খিলগাঁও ও সবুজবাগ এলাকাজুড়ে মাদকের হাট ওসিদের শেল্টারেই মাফিয়ারা সক্রিয়

0
1064

খিলগাঁও ও সবুজবাগ থানাধীন নবীনবাগ, ছাহেরুনবাগ, ৪তলা গলি, ভুইক্রাপাড়া নুরানী মসজিদ গলি, মেরাদিয়া পোড়াবাড়ির শেষ মাথা, আদর্শ বাগ, আইসক্রীম ফেক্টরীর গলি, মেরাদিয়া বালুর মাঠ, নবাবী মোড়, নুরবাগ ও তার শেষ মাথার মাদানী ঝিলপাড়, গোড়ান ৭,৮,৯,ও ১০ নং গলি, ভুইয়ার ঝিলপাড়, মা হালিমা ট্রাস্ট গলি, সিপাহীবাগ কবরস্থান রোড, গোড়ান আদর্শ পাড়া, ছাপড়া মসজিদ গলির পেছনের অংশ, সিপাহীবাগ, টেম্পু ষ্ট্যন্ড সংলগ্ন ২ রিকশার গ্যারেজ গুলোতে চলছে নিয়মিত মাদক বাণিজ্য। ফলে খিলগাঁও এলাকার নামা এলাকা নামে খ্যাত নদীপাড়া, ত্রিমোহনী, বড় ও ছোট বটগাছ তলা এবং তার আশে পাশে বড় ছোট গলিতে চলছে সন্ধ্যার পর হতে মাঝ রাত্র পর্যন্ত ফেন্সী, গাঁজা,ইয়াবা ও এম্পল ব্যবসা এবং উক্ত ব্যবসায়ীদের পৃষ্ঠপোষক খিলগাঁও থানার ওসি কাজী মইনুল সহ তারই কনিষ্ট ভাজন ৪ জন সদ্য নতুন এস,আই মোঃ কাদের, মোঃ আনিস, মোঃ মিজানুর, মোঃ রফিক মাদক ব্যবসায়ী ও খুনী মিঠুর ছোট ভাই হিসেবে পরিচিত ফারুক, রাসেল, সাগর, পলাশ, সালাম, তানিয়া, পারভিন সহ শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীরা বলেন-থানার ওসি বড় বড় কথা বলে যায় আমাদের কাছে, তিনি শেখ সেলিমের খুবই আপন ছোট ভাই, তার অনেক ক্ষমতা, এলাকার মাদক ব্যবসা চালাতে হলে তাকে টেক্স দিতে হবে। যদি তা না কেউ দেয় মিথ্যা হয়রানি মামলায় পড়তে হবে। সাগর জানায় নবীনবাগে বেশিরভাগ মাদক আনা ও বিক্রির দ্বায়-দায়িত্ব মহিলাদের। ফলে প্রশাসনের একাধিক সোর্সরাই আমাদের সাথে জড়িত। তাছাড়া ৪ জন ওসির খুব কাছের দারোগা দিয়ে আমাদের নিকট হতে টাকা নিয়ে যায়, কাজী মাইনুল ওসির চেয়ে ওসি সিরাজ অনেক ভালো, এসি নাদিরা মহিলা। তাই তিনি কিছুই জানে না কিন্তু নুরে আলম মিল্টন এসি স্যার ভাল ছিলেন, তার চরিত্র এই বর্তমান পুলিশদের মত না। এলাকায় মাদক ব্যবসা কাজ করতে হলে দ্রুত এইসব দুর্নীতিবাজ ওসি ও দারোগাদের বদলীয়ে নতুন কাউকে আনা উচিত বলে মনে করেন খিলগাঁও বাসী। অপরদিকে সবুজবাগ এলাকায় দক্ষিনগাঁও ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ড হতে ১০নং ওয়ার্ড পর্যন্ত মাদক সম্রাট মনির ও তারই সোর্স নুর হোসেন, মোশারফ মেম্বার, সাবেক বিএনপি মেম্বার, শীর্ষ জঙ্গি ও