মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
সীমান্তঘেষা একমাত্র প্রধান সড়কটি যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এলাকাবাসী জানায়, সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়ক জুড়ে তীব্র জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। যানবাহন উল্টে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে যায়। কাচাঁ সড়কের বড় বড় গর্তের কারণে যানবাহনতো দূরের কথা। ধীরগতিতে ছাইকেল চালিয়েও ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় লাগে ৫ কিলোমিটার কাচাঁ রাস্তা পেরিয়ে ছায়দাবাদ পাকা সড়কে পৌছতে হয়। জানা যায়, ব্যস্ততম এই খেওয়ারচর, আলগার চর, লাঠিয়ালঙ্গা, বিকরিবিল, চর লাঠিয়াল ডঙ্গাসহ সড়কটিতে যাতয়াত করে পূর্বঞ্চলের হাজার হাজার অবহেলিত এলাকার মানুষ। তা ছাড়াও বিভিন্ন জেলা শহরে থেকে শেখ হাছিনার দেয়া একটি জনসাধারনে উন্নয়নের ফল রাবারড্যাম। ঐ রাবারড্যামটি দেখার জন্য প্রতিদিন ওই কাচাঁ সড়কটিই একমাত্র যাতায়াতের ভরসা করে আসছে হাজার হাজার জনসাধারন। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করছে যাত্রী ও পণ্যবাহী হাজারো মানুষসহ পরিবহন। এছাড়া সড়কের আশেপাশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হাজারো শিক্ষার্থী যাতায়াত করার সময় প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ছায়দাবাদ পাকা সড়ক সংল্গ সড়কের প্রায় ৫ কিলোমিটার জুড়ে কাচা রাস্তা পেরিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে যেতে হয়। এছাড়া অধিকাংশ স্থানে সড়ক দেবে মাটি বের হয়ে গেছে, ফলে অল্প বৃষ্টি হলেই কাদায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে পুরো সড়ক জুড়ে। জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির কোনো সংস্কার বা কাচাঁ থেকে পাকা করার কোনো চিন্তা ভাবনা একটির উদ্ধেগ না থাকায়। বছরের পর বছর এভাবেই ৫ কিলোমিটার কেদাঁ পারিয়ে আসতে হচ্ছে সহড়ের উদ্ধেশ্যে। একটু বৃষ্টি হলেই এই সড়কটিতে হয়ে যায় দুরবস্থার সৃষ্টি হয়।
এদিকে গত দুইদিনের টানা বৃষ্টিতে সড়কটি একেবারে যান চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কাদাবেষ্টিত রাস্তায় যান
ছায়দাবাদ টু খেওয়ার চর রাবারড্যাম সড়কের বিষয় নিয়ে কথা হয় বিকরিবিল গ্রামের ৯৯ বছর বয়সের বৃদ্ধ আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন সে জানান বাবারে আমাগর আমলে কি এই রাসÍাডা পাকা দেইখা জাবার পামুনা, আবেগ নিয়ে কথা বলছেন যেমন জীবনের শুরু থেকে কাচাঁ সড়ক দিয়েই যাতয়াত করলাম এহেন তো জাবার সময় হইল পাকা সড়ক পাইলাম না। লাঠিয়াল ডাঙ্গা গ্রামের ৯৬ বছর বয়সী বুদ্ধ আঃ ছাত্তার দেওয়ানী সেও একই ভাবে দাবী সড়কটি পাকা হলে শেষ সময় এর এই দিন কয়টা পাকা সড়ক দেখে যেতে চানঁ, খেওয়ারচর গ্রামের আলহাজ্ব হাছেন আলী জানান হাজার হাজার মন ধান চাষ করে কম দামে বিত্রয় করতে হয় শুধু রাস্তাঘাট না থাকায়।
এবিষয় নিয়ে কথা হয় রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাউজুল কবীর তিনি জানান ঐ রাস্তাটি উপজেলার মধ্যে সব চাইতে একেবারেই ব্যহাল অবস্থা আমি নিজেই দেখেছি এবারের বছর তো শেষ আগমীতে রাস্তাটি সংস্কার করা হবে, রৌমারী উপজেলা প্রকৌশলী নাজমুল হোসেন জানান জলবায়ু কমিটিতে ঐ ছায়দাবাদ সড়কটির ব্যপারে আবেদন করা হয়েছে অর্থ আসলেই সংস্কার করা হবে। যাদুর চর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান সরবেশ আলী বলেন ভাই শত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি রাস্তাটি পাকা করতে পারলেই আমিও জনগনের কাছে ওয়াদা থেকে মুক্তী পাবো এমনটাই ভাবছেন চেয়ারম্যান সরবেশ আলী।
হোম বিভাগ রংপুর বিভাগ রৌমারীর ছায়দাবাদ টু সীমান্তঘেষা খেওয়ার চর রাবারড্যাম যাতয়াত কাচাঁ সড়কের পাকার...