চট্টগ্রাম থেকে আবুল হোসাইন চৌধুরী: চট্টগ্রাম আনসার মহানগর উত্তর জোন কমান্ডারের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী আনসার সদস্যগণ ঢাকা খিলগাঁও সদর দপ্তরে একাধিক অভিযোগ পাঠানোর পরও এখনও কোন সুরাহা হলো না। চট্টগ্রাম ডবলমুরিং থানা এলাকায় দেওয়ানহাটস্থ অবৈধ আলম ডেভেলপমেন্ট টাওয়ারে ৭জন ভূয়া আনসারসহ জোন কমান্ডার আমিন উদ্দিনকে বিবাদী করে আসাদুজ্জামান সুমন নামে এক ব্যক্তি গত ০২/০৬/২০১৭ইং ডবলমুরিং থানায় একটি অভিযোগে জানা যায় আলম টাওয়ারে ভূমিদস্যু, জাল জালিয়াতির হোতা ম্যানেজার আরিফ উদ্দিন, জোন কমান্ডার আমিন উদ্দিনকে প্রথম ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে অনুমোদন বিহীন অবৈধ আনসার নিয়োগ প্রদান করে প্রতিমাসে ভূয়া আনসারদের বেতন ভাতাদি নেওয়ার পর জোন কমান্ডার আমিন উদ্দিনকে মাসিক ১ লক্ষ টাকা দেওয়া হয় বলে সূত্রে জানা যায়। জোন কমান্ডার আমিন উদ্দিনের খুঁটির জোর কোথায়? ভুক্তভোগী আনসার কমান্ডার মুজাফ্ফর নামে আরে ব্যক্তি বাদী হয়ে মেজর জেনারেল নাজিম উদ্দিন পি.এস.সি ঢাকা ২নং মহানগর উত্তর জোনের অধিনায়ক কামরুজ্জামান ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম আদালত এড. এর মাধ্যমে একটি লিগ্যাল নোটিশ অপরাধ বিচিত্রার কার্যালয়ে পাওয়ায় উক্ত লিগ্যাল নোটিশে উল্লেখ থাকে যে, মহানগর জোন কমান্ডার এর অফিস আদেশ নং- ১৬৪ মূলে অনুযায়ী ট্রানজিট গোডাউন ক্যাম্পে যোগদান করার পর থেকে বিভিন্ন অজুহাত, ভয়ভীতি দেখিয়ে আনসার সদস্যগণ থেকে ২০ হাজার টাকা নেওয়ার পর পুনরায় ১০ হাজার করে মোট ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নেওয়া আনসার উত্তর জোন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা করিয়া আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে বলে এড. সুফিয়া সিকদার স্বাক্ষরিত লিগ্যাল নোটিশে উল্লেখ আছে। সূত্রে আরো জানা যায় আনসার মহানগর জোনের আলম টাওয়ারে কর্মরত আনসার সদস্যগণের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অভিযোগ রয়েছে কয়েকজন আনসার সদস্য নামধারী স্থানীয় এলাকায় ডাকাতি, চাঁদাবাজী ও বন্দর এলাকা চোরাই সিন্ডিকেট এবং ইপিজেড, পতেঙ্গা, ষ্টীল মিল, আগ্রাবাদস্থ গার্মেন্টকর্মী নারী কেলেঙ্কারীসহ বিভিন্ন সময়ে সাদা পোষাকধারী ভুয়া পুলিশ, র্যাব সেজে বিভিন্ন এলাকায় অপকর্ম করিয়া যাচ্ছে বলে সূত্রে জানা যায়। এ সব অপরাধী আনসার সদস্য অসাধু কিছু আনসার ভিডিপি কর্মকর্তার কারণে বাংলাদেশ আনসার একটি শৃঙ্খলা বাহিনীর সুনাম থাকায় অসাধু ঘোষ খোর, দুনীতিবাজ আনসার কর্মকর্তার কারণে বাংলাদেশ আনসার বাহিনীর সুনাম নষ্ট করিয়া যাচ্ছে বলে সাধারণ নিরীহ আনসার সদস্যগণ ও বিভিন্ন আনসার ভিডিপি কর্মকর্তাদের ভিতরে প্রশ্ন উঠেছে অন্যদিকে আনসার মহানগর উত্তর জোন এলাকায় বিভিন্ন আনসার ক্যাম্পে কর্মরত নিরীহ সদস্যরাই অপরাধ বিচিত্রাকে জানান তাদের নিয়োগ ও বদলী ক্ষেত্রে উত্তর জোন কামান্ডার দায়িত্বরত আমিন উদ্দিন, ১০ থেকে ৪০, ৫০ হাজার টাকা আনসার সদর দপ্তর খিলগাঁও ঢাকার বিভিন্ন শাখা প্রশাখায় আনসার কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে মাসিক চার থেকে ৫ লক্ষ টাকা নেওয়া হয় বলে ভুক্তভোগীরা জানান। সরেজমিনে দেখা যায় গত ৬ জুন মঙ্গলবার বিকেল ২টায় উত্তর জোন কমান্ডার আমিন উদ্দিনের অফিস রুমে এক আনসার সদস্য টাকা ভাগ বন্টন নিয়ে জোন কমান্ডার আমিন উদ্দিনকে বলেন আপনার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করতে বাধ্য থাকিব বলে জানান। কিন্তু দেখা যায় যে, উপস্থিত ক্ষেত্রে এক আনসার কর্মকর্তা ও আনসার গণসংযোগ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম দুলদুল উপস্থিতিতে আনসার মামলা করা হুমকি দেন।
এ বিষয়ে জোন কমান্ডারের কোন জবাব নেই। ভুক্তভোগী আনসার সদস্যগণরা মহানগর উত্তর জোন কমান্ডার আমিন উদ্দিনের অত্যাচার থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও মাননীয় আনসার মহা পরিচালক সাহেবের প্রতি হস্তক্ষেপ কামনা করেন সাধারণ আনসার সদস্যগণ। কে সেই আনসার কর্মকর্তা আমিন উদ্দিনের খুঁটির জোর কোথায়? (আগামী সংখ্যায় বিস্তারিত চলবে। পর্ব-১)
