কোমড়ে আগ্নেয়াস্ত্র,কখনো সাংবাদিক, কখনোবা তথ্যমন্ত্রীর পি.এস গাজিপুরের কালিয়াকৈর থানাধীন মৌচাক এলাকার কে এই তিতুমীর ?

0
737

কালিয়াকৈর সংবাদদাতা ঃ
শেখ তিতুমীর, কখনোবা টিটু। সমাজে পরিচিত সাংবাদিক পরিচয়ে, আবার কখনোও বা নিজেকে জাহির করেন গোয়েন্দা বিভাগের সদস্য বলে। কিন্তু কি এই তিতুমীরের আসল পরিচয় এখনো অজানা। গতকাল গাজিপুরের কালিয়াকৈর থানাধীন মৌচাক এলাকায় একটি অপহরন চক্রের বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে সামনে উঠে আসে এই তিতুমীরের নাম। প্রথমত সাংবাদিক, তারপর সম্পাদক, অতঃপর মাননীয় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর ব্যাক্তিগত সচিব বলে নিজেকে পরিচয় দেন। অতঃপর চলে তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান। পাওয়া যায় তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একাউন্টের সন্ধান। সেখানে দেখা যায়, গত ২৫ শে জানুয়ারি নিজের কোমড়ে আর্মস্ বেল্টের সাথে একটি পিস্তলসহ একটি ছবি তিনি আপলোড করেন যেখানে তিনি নিজেকে দাবী করছেন গোয়েন্দা সদস্য হিসাবে। অন্যদিকে তার ফেসবুক একাউন্টের এবাউটে লিখেছেন চেয়ারম্যান ডি.ডি.পি নিউজ। রহস্যে ঘেরা এই ব্যাক্তি সম্পর্কে অনুসন্ধান করতে গিয়ে এলাকাবাসীর কাছে পাওয়া যায় তার বিষয়ে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য। তার সম্পর্কে জানতে গিয়ে মৌচাক এলাকার কিছু বাসিন্দার সাথে কথা বলতে চাইলে দেখা যায় তিতুমীর সম্পর্কে বলতে তারা শঙ্কিত। অবশেষে অনেক অনুরোধের পর নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কথা বলতে রাজী হলে তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এলাকায় বিভিন্ন মানুষ তাকে বিভিন্ন পরিচযে চিনেন। কিন্তু কি এই তিতুমীরের আসল পরিচয় তা তাদের জানা নেই। এলাকায় নিজেকে মাঝে মাঝে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য বলে দাবী করেন। মৌচাক এলাকার সাধারন মানুষের কাছে অনেকটা অতঙ্ক এই তিতুমীর। তার এই রহস্যময় কর্মকান্ডের বিষয়ে তার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমে নিজেকে একটি পত্রিকার চেয়ারম্যান, এরপর মাননীয় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর ব্যাক্তিগত সচিব, আবার “জয় বাংলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগে”র সাধারণ সম্পাদক বলে দাবী করেন। অতঃপর তার  ফেসবুক স্ট্যাটসের ছবির সুত্র ধরে তার ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি কথা এড়িয়ে যান। লাইসেন্স বিহীন অস্ত্রের উৎস জানতে চেয়ে মোবাইল ফোনে তাকে চ্যলেঞ্জ করা হলে এক পর্যায়ে নিজেকে তিনি এই প্রতিবেদকের নিকট গোয়েন্দা সদস্য বলে দাবী করেন। অতঃপর কোন গোয়েন্দা বিভাগের সদস্য জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে উঠেন এবং তার সম্পর্কে বেশি জানার কৌতুহল ত্যাগ না করলে পরিনাম ভয়াবহ হবে বলে এই প্রতিবেদককে হুমকি প্রদান করেন। কথিত আছেইতিপূর্বে সরকারী চাকুরি দেওয়ার নামে কিছু মানুষের কাছ থেকে টাকাও হাতিয়ে নিয়েছেন। এতকিছুর পরেও রয়েছেন এই শেখ তিতুমীর ওরফে টিটু বহাল তবিয়তে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নাকের ডগায় থেকে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড সহ জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টিকারী, বঙ্গবন্ধু পরিবারের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন অপপ্রচার চালানো কে এই তিতুমীর তা জানতে অপরাধ বিচিত্রার অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে চাঞ্চল্যকর আরও সব তথ্য পেতে চোখ রাখুন অপরাধ বিচিত্রার আগামী সংখ্যায়।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

ten + 5 =