নদী ভাঙ্গন রোধ কর রৌমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গন রোধে বাঁশের বান্ডাল নির্মান কাজ শুভ উদ্ধোধন

0
939

মাজারুল ইসলাম  রৌমারী (কুড়িগ্রাম)
রৌমারীর বাসীর নিজস্ব অর্থায়নে নদী ভাঙ্গন কবলীত রোধ কল্পে প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রস্তাব পাঠানোর জন্য এলাকা পরিদর্শন ও রক্ষার্থে ব্রম্মপুত্র নদ থেকে বেরিয়ে নদের শাখা মুখে ঘুঘুমারী নৌকা ঘাটে এলাকাবাসীর বাস উঠিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে বাঁশের বান্ডাল নির্মান কাজ শুভ উদ্ধোধন ও আলোচনা সভায় গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় ৩ নং বন্দবেড় ইউনিয়নের বলদমারা নদের উপরে নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ ও আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটি মুক্তিযোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে উপস্থিত মোঃ আব্দুল মান্নান খাঁন প্রধান প্রকৌশল পানি উন্নয়ন বোড রংপুর, মোঃ হারুন অর রশিদ তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পানি উন্নয়ন বোড রংপুর, মোঃ মোখলেছুর রহমান উপবিভাগীয় প্রকৌশলী পানি উন্নয়ন বোড রংপুর, মোঃ শফিকুল ইসলাম নির্বাহী প্রকৌশলী কুড়িগ্রাম,
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, বর্তমান জাতীয় সংসদ সদস্য রুহুল আমিন, সাবেক সংসদ সদ্যস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জাকির হোসেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান, বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন, চরশৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম ফজলুল হক মন্ডল, মৌলভী সামছুল হক চেয়ারম্যান দাতভাঙ্গা ইউপিসহ আরো স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

Rowmari picture 29.03.2017
এতে বক্তব্যে বক্তাগন বলেন, ব্রহ্মপুত্রের ভাঁঙ্গনে রৌমারীর মানচিত্র নদ-নদীতে বিলিন হতে চলছে। আজ থেকে  ২যুগ পূর্বে রৌমারী উপজেলা হতে  ব্রহ্মপুত্র পারের দূরত্ব ছিল প্রায় ৩০ কিলোমিটার। কালের আবর্তে অব্যাহত ভাঙ্গনের ফলে রৌমারী উপজেলা হতে ব্রহ্মপুত্র পারের দূরত্ব দাড়িয়েছে ২ কিলোমিটার। ভাঙ্গন রোধে সরকারের কোন শক্তিশালী বাঁধ নির্মাণ পরিকল্পনা না থাকায় প্রতি বছরই ব্রহ্মপুত্রের ভাঁঙ্গনে বিলীন হয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের কড়াল গ্রাসে রৌমারী হাজার হাজার একর ফসলী জমি, সাত পুরুষের ভিটে মাটি, স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ বিলীন হয়েছে অসংখ্য স্থাপনা। । এমন ভাঁঙ্গনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকায় ক্রমান্বয়ে আবাস ভ’মি,মানচিত্র থেকে কমে নদ-নদীতে পরিনত হচ্ছে। রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলা ২টি কুড়িগ্রাম জেলা থেকে ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বাড়া যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। উপজেলা ২টি ব্রহ্মপুত্রের পূর্ব পারে ভারতীয় আসাম সীমান্ত লাগোয়া। কিন্ত ভারতের আসাম থেকে বয়ে আসা ব্রহ্মপুত্রের একটি শাখা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা কুড়িগ্রামের উলিপুরের ১০৪৭ ও রৌমারীর ১০৫২ আর্ন্তজার্তিক সীমানা পিলার ভেদ করে ব্রহ্মপুত্রে প্রবেশ করেছে। যার পরিনতি ভয়াবহ রুপ নিয়েছে। উত্তরে দাঁতভাঙ্গার সাহেবের আলগা হতে দক্ষিনে রাজিবপুর উপজেলার মহনগঞ্জ পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্রের পুর্ব তীর প্রায় ৫০কিলোমিটার। এ দুটি উপজেলার হাজার হাজার পরিবার ২যুগে নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে ৩০কিলোমিটার জুড়ে ফসলী জমি বাপ,দাদা, সাত পুরুষের ভিটেমাটি হারিয়ে অন্যের ভিটায়,বাঁধের ধারে কেহ এলাকা ছেড়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে বাঁচার তাগিদে বস্তির ঝুপরিতে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। যেভাবে নদী ভাঁঙ্গছে এতে আশংকা করা হচ্ছে আগামী ১দশকের মধ্যে রৌমারী ও রাজিবপুর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে আবাস ভুমি।
এই চরাঞ্চলের ঘনবসতি পুর্ণ কিছু পরিবার ব্রহ্মপুত্রের সাথে যুদ্ধ করে আকড়ে ধরে আছেন ওই চরের বালু মাটি। যেখানে ফলে শুধু কাউন, চিনা, তিল, তিশি, বাদাম। এদের নেই সুপেয় পানির ব্যাবস্থা, স্যানিটেশন, শিক্ষা ও যোগাযোগ সড়কের। কে শুনবে রাজিবপুর, রৌমারীর প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষের আঁকুতি।
প্রধান প্রকৌশলী বলেন, সাহেবের আলগা থেকে রাজিবপুর মহনগঞ্জ পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার ড্রেজার ও ঘুঘুমারী, ফলুয়ারচর পর্যন্ত ও রাজিবপুর সদর থেকে মহনগঞ্জ পর্যন্ত তীর সংরক্ষনের জন্য ৫শত ৫২ কোটি টাকার প্রকল্প করে বাস্তবায়নে প্রস্তাব পাঠানোর জন্য পরিদর্শনে আমরা আজ রংপুর পানি উন্নয়ন বোড থেকে রৌমারী এসেছি, আমরা রংপুর গিয়ে বাস্তবায়ন শীট তৈরী করে পাঠাবো। আমি বলে গেলাম এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন হবেই ইনশাআল্লাহ। তীর সংরক্ষণ ও বেরী বাঁধের কাজ শেষ হলে বন্যায় প্লাবিত মানুষদের জন্য এখানে কয়েকটি আশ্রয়ন কেন্দ্র নির্মান করা হবে। আলোচনা শেষে ব্রম্মপুত্র নদে একটি বাঁশের বান্ডাল উদ্ধোধন করেন। #

মাজারুল ইসলাম

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

2 + ten =