লক্ষ্মীপুর কারাগারে হাজতির রহস্যজনক মৃত্যু

0
1247

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগারে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি ফেরদৌসের (২৬) রহস্য জনক মৃত্যু হয়েছে। ফেরদৌস কমলনগর উপজেলার চরজাঙ্গালীয়া এলাকার হোসেন আহমদের ছেলে। এদিকে ফেরদৌসের স্বজনরা অভিযোগ করেছেন, কারা কর্তৃপক্ষ সঠিকভাবে চিকিৎসা না করানোয় এবং তাদের অবহেলার কারণেই ফেরদৌসের রহস্য জনক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে বিচার দাবি করেছেন তারা।
জেলা কারাগারের একটি সূত্রে জানায়,দীর্ঘদিন ধরে জেলা কারাগারে টাকার বিনিময়ে মোবাইল, মাদকদ্রব্য  সামগ্রী, হাসপাতালে বিভিন্ন অসুস্থ রোগীদের না রেখে সুস্থ্য ও  প্রভাবশালী আসামীরা হাসপাতালের বেড দখল করে নিজেদের মত বেড তৈরি করে রাজকিয়ে বসবাস করে যাচ্ছে। জেলা কারাগারের ভিতরে বন্দি আসামীদের সাথে খারাপ আচারন,টাকার জন্য চাপ,নিম্মমানের খাবার পরিবেশন করে যাচ্ছে জেলারসহ কারারক্ষীরা। এছাড়াও ঠিকাদার কর্তৃক জেলা কারাগারে কারা বন্দীদের জন্য খাবার সরবরাহ করা হয়। প্রতি বছর খাদ্য সামগ্রী সরবরাহের টেন্ডার আহ্বান করা হয়। তবে অসাধু ঠিকাদাররা কারা বন্দীদের জন্য নিম্ম মানের খাবার সরবরাহ করে থাকে। কারা কর্তৃপক্ষের সাথে আঁতাত করে তারা নিম্ম মানের খাবার সরবরাহ করছে।
অভিযোগ রয়েছে,জেল সুপার ও জেলারের সহায়তায় চিহিৃত সন্ত্রাসীরা জেলা কারাগারে বসে মোবাইল ফোনে মাদক ব্যবসা,চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যেতেন। এসব সন্ত্রাসীদের ভয়ে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ সব সময়ে আতংকে থাকত।এছাড়া কারাগার থেকে বাহিরে গিয়ে দিনে ও রাতে সন্ত্রাসীদের স্বজনদের সাথে দেখা করে সুবিধা নিয়ার অভিযোগ রয়েছে জেলার বিরুদ্বে।
কারাগারের জেলার মো.শরীফুল ইসলাম জানান,বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় হাজতি ছিল ফেরদৌস। শুক্রবার গভীর রাতে হঠাৎ সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। হাসপাতালে নেয়ার পর সে মারা যায়। আরো জানান তিনি, শুধু বাজার সদাই ও তার মেয়েকে প্রাইভেটে দেয়ার জন্য বাজারে যেতেন। অন্য কোন কারণ নয় বলে  অভিযোগুলো মিথ্যা উল্লেখ করেন।
জেল সুপার পনিভুষন দেবনাথ জানান, কারাগারে মোবাইল জ্যামার রয়েছে। সেটি বৃষ্টির কারণে মোবাইল জ্যামারটি নষ্ট হতে পারে। সে সুযোগে মোবাইল ব্যবহার করছে কিনা বিষয়টি তিনি দেখবেন। এছাড়া অন্যান্য অভিযোগ সঠিক নয় বলে জানান তিনি।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা.ফেরদৌস জানান,হাসপাতালে আনার আগেই হাজতি ফেরদৌসের মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তের পর তার মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

four + 8 =