পুলিশের উপস্থিতিতে অপহরণকারীদের ফোন, ৩৫ লাখ টাকা দাবি

0
1256

ফরহাদ মজহারের ‘অপহরণের’ বিষয় নিয়ে কথা বলছিলেন ঘরভর্তি পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। এমন সময়ই অজ্ঞাত স্থান থেকে ফোন আসে তাঁর স্ত্রী ফরিদা আখতারের কাছে। এসময় ‘অপহরকারীদের’ দাবির বিষয়ে নিজেই কথা বলেন ফরহাদ মজহার।

সোমবার বিকেলে শ্যামলীর রিং রোডের এক নম্বর বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। সকালে প্রথম দফায় ‘অপহরণকারীরা’ ৩৫ লাখ টাকা চায় বলে নিজের বাড়িতে ফোন করে জানিয়েছিলেন ফরহাদ মজহার। দুপুরের পর স্ত্রী ফরিদা আখতারের কাছে আবার ফোন আসে।

টেলিফোন আলাপ সম্পর্কে উপস্থিত ব্যক্তিদের ফরিদা আখতার বলেন, ‘(ফরহাদ মজহার) বলছে, টাকার ব্যবস্থাটা হইছে? এটা জানা দরকার ছিল। জানা দরকার বলে আমি একটু পরে ফোন করতেছি, কোথায় দিতে হবে।’

ফরিদা আখতার বলেন, ‘আমার এক নম্বর কনসার্ন হলো তাঁর ফিজিক্যাল সেফটি (শারীরিক নিরাপত্তা)। এইটার উপরে আর কোনো কথা নাই।’

এদিকে ফরহাদ মজহারের ঘনিষ্ঠ ও চিন্তা পাঠচক্রের অন্যতম এক সমন্বয়ক বলেন, কবি ফরহাদ মজহারকে সোমবার ভোরে রাজধানীর শ্যামলী থেকে অপহরণ করা হয়েছে। তিনি বাসা থেকে ভোর পাঁচটা ছয় মিনিটের দিকে বের হন। পরে পাঁচটা ২৯ মিনিটে স্ত্রী ফরিদা আখতারকে ফোন করে ভয়ার্ত কণ্ঠে বলেন- ‘ওরা আমাকে নিয়ে যাচ্ছে, ওরা আমাকে মেরে ফেলবে’। এরপর ফরহাদ মজহারের ফোন বন্ধ হয়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, বাসার ভিডিও ফুটেজেও দেখা গেছে, ফরহাদ মজহার নেমে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে রাজধানীর আদাবর থানায় ঘটনাটি জানানো হয়েছে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোবাইল ট্র্যাকিং করে তার অবস্থান প্রথমে মানিকগঞ্জ ও পরে মাগুরায় পেয়েছে বলে আমাদের জানিয়েছেন। পাটুরিয়া ফেরিঘাট দিয়ে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

৩ জুলাই ভোরে একজন পরিচিত ব্যক্তির ফোন পেয়ে তিনি চারটার কিছু সময় বাসা থেকে বেরিয়ে যান বলে জানিয়েছিলেন তার স্ত্রী। এরপর থেকে তাকে আর খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

18 − eleven =