উজিরপুর প্রতিনিধি ঃ বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার ওটরা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আলী আজগর হাওলাদারের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত খাদ্য বান্ধব কর্মসূচী ১০টাকা কেজি চাল বিতরণে তালিকা প্রনয়নে অনিয়ম, দূর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, ইউপি সদস্য হত দরিদ্র মানুষে ভাগ্যের পরিবর্তন না করে তার আত্মীয় স্বজন ও সমাজের ধনী ব্যক্তিদের ভাগ্যের পরিবর্তন করার চেষ্টা করেন। ঈদের জি.আর এর ১০টাকা কেজি চাল, ভিজিডি বিতরণে হতদরিদ্রদের নাম না দিয়ে স্বচ্ছল নিজস্ব লোক ও আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে বন্টন করেন। সরকার প্রথম ধাপে ৩মাস চাল দেয়ার পর গত ১৩ মার্চ ২০১৭ তালিকা ভুলত্র“টির সংশোধনের সুযোগ দিলেও তিনি এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় বহু আলোচনা সমালোচনা সত্ত্বেও সংশোধন না করে পূর্বের তালিকাই বহাল রেখেছেন। এলাকার হতদরিদ্র রিপন হাওলাদার, আলী আকবর খান, সাইদুল ফরাজী, মোঃ কালু হাওলাদার, আলাউদ্দিন হাওলাদার, দেলোয়ার হাওলাদার জানান, ১০টাকা কেজি চালের তালিকায় তার চার পুত্রবধু যথাক্রমে লাভলী বেগম, কার্ড নং-১০৭৪, স্বামী মিজানুর রহমান প্রবাসী ছিলেন, বর্তমানে ঢাকায় চাকুরীরত, আখতারুন্নেছা, কার্ড নং-১০৭৭, স্বামী-সালাম হাওলাদার-প্রবাসী, ফাতেমা মোর্শেদ, কার্ড নং-১০৭৮, স্বামী-মোঃ মোর্শেদ-বিদেশে ছিলেন বর্তমান বাড়ি সুরম্য অট্টালিকা, লাভনী খানম, কার্ড নং-১০৯৫, স্বামী কামরুজ্জামান-প্রবাসী ছিলেন বর্তমানে বাড়িতে এসে পাকা দালান করেছেন, বিবাহিত মেয়ে খাদিজা বেগম, কার্ড নং-১০৭৫, স্বামী ঢাকায় চাকুরীরত, শালক মোঃ আবুল কালাম প্রাক্তন ইউপি সদস্য, কার্ড নং-১০১৯। ভাইয়ের ছেলে, কার্ড নং-৯৯৭, ভাগ্নে সুজন হাওলাদার, কার্ড নং-৯৮৬ বাড়ি বড়াকোঠা, শ্যালকসহ ১০টি কার্ডের চাল নিজেই উত্তোলন করেন। এছাড়া পারভীন, কার্ড নং-১০৩৬, স্বামী তোতা মিয়া, দ্বিতল কোটি টাকার ভবন এবং ২০ একর জমির মৎস্যঘেরের মালিকসহ প্রবাসী। মেম্বরের প্রধান ক্যাডার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের স্ত্রীর নামে ২টি কার্ড শাহিদা নাসরীন, কার্ড নং-১০৪৬, স্বামী-জাহাঙ্গীর হোসেন, শাহিদা নাছরিন, কার্ড নং-১০৮৪, কিন্তু ভোটার আইডি কার্ড দুই জনের একই ০৬১৯৪৬৩১৯৯২৬৪, এলাকার লোক জানায় একজনের নামে দুটি কার্ড ইস্যু করে ইউপি সদস্য মাল তোলেন। ভূমিহীন হতদরিদ্রদের কার্ড না দিয়ে সরকারি চাকুরীজীবি এবং তার বাড়ির প্রত্যেক ব্যক্তি ও আত্মীয় স্বজনদের প্রত্যেক ঘরে ৩/৪টি করে কার্ড প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া এলাকার অনেকের কাছ থেকে ভিজিডি কার্ডের বিনিময়ে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ইউপি সদস্য। এলাকাবাসী জুডিশিয়াল তদন্তের মাধ্যমে ইউপি সদস্যের বিচার ও হতদরিদ্র মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানায়। এলাকার সাধারণ মানুষ খাদ্য মন্ত্রণালয়, বরিশাল জেলা প্রশাসক, জেলা ও উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করে। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আলী আজগর জানান, আমি ১৫০টির মত কার্ড পেয়েছি এবং নিয়ম অনুযায়ী বন্টন করেছি, আমার প্রতিপক্ষরা এ সব ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিধান চন্দ্র মজুমদার জানান, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।