মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
আমার‘জীবনে অনেক ভাঙ্গন দেখছি, কিন্তু এইবা ভাঙ্গন দেহি নাই। খালি দেখলাম তীব্র স্রোতের পানি একটা পাক দিল, সাথে সাথে এর পরই ডাইবা যাইবার লাগল দোকানঘরসহ ব্যাকটি । মালামাল বাইর করবারও সময় পাইলাম না। ঈদে দুইটা টাকা বেচাকেনা করব, তা আর হয়ে উঠল না। আমার শেষ সম্বল কাইড়া নিল ব্রহ্মপুত্র। ’ হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছিলেন মসলা ব্যবসায়ী শাফি উদ্দিন। ঈদের আগের দিন রবিবার সকালে নয়াচর বাজারের ভাঙনকবলিত এলাকায় গিয়ে কথা হয় ওই ক্ষুদ্র দোকানির সঙ্গে। তাঁর মতো আরো ২০ জন ব্যবসায়ীর দোকানপাট কেড়ে নেয় ব্রহ্মপুত্র নদ।
আরেক দোকানি মিজানুর রহমান বলেন, ‘হঠাৎ ব্রহ্মপুত্র ভয়ংকর বাঙ্গনের রূপ দেখা দিয়েছে। ১০ মিনিটের মধ্যে চোখের সামনে দোকানপাট সব পানির স্রোতের সঙ্গে হারিয়ে গেল। মালামাল সরাতে পারলেও দোকানঘর রক্ষা করতে পারিনি। ’ মুদি দোকানি সাইদুর রহমান বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ডের বালুর বস্তা ও বোন্ডার সব কিছইু তছনছ হয়ে গেছে। নিম্নমানের কাজ করায় স্রোতের সঙ্গে হারিয়ে গেছে নয়াচর বাজার রক্ষা প্রকল্প। ’
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কাজ নিম্নমানের ও অনিয়ম হচ্ছে এমন অভিযোগ কেউ করেনি। ঈদের আগের দিন কাজ বন্ধ ছিল। আর এমন সময় হঠাৎ করে ভাঙন দেখা দেয়। ’