ইয়াকুব নবী ইমন, নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়ারপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভূয়া ফেসবুক আই.ডি দিয়ে অপপ্রচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমতাবস্থায় ভূয়া এই ফেসবুক আই.ডি ব্যবহারকারী দূস্কৃতিকারীকে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন এলাকার ভূক্তভোগী সাধারণ জনগণ। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে মাসুদুর রহমান (গধংঁফঁৎ জধযসধহ) নামের একটি ফেক আই.ডি থেকে বাহাদুরপুর গ্রামের (৫ নং ওয়ার্ড) সাবেক মেম্বার মৃত শফি উল্লাহ ভূঁইয়ার পরিবারসহ এলাকার অনেক গন্যমান্য ব্যক্তি ও পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য সম্বলিত বানোয়াট ও উদ্দেশ প্রনোদিত ভাবে বিভিন্ন লেখালিখি করে যাচ্ছে। এর আগেও মুখোশ উন্মোচন ও ঁহ যধঢ়ঢ়ু সধহ সহ আরও অনেক ফেসবুক ফেক আই.ডি থেকে বাহাদুরপুরের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের নামে লেখালেখি করা হয়। এতে করে বিব্রত বোধ করছেন সুনামধন্য ওইসব পরিবারের সদস্যরাসহ এলাকাবাসী। এ নিয়ে এলাকায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এদিকে মাসুদুর রহমান (গধংঁফঁৎ জধযসধহ) নামের এই ফেক আই.ডিটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে এই আই.ডিটির ফ্রেন্ড লিষ্টে সমাজের অনেক মান্যগন্য ব্যক্তিবর্গ রয়েছেন। মূলত আই.ডিটিতে সত্য মিথ্যা মিলিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পোষ্ট করা হয়। যা অত্যান্ত দৃষ্টি কটু। সমাজে যাই হোক কোন ভদ্র ঘরের সন্তান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন কুরুচিপূর্ন পোস্ট করতে পারেনা বলে মন্তব্য করেছেন এলাকার অনেকেই। তাছাড়া আই.ডিটিতে যার ছবি ব্যবহার করা হয়েছে তাও ভূয়া বলে দাবী করেছেন তিনি।
তাই ভূক্তভোগীরা দ্রুত ভূয়া এই ফেসবুক আই.ডি ব্যবহারকারীকে সনাক্ত ও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে র্যাব, পুলিশসহ আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে।
এদিকে ওই এলাকার মেম্বার মৃত শফি উল্লাহ্ ভুঁইয়ার নাতি নওশের আলম সুমন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের পরিবারের সদস্যদের জনপ্রিয়তায় ইষার্নিত হয়েই একটি মহল মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। কুচক্রি মহল সরাসরি আমাদের কোন ক্ষতি করতে না পেরে পর্দার আড়ালে থকে ভূয়া ফেসবুক আই.ডি খুলে মিথ্যাচার করছে। কিন্তু তারা আমাদের মধ্যে কোন বিব্রান্ত সৃষ্টি করতে পারবেনা এবং তারা কখনো সফল হবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
শনিবার দুপুরে এ ব্যাপারে বেগমগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) সাজিদুর রহমান সাজিদের সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ কারো মান-সম্মান ক্ষুন্ন করলে ওই ব্যক্তি তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা করতে পারবেন। এক্ষেত্রে কেউ অভিযোগ নিয়ে আমাদের কাছে আসলে আমরা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।