জামাতের মাফিয়া গডফাদার হিসেবে পরিচিত মোঃ নজরুল, কাইলা মনির, বাবু, দীপু বাসাবো টেম্পু ষ্ট্যান্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম ওরফে ভূমিদস্যু শামীম, পশ্চিম মাদারটেকের আপেল ও পেল, নন্দীপাড়া ১নং ওয়ার্ডের বাঘা ও আজিজ, ৩নং ওয়ার্ডে মোঃ হাবিবুর রহমান সোহাগ মেম্বার, ৭নং ওয়র্ডের জুলহাস উদ্দিন মেম্বার, ৮নং ওয়ার্ডের মোশারফ হোসেন মেম্বার, ৯নং ওয়ার্ডের জসিম উদ্দিন মেম্বার ওরফে মেয়ের দালাল জসিম হিসেবে খ্যাত। ৭,৮,৯নং ওয়ার্ডের সবচেয়ে ক্ষমতাবান পরিচয় প্রদানকারী, মাফিয়া নেত্রী হিসেবে সমধিক পরিচিত লাভে যিনি খ্যাত মিসেস আসমা বেগম এর শেল্টারে চলছে প্রায় শতাধিক মাদক ডিলার, ক্যাডার অস্ত্র ব্যবসায়ী, খুনী ও মেয়ে ব্যবসায়ীদের বিরাট সিন্ডিকেট একটি বিশ্বস্ত মহল প্রতিনিধিকে জানায়, উক্ত ব্যবসায়ীদের নামে ও মদদ দাতাদের বিরুদ্ধে থানার সকল অফিসারগণই অবগত আছেন, রাত্রের আধারে এবং সন্ধ্যার পরে টহলের নামে আড্ডা চলে প্রশাসনের। উক্ত দক্ষিনগাঁও হতে শেখের জায়গার ব্রীজ পর্যন্ত যতগুলো গ্যারেজ আছে, পাশাপাশি চায়ের দোকান গুলোতে, এমন কি ক্যারাম বোর্ড খেলার জুয়ার আড্ডা চলছে মাদক ও অবৈধ অস্ত্র কেনাবেচা, বাসাবো ওহাব কলোনী, ছায়াবিথী, কালভার্ট, থানার সামনের মাঠ, মায়া কানন, পথ-কানন, বৌদ্ধমন্দির সংলগ্ন পাশাপাশি হাটগুলোতে কালিবাড়ি চিতাখোলার ভেতরে ও বাহিরে, কালিবাড়ি পানির পাম্পসহ জলাশয়ের আশেপাশে, কুসুমবাগ এলাকার শেষ মাথায় বাসাবো বালুর মাঠসহ তার আশেপাশের সকল গ্যারেজ গুলোতে চলছে মাদকের রমরমা সহ বিশাল অস্ত্রের ব্যবসা। সালাম ডেইরী ফার্মের বর্তমান মালিক আজাদ এই প্রতিনিধিকে জানায় কমিশনার ফরিদ ও মৃত মঞ্জু কমিশনারের কন্যা লন্ডন প্রবাসী তানিয়ার শেল্টারে চলছে বিশাল চাঁদাবাজি ও অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনীর ১টি অংশ যা সবুজবাগ থানার ওসি অবগত। তবুও কেন যে ওসি তাদের বিরানীর দাওয়াত খান তা জানা নেই, সবুজবাগ এলাকাবাসী বলেন, যায় দিন ভালো, আসে দিন মন্দ। আগের সং অফিসারগণ এখন নেই, ফলে থানার ওসি  ও তদন্ত অফিসার সবুজবাগের সস্ত্রাসীদের দাওয়াত খেয়ে তাদের কর্তব্য ভুলেই গেছে। তাই আর সুন্দর সমাজ গড়া তাদেরকে দিয়ে আর সম্ভব নয়।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

seventeen − seventeen =