ষ্টাফ রিপোর্টার ঃ সাভারের পৌর এলাকায় অপরাধ বিচিত্রা’র সাংবাদিক নোমান মাহমুদের বাসায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত ০৩ মার্চ রাত ১০.০০ টা নাগাদ সাংবাদিক নোমান মাহমুদের বাসায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ১০ জনকে আসামী করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, গত কিছুদিন যাবত বিভিন্ন মোবাইল নাম্বার থেকে বিভিন্ন ব্যাক্তি কোন প্রকার সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য সাংবাদিক নোমান মাহমুদকে হুমকি প্রদান করে আসছিলো। সর্বশেষ গত ২৮শে ফেব্রুয়ারী সন্ধায় এক ব্যাক্তি নিজেকে আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের সভাপতি পরিচয়ে মোবাইল ফোনে নোমান মাহমুদকে স্ব-পরিবারে হত্যার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় ঐ দিন রাতেই সাভার মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করা হয়। পরদিন সকালে একই পরিচয়ে ভীন্ন নাম্বার থেকে আবারও হুমকি প্রদান করা হলে বিষয়টি তাৎক্ষনিক ভাবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক জনাব এস.এম জাকির হোসাইনকে অবগত করলে তিনি খোজ-খবর নিয়ে হুমকিদাতা আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নয় বলে নিশ্চিত করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ০৩ মার্চ রাতে নোমান মাহমুদকে স্ব-পরিবারে হত্যার উদ্দেশ্যে ১০/১২ জনের সস্বস্ত্র সন্ত্রাসীদল তার পৌর এলাকার বাসায় হামলা চালায়। সে-সময় বাড়ির প্রধান ফটক বন্ধ থাকায় সন্ত্রাসীরা কৌশলে বাড়ির ছাদ বেয়ে ভিতরে প্রবেশ করার চেষ্টাকালে পুলিশ চলে এলে সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর সাভার মডেল থানা পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ নিয়ে সাংবাদিক নোমান মাহমুদের উপর ৪ দফায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটলো। এর আগে ২০১২ সালে নোমান মাহমুদের বাসার দড়জা-জানালা লক্ষ করে ৭ রাউন্ড গুলি ছোড়ে সন্ত্রাসীরা। তবে এসকল ঘটনায় সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের এখন পর্যন্ত শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে পুলিশের একটি সুত্র জানায়, গত ০৩ মার্চ এর হামলার ঘটনায় বেশ কিছু তথ্য পুলিশের হাতে এসেছে, এমনকি গত ২৮ শে ফেব্রুয়ারীর হুমকিদাতার পরিচয়ও শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। খুব শিঘ্রই মূল অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলেও সুত্রটি আশাবাদ ব্যাক্ত করে।
হোম অন্যান্য পাঁচমিশালি সাভারে সাংবাদিক নোমান মাহমুদের বাসায় সন্ত্রাসী হামলা স্ব-পরিবারে হত্যার হুমকি !