বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি চালু করেছিল। জিয়াউর রহমান ধর্ম ভিত্তিক রাজনীর সুযোগ করে না দিলে আজ দেশে জংগীবাদের উত্থান হতো না। অসাম্প্রদায়িক দেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুসলিম, হিন্দু, বুদ্ধ, খৃষ্টানসহ সকল সম্প্রদায়ের মানুষ মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন করেছিল। সকল ধর্মের মানুষ স্বাধীন ভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারবেন, এ মূল নীতিতে বাংলাদেশের পবিত্র সংবিধানে প্রণীত হয়েছিল। জিয়াউর রহমান সংবিধান পরিবর্তন করে দেশের স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিল, এমপি ও মন্ত্রী বানিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর মতো তার কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সকল ধর্মকে গুরুত্ব দিয়ে রাস্ট্র পরিচালনা করছেন। এখন সকল ধর্মের মানুষ দেশে স্বাধীন ভাবে ধর্মীয় উৎসব পালন করছে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারে বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ আয়োজিত “বুদ্ধপূর্ণিমা’র তাৎপর্য” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান আতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বুদ্ধের দর্শন শুধু বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের জন্য নয়, সমগ্র মানব জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সকলের ধর্ম সঠিক ভাবে পালন করলে গঙ্গীতৎপরতা বন্ধ হয়ে যাবে। বিএনপি সরকার জঙ্গীবাদ সৃষ্টি করেছিল, বাংলা ভাই সৃষ্টি করে মানুষকে গাছে ঝুলিয়ে হত্যা করেছিল। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দিয়ে বিদেশে চাকুরি দিয়েছিল। দেশব্যাপী বোমা হামলা চালানো হয়েছিল। বিএনপি নেত্রী তাদের উষ্কানী দিয়েছিল। বর্তমার সরকার জঙ্গী দমনে কঠোর অবস্থান গ্রহন করেছে। এখন কঠোর হস্তে দক্ষতার সাথে জঙ্গী দমন করা হচ্ছে। ১৯৭১ সালের চেতনা নিয়ে অপশক্তিকে মোকাবেলা করতে হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশে^র মধ্যে উন্নয়নের রোল মডেল। বিশ^বাসী এখন বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করছে। ২০২১ সালে ডিজিটাল মধ্যআয়ের দেশ হবে বাংলাদেশ। ২০৪১ সালে বাংরাদেশ হবে উন্নত দেশ।
বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি সংঘনায়ক শুদ্ধনান্দ মহাথের এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি সাবেক মন্ত্রী দ্বীলিপ বড়–য়া এবং ঢাকায় নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত পানপিমন সুওয়ানাপংস