রৌমারী (কুড়িগ্রাম)
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা সদরে পাট গোডাউনের খরিদকৃত জমির সীমানা নির্ধারণ করে দেয়ার পর মালিক নিজে সীমানা ভেঙ্গে দেওয়ার প্রতিবাদের জেরে রাতের অন্ধকারে অতর্কিত হামলায় আলহাজ্ব জাহিদুল ইসলাম জাহিদ নামের এক ব্যাক্তি আহত হয়েছেন। সোমবার রাত ৮ টায় যাদুরচর বাজার আওয়ামী লীগ অফিস সংলগ্ন স্থানে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত জাহিদুল ইসলাম জাহিদ রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লে´ে ভর্তি রয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় কোন আসামী গ্রেফতার করতে পারেনি।
জানা যায়, উপজেলার চাক্তাবাড়ী গ্রামের মৃত জনাব আলীর পুত্র সাধারন সম্পাদক শ্রমীক লীগ উপজেলা শাখা আলহাজ্ব মোঃ জাহিদুল ইসলাম জাহিদসহ ৪ বন্ধু মিলে যাদুরচর ইউনিয়নের গোলাবাড়ী গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের পুত্র আব্দুর রহমানের কাছ থেকে ২৫ শতক জমি ক্রয় করেন। আব্দুর রহমান নিজে জমির সীমানা ঠিক করে দিয়ে একটি দেয়াল নির্মান করেন। হঠাৎ করে গত ১২ জুন সোমবার সকাল ৯ টায় আব্দুর রহমান ৫/৬ জনের একটি মিস্ত্রির দল নিয়ে বিক্রিকৃত জমির দেয়াল ভেঙ্গে ২/৩ ফিট সরিয়ে নিয়ে দেয়াল দেয়ার প্রস্ততি নিচ্ছে। এমন সময় জমি ক্রয়কৃত মালিক প্রভাষক মোক্তার হোসেন জানতে পারলে সেখানে উপস্থিত হয়ে বলেন, আমাদের জমির সীমানা নিজে ঠিক করে দিয়ে দেয়াল নির্মান করেছেন। আবার কেনইবা আমাদেরকে না জানিয়ে মিস্ত্রী দিয়ে দেয়াল ভেঙ্গে ফেলছেন। এরই কথার উপর আব্দুর রহমান মোক্তারের উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। পরে মোক্তার হোসেন পার্টনার জাহিদুল ইসলাম জাহিদ ও শাহজাহানকে মোবাইল ফোনে ডেকে আনলে এক প্রকার রহমানের সাথে বাক বিতন্ডা হওয়ার পর পুর্বের ন্যায় দেয়াল আবার মিস্ত্রীর মাধ্যমে ঠিক করে দেয়। একই দিন যাদুরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সবুজের বাড়ীতে ইফতারীর দাওয়াত খেতে যায় জাহিদ। ইফতারী ও নামাজ শেষে বাড়ী ফেরার পথে উৎপেতে থাকা যাদুরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, ভাতিজা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান এর পুত্র মহসিন রহমান মুরাদ ও আরেক ভাতিজা আজিজুর রহমানের পুত্র নুরে আলম চলতি মটর সাইকেলের উপরে লাঠি শোটা টর্চ লাইট দিয়ে যাদুরচর আওয়ামী লীগ অফিস সংলগ্ন স্থানে রাতের অন্ধকারে অর্তকিত ভাবে এ্যালোপাতারি মারপিট করতে থাকে। অর্তকিত হামলায় স্থানীয় লোকজন চমকিয়ে গিয়ে আহত জাহিদকে উদ্ধার করে রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আহত জাহিদকে জিজ্ঞাস করলে তিনি জানান, আমার ও আমার আরো তিন বন্ধু মিলে আব্দুর রহমানের নিকট ২৫ শতক জমি ক্রয় করেছি এবং রহমান নিজে ঐ জমির সীমানা নির্ধারণ করেও দেয়াল নির্মান করেছে। হঠাৎ করে ৫/৬ জন মিস্ত্রী নিয়ে এসে দেয়াল ভেঙ্গে ২-৩ ফিট সরিয়ে নিয়ে দেয়াল নির্মান করার প্রস্তুতি নিতে আমি সংবাদ পেয়ে সেখানে যাই এবং রহমানকে বলি নিজে সীমানা নির্ধারণ করে দিয়ে আবার আমাদেরকে জিজ্ঞাসা না করে ভেঙ্গে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। এতে তর্কবির্তকের এক পর্যায়ে ঐ মিস্ত্রীর মাধ্যমে ঠিক আগের জায়গায় দেয়াল নির্মান করে মিস্ত্রী নিয়ে চলে যায়।
এমতাবস্তায় যাদুরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সবুজ আমাকে তার বাড়ীতে ইফতারীর দাওয়াত দিলে আমি সেখান থেকে ইফতারী খেয়ে নামাজ শেষে বাড়ী ফিরছিলাম। কর্ত্তিমারী বাজার আওয়ামী লীগ অফিস সংলগ্ন মটর সাইকেল যোগে এলে আমাকে উপরোক্ত তিন জন অন্ধকারে অর্তকিত ভাবে মারপিট করে। আমি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন আমাকে হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন। মারপিটের কারন আমাদের চার বন্ধুর জায়গায় সীমানা নির্ধারণের পরে বুঝিয়ে দিয়ে আবার দেয়াল ভেঙ্গে জায়গা দখল করার বাধা দেয়ায় আমার উপরে এ ভাবে একটি অর্তকির্ত সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এর পুর্নাঙ্গ আইনানুগ ব্যবস্থা করা হউক। তবে রহমানের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মামলার ওয়ারেন্ট রয়েছে। রহস্য জনক কারনে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছেনা। অপর দিকে ভাতিজা নুরে আলম মাকে পিটানো মামলাসহ আরো দশ বারোটা মামলা রয়েছে, যাহা ওয়রেন্টও রয়েছে। খুটির জোড়ে দেখার কেউ নেই।
রৌমারী ্থানা ইনচার্জ এবিএম সাজেদুল ইসলাম বলেন, অর্তকিত হামলায় আহত জাহিদের অভিযোগ পেয়েছি। আসামী গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ পাঠিয়ে ছিলাম। বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে পালিয়ে গিয়ে পার পাবে না।