদেশের প্রতিটি মসজিদের ইমামের কাছে জোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই আহবানে সাড়া দিতে গিয়ে পদক প্রাপ্ত ইমাম ও তাঁর পরিবার চরম আতংকে আতঙ্কিত। মসজিদের একজন ইমাম প্রতি ওয়াক্ত নামাজ পড়ার শেষে মোনাজাত ধরে দেশ ও জাতি সহ সারাবিশ্বের মুসলমানদের জন্য শুভ কামনা ও শান্তি বজায় রাখার জন্য দোয়া করেন। মাওলানা মোঃ হেলালুজ্জামান এলাকার অপরাধীদের অশুভ শক্তির হাত থেকে বাঁচার জন্য সারা বাংলাদেশের প্রতিটি মুসল্লিদের নিকট এখন নিজেই দোয়া কামনা করেছেন। মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার কন্ঠে প্রতিবাদ করাই ছিল উক্ত ইমামের অপরাধ। তিনি স্থানীয় ছাত্র-জনতাদের সাথে নিয়ে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে। আন্দোলনের মুখে কিছু মাদক ব্যবসায়ী এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়। অনেক মাদক সেবীরা মাদক ছেড়ে মসজিদে নিয়মিত নামাজ পড়া শুরু করে। মাদকে উল্লেখযোগ্য আখড়াগুলো বন্ধ করে সেখানে নিয়মিত মিলাদ-মাহফিল ও ওয়াজ-নসিহত শুরু করেন মাওলানা মোঃ হেলালুজ্জামান। তার এই প্রশংসিত সামাজিক কর্মকান্ডে ক্ষিপ্ত হয়ে একশ্রেণীর মুখোশধারী মাদক ব্যবসায়ী ও সেবীরা তাকে হেনস্থা করার জন্য বাকেরগঞ্জের
দীর্ঘদিনের দুধর্ষ সন্ত্রাসী বয়োবৃদ্ধ প্রতারক বাদল তালুকদারকে ইমামের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেয়। মাদক সেবীদের ওস্তাদ গাঁজাখোর বাদল তালুকদার ইতিপূবেও উক্ত ইমাম ও তার পরিবারকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য বরিশালের স্থানীয় কিছু পত্রিকায় মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচার করে। এই সংবাদের বিরুদ্ধে মাওলানা মোঃ হেলালুজ্জামান বাকেরগঞ্জ প্রেসক্লাবে তীব্র প্রতিবাদ জানায়। এর কিছুদিন পর উক্ত বাদল তালুকদার মাওলানা মোঃ হেলালুজ্জামানের প্রতিষ্ঠিত হালিমা খাতুন নূরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসায় এসে জোরজবস্তি পূর্বক ১ লক্ষ টাকা চাঁদাদাবী করে। মাওলানা মোঃ হেলালুজ্জামানের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসী বাদল তালুকদার পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে সন্ত্রাসী বাদল তালুকদার মোবাইল ফোনে এস.এম.এস এর মাধ্যমে উক্ত ইমামকে হত্যা সহ নানা হুমকি-ধামকি দিতে থাকে। এ ব্যাপারে মাওলানা মোঃ হেলালুজ্জামান বরিশালের পুলিশ সুপার ও বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহ অপরাধ বিচিত্রার অফিসে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ বিষয় অপরাধ বিচিত্রায় ইমামের উপর ভয়াবহ নির্যাতনের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করলে বরিশাল জেলার পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষরা নড়েচড়ে বসে। পুলিশ সুপারের তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেয়ে তাৎক্ষনিক নির্দেশে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সন্ত্রাসী বাদল তালুকদারের বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজী মামলা দায়ের করেন। বরিশারের স্থানীয় পত্রিকায় সন্ত্রাসী বাদল তালুকদারের চাঁদাবাজীর সংবাদ ফলাও করে প্রচার করে। বর্তমানে সন্ত্রাসী বাদল তালুকদারের বিরুদ্ধে বাকেরগঞ্জ থানায় হত্যা, গুম, চাঁদাবাজী, নারী ও শিশু নির্যাতন সহ ৪/৫টি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এই সব মামলা থেকে জামিন পাওয়ার জন্য উক্ত দালাল বাদল একটি ভূয়া ভিজিটিং কার্ড বের করে। ঐ কার্ড দিয়ে জামিনে এসে সে এলাকায়ও একই কার্ড দেখিয়ে ব্যাপকভাবে চাঁদাবাজী শুরু করে। এতেও বাঁধা দেয় উক্ত মাওলানা মোঃ হেলালুজ্জামান। ৯০ দশক থেকে ২০১৬ পর্যন্ত সন্ত্রাসী বাদল তালুকদার কমপক্ষে ২০ বার জেল-হাজতে ছিল। সন্ত্রাসী বাদল তালুকদার গ্রাজুয়েট না হয়েও আদালতে টাই পড়ে আসামীর কাঠগড়ায় হাজিরা দিতে যায়। সন্ত্রাসী বাদল তালুকদারের পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা যুবলীগ নেতা রুবেল তালুকদারের দৃঢ়কন্ঠে এই প্রতিবেদককে বলেন যে বাদল তার আপন বোনের মেয়েকে ধর্ষণ করেছে, পরবর্তীতে ঐ মেয়েটি লজ্জায় ও ঘৃণায় আত্মহত্যা করে। এছাড়া বার আউলিয়া দরবারে মহিলা দর্শনার্থীদের জোরপূর্বক নদীর পাড়ে নিয়ে তাদের ইজ্জতহানী করে এই নারীলোভী নরপশু। তার এই সকল অপকর্মকে ধামাচাপা দেয় তার বড় ভাই পুলিশ কনস্টবেল আঃ সাত্তার। এই সাত্তারের কারণে তার ছোট ভাই সন্ত্রাসী বাদল তালুকদার বার বার জেল থেকে ছাড়া পেয়ে দুধর্ষ সন্ত্রাসী হয়ে উঠে। আওয়ামীলীগের এক প্রবীণ নেতা এবং বিএনপি’র এক বয়োজৈষ্ঠ্য নেতা সহ আউলিয়াপুরের অসংখ্য বৃদ্ধ ও নারীদের লাঞ্ছিত করেছে এই দুধর্ষ সন্ত্রাসী দালাল বাদল সাংঘাতিক। (চলবে)